একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
গত কিছুদিন যাবৎই বিভিন্ন পত্রিকায়, সভা, সমাবেশে বিভিন্নজন বলে বেড়াচ্ছিলো যে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া কি? আর খালেদা জিয়ারইবা অবস্থান কি? অবশেষে আজকে বিএনপি সংবাদ সম্মলনের মাধ্যমে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বিএনপির কোনো আপত্তি নেই বলে জানান দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আরো বলেন - বিএনপি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরোধিতা করছে। বিএনপি মনে করে, এসব অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজন নেই।
সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, জনগণ এটাও বুঝতে চায় যে সরকার সত্যিই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে চায়, না কি এই প্রক্রিয়ার আবরণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে চায়। আমাদের আশঙ্কা যাদেরকেই তারা ঘায়েল করা প্রয়োজন বলে মনে করবে, তাদের জন্যই এই অস্ত্রটা প্রয়োগ করবে।
দলের মহাসচিবের বক্তব্যে প্রথমে কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু আইন প্রতিমন্ত্রীর আরেকটি কথার প্রেক্ষিতে মনে হয়েছে গতকালকের স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে নেওয়া বিএনপির সংবাদ সম্মলনের ভাষণটুকু ঠিকই আছে।
কারন বিএনপির আশংকা যে, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে যাদেরকেই তারা ঘায়েল করা প্রয়োজন বলে মনে করবে, তাদের জন্যই এই অস্ত্রটা প্রয়োগ করবে।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এখন ওই সব মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে। এ তদন্তে যাদের নাম আসবে, তারা যে-ই হোক না কেন, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
কেউ যদি প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে কারো নাম দিয়ে দেয় আর তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তাহলে বিচার প্রলম্বিতই হবেনা শুধু বিতর্কিতও হবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যুদ্ধাপারাধী কারা এটা সবাই জানে। কাদের বিচার জনগন দেখতে চায় সেটাও সবাই জানে। সুতরাং প্রলম্বিত হোক বা বিতর্কিত হোক এরকম কিছু না করে সরকারকে আগে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।