মজার ব্যাপার হচ্ছে এদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ ধর্ম প্রাণ জনতা, এবং সচেতন । তারা কিন্তু জামাত আর ধর্মকে এক করে ফেলেনি । যেটা করেছে অনেক সুশীল ভেকধারীরা! দেশের জনতা জামাতকে প্রত্যাক্ষান করেছে, আর ধর্মকে সমর্থন দিয়েছে । তাই স্কুল কলেজ এবং অধিকাংশ মাদ্রাসায় জামাত একটি গালি। ( তবে সাম্রাজ্যবাদের তদারকিতে আর অর্থেয়নে গড়ে ওঠা আলিয়া মাদ্রাসাগুলো আজও তাদের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে ব্যাপক অংশ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে জামাতকে ।
) কিন্তু ধর্ম আর ধর্মীয় বিশ্বাস এখনও মানুষের মনের গভীরে এতটাই প্রোথিত আছে যে আওয়ামী লীগের মত ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী একটি দল পুরোপুরি সেকুলার হতে পারে না শুধমাত্র জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে ।
তাই সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার পাশাপাশি রাখতে হয় “বিসমিল্লাহ” কেও । ক্ষমতায় আসতে হয় তসবি -হেজাব দেখিয়ে। এর রহস্য একটাই জনপ্রিয়তা। কারণ সংখ্যা গড়িষ্ঠ জনতা ধর্মকে ভালবাসে, মন থেকে গ্রহন করে, বিশ্বাস করে ।
এর অমর্যাদায় আহত হয়।
ধর্ম ও জনগন যেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরোধিতায় সোচ্চার সেখানে জামাত ও অন্যান্য দলগুলো সাম্রজ্যবাদী শক্তিরই দোষর । এক ব্লগার লিখলেন : জামাত শিবির এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চরিত্র যে এক এবং অভিন্ন, তা জামাতের হরতালের সময় ভুল করে মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে একটি ইট ছোড়ার জন্য বারবার ক্ষমা প্রার্থনাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় । খুবই সত্য কথা ।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে জামাতের সক্ষতার ইতিহাস সুপ্রাচীন ।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মউদুদী সাহেবও তো বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন করেন নি, বরং তাদের সমর্ঠক হিসেবেই বসে বসে দিন কাটাচ্ছিলেন, ভারতীয় জনগন যখন মুক্তি আন্দোলনে উত্তাল ।
পশ্চিম পাকিস্তানের সম্রায্যবাদের সমর্থক ছিল এই দল, যখন ৭০ নির্বাচনের গনরায়কে অস্বীকার করছিল শাসক গোষ্ঠী তখনও! আর সামরিক জান্তা যখন দানবীয় শক্তিতে, নারকীয় উল্লাসে নিরীহ বাংগাললি নিধনে মত্ত, সাম্রায্যবাদী শক্তির সমর্থনে তখনও একনিষ্ঠ এই জামাত। শুধু একনিষ্ঠই নয় বরং হত্যা , লুন্ঠন, নারী নির্যাতন সহ যুদ্ধাপরাধের সর্ব শাখায় উল্লসিত অগ্রগন্য দেখা গেছে বাচ্চু রাজাকার গং তথা জামাতকে!
আর রাজনৈতিক দলগুলোও যেহেতু নিজেরাই ক্ষমতালোভী, সুবিধাবাদী এবং সাম্রজ্যবাদের দোশর, তাই রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে-আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে জামাত আর দালালেরা টিকে আছে যুগ যুগ ধরে ।
ধর্ম আর জামতের মাঝে যে পার্থক্য এদেশের জনগন করে রেখেছে, এবং যা বাস্তবও , তাকে দেখে শুনে জোড় করে অস্বীকার করতে চায় এক শ্রেণীর তথাকথিত সুশীল । আর তারই ফলশ্রতিতে যুগ যুগ ধরে এদেশের মাটিতে পুনর্বাসিত হচ্ছে ৭১ এ পরাজিত ঘাতক-দালাল শক্তি।
তাই রাজনীতে যখন জামাত, যুদ্ধাপরাধী, ঘাতক দালাল নির্মুলের চেষ্টা হবে তখন জনতার স্বত:স্ফূর্ত অংশ গ্রহণ পাওয়া যাবে, যা দেখা গিয়েছিল শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ঘাতক দালাল নির্মূল প্রচেষ্টায় । কারণ ওনার উদ্দোগে ছিলনা কোন ধর্ম উৎখাতের উদ্দোগ । সেটা ছিল একান্তই নির্ভেজাল ঘাতক দালাল নির্মূল উদ্দোগ।
আর ঠিক এর উল্টা অবস্হা দেখা যায় কোন বাম সংগঠনের উদ্দোগে । ঘাতক দালাল নির্মুলের আওয়াজ তুলেই আক্রমণের তীর চালায় ধর্মের দিকে ।
এই সুশীলভেক ধারী ও বাম গোষ্ঠী ধর্ম উৎখাতে যতটা তৎপর, জামাত উৎখাতে এর সিকিভাগও তৎপর না! জামাত উৎখাতের আওয়াজ দিয়ে এরা যখন ধর্ম আর ধর্মীয় রাজনীতি, ধর্মীয় কর্মকান্ড ও বিশ্বাসকে উৎখাতের উদ্দোগ নেয় তখন সংখ্যা গড়িষ্ঠ জনতা প্রত্যাক্ষাণ করে আর যার ফলশ্রুতিতে ঘাতকেরা টিকে থাকে যুগ যুগ ধরে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।