আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপির সংসদে যোগদান। খালেদা জিয়ার জ্বালাময়ী ভাষণ এবং সরকারকে সহযোগিতার ইচ্ছে প্রকাশ। আওয়ামীলীগের চুতিয়াগিরি। অতঃপর বিএনপির ওয়াকওয়াট এবং চুতিয়া আওয়ামীলীগের জয়!!

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

অবশেষে সংসদে ফিরলেন বিএনপি। টানা ৭৪ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকার পর প্রায় ১০ মাস পর অষ্টম অধিবেশনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবং চারদলীয় ঐক্যজোটের সংসদরা সংসদে যোগদান করলেন। সংসদে ফেরায় বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে মাননীয় রসিক স্পীকার বলেন মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা, আপনার আগমনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আপনাকে সংসদে দেখলেই আমার ভালো লাগে।

আশা করি আপনাদের আগমনে সংসদ আরো বেশি কার্যকর ও অর্থবহ হবে। তারপর বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বেশ কিছু প্রধান সমস্যা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। শেয়ারবাজারে কি ডিজিটাল কারচুপি হয়েছে, উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যখনই ক্ষমতায় আসেন, তখনই কেন শেয়ারবাজারে এত ধস নামে? কেন এত লুটপাট হয়? আর সরকার কেনই বা নিশ্চুপ থাকে? অতএব বুঝতে হবে “ডাল মে কুছ কালা হ্যায়”। নিশ্চয়ই এখানে কোনো ঘাপলা রয়েছে। ’ দেশ এখন কোন সংবিধানে চলছে? এমন প্রশ্ন তুলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও আমি সংবিধানের কোনো কপি পাইনি।

আগে ছিল একদলীয় শাসন আর এখন চলছে এক ব্যক্তির শাসন। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। এ সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখেই স্বার্থ সিদ্ধি করতে চায়। সেই আদালতই বলেছে এ সংসদ সার্বভৌম নয়। এ কারণেই আমরা বলেছি, এ সংসদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিন।

’ তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সবার জন্য আইন এক নয়। সরকারি দলের জন্য একধরনের আইন, অন্য সবার জন্য আরেক ধরনের আইন। সরকারদলীয় লোকদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সরকারদলীয় খুনের আসামিও জামিন পেয়ে যাচ্ছে; আর বিরোধী দলের নেতাদের সামান্য মামলায়ও জামিন দেওয়া হচ্ছে না। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে সম্মানিত ব্যক্তিরা সম্মান পাচ্ছে না।

কোনো সম্মানিত ব্যক্তি ভালো কাজ করলে তার পেছনে লেগে যাওয়া হয়। ইউনূসকে কেন অসম্মান করা হয়েছে, তা অবশ্য আপনাদের অ্যাটর্নি জেনারেল ফাঁস করে দিয়েছে। তিনি একজন সন্ত্রাসী ও খুনি সন্তু লারমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন। আমি এর প্রতিবাদ করছি। এখনো সময় আছে, আসুন দেশের কল্যাণে কাজ করি।

গুণীজনকে সম্মান দেই। ’ খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু এখানে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিকমানের নয়। এটা দিয়ে বিচার সম্ভব নয়। ’ সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের দলের এবং আত্মীয়স্বজনের মধ্যেও অনেকে আছে তাদেরকে ধরেন।

’ খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পরপরই আওয়ামীলীগ চিরাচরিত আওয়ামীলীগীয় চাল চাললো। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সুবিধাভোগী, বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, কিসের ভিত্তিতে খালেদা জিয়া এতোক্ষণ সংসদে বক্তব্য রাখলেন? এর পরপরই খালেদা জিয়া সংসদ থেকে বেরিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার নায়ক উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলের সদস্যরা হই চই শুরু করেন। একপর্যায়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কোনো অশোভন কথা উচ্চারণ করিনি।

মিথ্যা কথাও বলিনি। ’ যদি লতিফ সিদ্দিকীর দাবি অনুযায়ী উনি সত্যি বলে থাকেন তাহলে কেনো বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়ার নাম নেই? কেনো আদলতে তিনি জিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ হাজির করলেন না? আসলে আওয়ামীলীগ চায় বিরোধীদল যেনো সংসদে না থাকে। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ যেনো না করে। বিএনপি যেনো আওয়ামীলীগের ইচ্ছেকে পূরণ করতেই সংসদ থেকে ওয়াকওয়াট করলেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.