এ ‘ক্ষতি’ তারা সহজেই পূরণ করতে পারবে না বলে মনেও করেন তিনি।
রোববার সংরক্ষিত মহিলা আসনে জোটের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলের আসনে এসেছে জাতীয় পার্টি।
এর মধ্য দিয়ে গত প্রায় আড়াই দশকে প্রথমবারের মতো সংসদের বাইরে চলে এসেছে বিএনপি।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, “এবার সংসদ নির্বাচন বর্জন বিএনপির বড় রাজনৈতিক ভুল। বিএনপির নেতৃত্ব, ভোটার তা গ্রহণ করেননি। নির্বাচন বর্জন করা তাদের কোনো মতেই উচিত ছিল না। ”
তিনি বলেন, বুনিয়াদি গণতন্ত্রের নির্বাচনই হোক বা পাকিস্তানের সামরিক শাসন হোক- ১৯৬২, ’৬৬, ’৭৯ ও ৮৬ সালেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত শুধু এক বা দু’বার নির্বাচনে যায়নি আওয়ামী লীগ।
“নির্বাচনে যাওয়া বা নির্বাচন হওয়া ‘কাজ’ নয়, বঙ্গবন্ধু বলতেন-নির্বাচনকে লক্ষ্য করে দলের আদর্শ মানুষের কাছে তুলে ধরাই নির্বাচনের প্রথম কাজ। অতীতে এটাই আওয়ামী লীগ করেছে। ”
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির কোনো কারণই ছিল না সংসদ নির্বাচন বর্জন করার। জিয়া, এরশাদ, আইয়ুব, ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনেও আওয়ামী লীগ নির্বাচন করেছে। বর্জন করে ‘দে হ্যাভ লস্ট।
অনেক সময় লাগবে এ লসটা পূরণ করতে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ”
এবার সংসদ নির্বাচনে না গেলেও উপজেলায় লড়াইয়ে রয়েছেন বিএনপি নেতারা। এরইমধ্যে দুই দফা ভোটে এগিয়ে আছেন তাদের সমর্থিতরা।
এ বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, “দুধের স্বাদ ঘোলে মিটবে না।
”
এ নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের ব্যাপক জনসমর্থনের প্রমাণ মিলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, “আমরা অত্যন্ত আশান্বিত। আমাদের যে জনমত আছে তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। আমরা অত্যন্ত খুশি। এ সরকার সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, অবাধ নির্বাচন হচ্ছে।
সেটাই সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।