তুমি আমার জল-স্থলের মাদুর থেকে নামো.....তুমি বাংলা ছাড়ো !!! আমার একটা অভ্যাস
আছে (বদভ্যাস হওয়ার
সম্ভাবনাই বেশি)
যে আমি ঈদের
আগে আগে জমানো টাকায়
(হাপিস ও করে থাকি আব্বুর
পকেট থেকে) অনেকগুলো ঈদ
সংখ্যা কিনি। কিন্তু,
সাথে সাথে পড়ি না।
পরে আস্তে আস্তে পড়ি।
এবারের প্রথম আলোয় হুমায়ূন
আহমেদ স্যারের
লেখা অপ্রকাশিত ছোটগল্প
"তুমি আমায়
ডেকেছিলে ছুটির
নিমন্ত্রণে" পড়লাম।
এখানে উনি লিখেছেন
কীভাবে রবীন্দ্রনাথ তাঁর
জীবনে ৩ বার
বিভীষিকা হয়ে এসেছিলেন।
কিন্তু, তাও
উনি তাঁকে ডেকেছিলেন
ছুটির নিমন্ত্রণে!
বলা বাহুল্য, পড়ার সময় বইয়ের
নিচে হিমু'
রেখে পড়তে গিয়ে আমিও
ধরা খেয়েছি। তারপর,আব্বুর
বুক শুকিয়ে আসা কথাও অগ্নিদৃষ্টিতে দৃষ্ট হয়েছি
। কিন্তু, তাও
তিনি আমার বুকের
সিংহাসনে আছেন
রবীন্দ্রনাথের ঐ আসনে..........!
কেননা,তিনি আমায়
ডেকেছেন ঈদের
ভ্যাকেশনে ।
আজ তাঁর প্রতি এই গানbr />
তুমি আমায়
ডেকেছিলে ছুটির
নিমন্ত্রণে,
তখন ছিলেম বহু দূরে কিসের
অন্বেষণে । ।
কূলে যখন এলেম ফিরে তখন
অস্তশিখরশিরে
চাইল রবি শেষ চাওয়া তার
কনকচাঁপার বনে ।
আমার
ছুটি ফুরিয়ে গেছে কখন
অন্যমনে । ।
লিখন তোমার বিনিসুতোর
শিউলিফুলের মালা,
বাণী যে তার সোনায়-
ছোঁওয়া অরুণ-আলোয়-ঢালা–
এল আমার ক্লান্ত হাতে ফুল-
ঝরানো শীতের রাতে
কুহেলিকায় মন্থর কোন্ মৌন
সমীরণে ।
তখন ছুটি ফুরিয়ে গেছে কখন
অন্যমনে ।
। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।