সতর্ক করন " জামাত শিবির , যে কোন রকমের মৌলবাদী, ধর্ম ব্যাবসাই ও বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল জানয়ারের প্রবেশ নিষেধ" ধর্ম একটি রহস্যমণ্ডিত, সুপ্রাচীন, জনপ্রিয়, পাপ-পুন্য বিচারে ভয় ও প্রাপ্তি ভিত্তিক অনুভুতিজাত দার্শনিক ধারণা। আধ্যাত্মিক চেতনা, অলৌকিক স্বত্ত্বায় বিশ্বাস, আচার ও নির্দেশের চর্চা, অনুধাবন এবং পালন প্রতিটি ধর্মেই অত্যাবশ্যকীয়।
ধর্মে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস একজন মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত অধিকার। জোর করে ধর্ম পালন করানোর বা পালনে বাধা দেয়ার অধিকার কারও নেই। থাকাটা সঙ্গতও নয়।
পরমত সহিষ্ণুতা সচেতন মানসিকতা ও বিজ্ঞান মনস্কতার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
তাই যতক্ষণ কারও ধর্ম চর্চা কেবল ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকবে, ততক্ষন আমি তাঁদের বিশ্বাস করার অধিকারকে শ্রদ্ধার সাথে রক্ষা করব। প্রয়োজনে কেউ সে অধিকার ক্ষুন্ন করতে চাইলে, তার বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তেও রাজী। ধর্মে বিশ্বাস করা বা না করা, নিয়ে যৌক্তিক বিতর্ক চলতেই পারে, তবে অবশ্যই তা হতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিক, মানবিক, এবং প্রগতির স্বার্থে। যতক্ষণ ধর্মে বিশ্বাসীরা এবং ধর্মে অবিশ্বাসীরা উভয়ে পরমত সহিষ্ণুতা দেখাবেন, আমি নিশ্চিত ততক্ষন কেউ কাউকে মর্মাহত করবে না।
একটি হাস্যকর শ্লোগান বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে "ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র আল্লাহর। "
একটি ভয়াবহ সহিংস রাজনৈতিক শ্লোগান। এই স্লোগানটিতে রাজনীতি ধর্মকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে। এই স্লোগানটিতে রাজনীতি গিলে খেয়েছে সমস্ত ধর্মচিন্তা, ধর্মশিক্ষা, আধ্যাত্মিকতা, বোধ, বুদ্ধি, আচার, মনন, ও সহনশীলতার সংস্কৃতিকে।
মানব সমাজের দীর্ঘ সংগ্রাম, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে আধুনিক রাষ্ট্রের ধারনাটি জন্ম নিয়েছে।
মানুষ ভিন্ন ভিন্ন সরকার ব্যবস্থা দেখেছে, তার কিছু গ্রহন করেছে, আর কিছু ছুঁড়ে ফেলেছে আস্তাকুঁড়ে। এই গ্রহন ও বর্জন এখনও চলছে, এবং চলবে আরও বহুদিন, মানুষের নিজেরই স্বার্থে।
সময়ের বিবর্তনে, আজ, জনতার বৃহত্তর অংশের সরাসরি অংশগ্রহন ও মতামত প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে আধুনিক রাষ্ট্রের পরিচালনার দিকটি নিশ্চিত হয়।
রাষ্ট্র একটি স্বতন্ত্র সত্ত্বা।
রাষ্ট্র একটি পরিবর্তনশীল ব্যবস্থা।
রাষ্ট্র জবাবদিহিতে বাধ্য, তার নাগরিকদের কাছে, প্রতিমুহূর্তে।
সময় ও মানুষের জন্য রাষ্ট্র বদলে যেতে পারে, তার শাসন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা,ও নির্বাহী ব্যবস্থা গুলো সহ; জনতার মতামত প্রতিফলনের ভিত্তিতেই।
পক্ষান্তরে, একজন ধার্মিকের জবাবদিহিতা তার স্রষ্টার কাছে। রাষ্ট্রের কাছে নয়।
কোন স্বার্থান্বেষী মানুষের সুবিধাভোগের উদ্দেশ্যে একজন বিশ্বাসী ধর্ম পালন করেন না।
তাঁর ধর্ম পালন আত্মিক সন্তুষ্টির জন্যে, নিজ বিশ্বাস থেকে।
ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করলে, ধর্মকে রাষ্ট্রের কাছে জিম্মি করে তুললে, ধর্ম বিশ্বাস প্রতিটি মুহূর্তে ভয়াবহ ভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। রাষ্ট্রের পরিচালনা যারা করবেন, তাদের ব্যক্তিগত অযোগ্যতাকে দেয়া হবে ধর্মের আড়াল। তাদের ব্যক্তিগত অসততাকে দেয়া হবে ধর্মের আড়াল।
ফলে মনে হতে পারে, ধর্ম বুঝি অযোগ্য, ধর্ম বুঝি অসৎ।
এর ফলে ধর্ম হয়ে পড়বে আনুষ্ঠানিকতার অনুষঙ্গ।
ধর্ম, ব্যক্তিক পরিসরে থাকাই সঙ্গত। তাতে ব্যক্তিও পরিশীলিত হয়, ধর্মও বাঁচে।
বাংলাদেশের জামাত সহ আর সকল ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো বা পশ্চিমা খ্রিষ্টান ও ইহুদী ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো, বা ভারতের শিবসেনাকে খেয়াল করুন; কি নিদারুন কৌশলে ও চাতুর্যের সাথে ধর্মকে সঙ্কীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে; ফলে ধর্ম আজ চিহ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন ট্যাগে, যা একজন বিশ্বাসীর চোখে ধর্মেরই অপমান।
ধর্ম ও রাষ্ট্রকে বাঁচাতেই, ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথকীকরণে সোচ্চার হন।
কেন আপনি আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে কিছু সুবিধাভোগীর হাতিয়ারে পরিণীত করবেন? কেন আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে নিয়ে খেলার সুযোগ করে দেবেন ?
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।