আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ম রূপ -৫ মুসার সঙ্গে রামেসিসে দ্বন্দ

শানিত কর সংস্কৃতির চেতনায় পূর্বাংশ আমি এই লেখাটা অনেক আগে শুরু করেছিলাম। শুরু করেছিলাম মুসার ইসরাইলে ফিরে আসার শুরু দিয়ে। মুসার সঙ্গে রামেসিসের (ফেরাউন) দ্বন্দ হচ্ছে ধর্মীয় কাহিনীর মূল অংশ। বলা হয় মুসার সঙ্গে রামেসিস বা ফেরাউনের ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ হয়েছিল। বাস্তবতা কি তাই।

মুসার আশা বা লাঠি দিয়ে শাপ তৈরীর কাহিনী বেশ রোমাঞ্চকর। মুসা বড় হয়েছেন ফেরাউনের ঘরে। ইসলামের কাহিনীতে মুসার যখন তিন মাস বয়স তখন তার মা তাকে নদীতে ফেলে দেয় একটি ভাসমান ভেলা জাতীয় কিছুতে। এটা ফেরাউনের স্ত্রী আচিয়া দেখেন এবং খুব সুন্দর দেখে মুসাকে রাজ দরবারে নিয়ে যান। এখানেই তাকে লালন পালন করেন।

অন্যদিকে বাইবেলে উল্লেখ আছে আচিয়া ছিলেন ফেরাউনের মেয়ে। যা খুবই বিভ্রান্তিকর (তাহলে ঈসা কি জানতেন না)। মুসা ফেরাউনের ঘরে ৪০ বছর পর্যন্ত অবস্থান করেন। এরপরে তিনি বের হয়ে আসেন। (মুসা জানতেন তিনি ইসরাইলীয়)।

প্রথম দিন মুসা রাস্তায় দেখতে পেলেন, একজন মিশরীয় এক ইসরাইলীর সঙ্গে মারামারি করছে। মিশরী ব্যক্তি ইসরাইলীয়কে মারছেন। এটা দেখে মুসা প্রতিবাদ করলেন এবং মিশরীকে তিনি হত্যা করেন। পরে আরেকদিন (বলা হয় ওই ঘটনার পরের দিন) মুসা ওই ইসরাইলীকে আরেক ইসরাইলীর সঙ্গে মারামারি করতে দেখে তিনি তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এতে প্রথম ব্যাক্তি খেপে যান এবং মুসাকে বলেন তুমি আমাকেও ওই ব্যক্তির মত হত্যা করতে চাচ্ছ।

যাও এখান থেকে। তোমাকে আমাদের বিচার করার দায়িত্ব কে দিয়েছেন? মুসাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এখানে দুটি প্রশ্ন আছে মিশরী ব্যক্তিকে মুসা হত্যা করল এক ইসরাইলীর সঙ্গে মারামারি অপরাধে। মুসা যে ব্যক্তিকে বাচিয়েছিল পরেরদিন সেই ব্যক্তি মুসার সঙ্গে চরম খারাপ আচরণ করে। এই ক্ষোভে মুসা মিশর থেকে মরুভুমিতে কোন এক নির্জন স্থানে চলে যান।

এখানে মুসা দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। এখানে হঠাত্ এক ফেরেস্তা মুসাকে সাক্ষাত্ দেন। ফেরেস্তা মুসাকে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী মিশরে ফিরে যেতে বলেন এবং ইসরাইলীয়দের উদ্ধার করার নির্দেশ দেন। পরে মুসা মিশরে ফিরে যান। এখানে উল্লেখ্য ইসরাইলীয়রা মিশরে থাকেন সাড়ে চারশ বছর।

যা আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটেছিল। সাড়ে চারশ বছর পর আল্লাহ ইসরাইলীয়দের কেনানে (ফিলিস্তিন যার মুল কেন্দ্র ছিল জেরুজালেম) ফিরে আসার অনুমতি দেয়। এই সাড়ে চারশ বছরে কেনানে সাতটি জাতিকে আল্লাহ ধ্বংশ করেছেন, ইসরাইলীয়দের প্রত্যর্পণ করার উদ্দেশ্যে। কি ভয়াবহ খবর। চলবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.