মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত ১। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘সর্বক্তিমান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে।
=তুমি মুসলমান হিসাবে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রাখো নাকি নাস্তিকদের মত প্রভুর উপর তোমার বিশ্বাস নেই???
২। আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
=যারা আল্লাহ তায়ালা এবং প্রিয়নবী(স) সম্পর্কে যারা অশালিন ভাষা প্রয়োগ করে, তাদের বিচার চাও নাকি মনে কর, আল্লাহ ও প্রিয়নবী(স) গালি দিলে আমার কি আসে-যায়???
৩। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্লগার, নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলামবিদ্বেষীদের সকল অপতৎপরতা ও প্রচারণা বন্ধ করতে হবে এবং যে সকল নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি-সংগঠন যে কোন মাধ্যমে আল্লাহ-রাসূল (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে দেশের ৯০ শতাংশ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
=তুমি কি মনে কর, একটি আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকলে তোমার পূর্ববর্তি সকল অপরাধের ক্ষমা তুমি পেয়ে যাবে নাকি তুমি যেই হও না কেন অপরাধ করলে তোমার শাস্তি হওয়া উচিত??
৪। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারী জাতির সার্বিক উন্নতির বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে তাদের নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মস্থল, সম্মানজনক জীবিকা এবং কর্মজীবী নারীদের ন্যায্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘরে-বাইরে ও কর্মস্থলে নারীদের ইজ্জত-আব্রু ও যৌন হয়রানি থেকে বেঁচে থাকার সহায়ক হিসেবে পোশাক ও বেশভূষায় শালীনতা প্রকাশ ও হিজাব পালনে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই লক্ষ্যে নারী-পুরুষের সকল প্রকার বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে অবাধ ও অশালীন মেলামেশা, নারী-নির্যাতন, যৌন হয়রানি, নারীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রকার সহিংসতা, যৌতুকপ্রথাসহ যাবতীয় নারী নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
=তুমি কি চাও, তোমার বোন শালিন পোষাক পরে রাস্তায় বের হোক নাকি নারী পুরুষের মাঝে ব্যবধান নেই, এই শ্লোগান তুলে নারীর ধর্ষনের পরীক্ষা করুক পুরুষ ডাক্টার??
৫। নারীনীতি ও শিক্ষানীতির ইসলামবিরোধী ধারা ও বিষয়সমূহ বিলুপ্ত করতে হবে এবং শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামের মৌলিক শিক্ষা মুসলিম ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।
=তুমি কি চাও, পাঠ্যপুস্তক ইসলামবিরোধি লেখাগুলো সরিয়ে নেওয়া হোক এবং ইসলামি শিক্ষা সকল মুসলিমের জন্য জরুরী নাকি একজন বিএড পাশ করা লোক কোরআন পড়তে জানে না, এটা তুমি আশা কর??
৬। ভাস্কর্যের নামে মূর্তিস্থাপন, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের নামে শিরিকী সংস্কৃতিসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
=তুমি কি মনে কর, প্রিয়নবী(স) যেগুলো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, সেগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি নাকি তুমি তোমার শিকড় হারিয়ে ফেলবে??
৭। রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।
=তুমি কি মনে কর, যেগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে মানুষের ইসলামের কথা মনে পড়ে, সেগুলোর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ হোক নাকি প্রিয়নবীর(স) সুন্নাতকে তুমি ঘৃণা কর???
৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘেœ নামায আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
=তুমি কি চাও নামায পড়তে এসেও লোকে বাঁধার সম্মুখিন হোক নাকি প্রিয়নবী (স) যেখানে বসে রাষ্ট্রপরিচালনা করেছিলেন,মুসলিমরা সেখান থেকে ধর্মীয় যে কোন কার্যকালাপ চালানোর সুযোগ পাক??
৯।
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ঈমান ও দেশবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত এনজিও ও খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
=তুমি কি চাও, বাংলাদেশের প্রতিটি অংশ সুরক্ষিত থাকুক নাকি আরেক পুর্ব তিমুর, দক্ষিন সুদানের জন্ম হোক পার্বত্য চট্রগ্রামে??
১০। কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
=তুমি কি প্রিয়নবী মুহাম্মাদ(স) কে শেষ নবি বলে মনে কর নাকি চাও মুসলিম বেশে ইসলাম নিয়ে বিধর্মিদের ষড়যন্ত্র চলতেই থাকুক??
১১। রাসূলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, মসজিদের ইমাম-খতীব ও তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকা- বন্ধ করতে হবে।
=তুমি কি মনে কর, মুসলিমরা এই দেশে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পাবে না নাকি এটাকে সমর্থন কর যে, ডিবি পুলিশ মসজিদে-মাদ্রাসায় গিয়ে আলেমদের হয়রানি করবে?
১২। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র, ইমাম-খতীব ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
=যারা ইসলামকে নিয়ে কুটুক্তিকারীদের বিচার চাইতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে, তুমি কি তাদের মুক্তি চাও নাকি মনে কর, ইসলামী শিক্ষার ধারক-বাহকরা জেলের অন্ধকারে বাস করবে?
১৩। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
=তুমি যদি নিজেকে মুসলমান বলে দাবী কর, তাহলে কি এই দাবীকে অস্বীকার করতে পারবে??
আজকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে তোমাকে............
তুমি কি মুসলমান হিসাবে বেঁচে থাকতে চাও নাকি কোরআন-হাদিস দ্বারা প্রমানিত বিষয়কে তুমি অস্বিকার করবে??
(অস্বীকার করা এবং পালন করতে অক্ষম হওয়া, দুইটি বিষয় এক নয়)
তুমি কি আল্লাহর এবং তার রাসূলের কথা মেনে চলবে নাকি চেতনা ব্যবসায়ি নাস্তিকদের কথাকে সমর্থন দিবে???
যদি হেফাজতে ইসলামের তের দফা দাবী মেনে নিলে দেশ তেরশ বছর পিছিয়ে যায়, আমি তেরশ বছর পূর্বের সেই সোনালি যুগই চাই।
যেই যুগের শাসক বলেছিলেন, আমি বেঁচে থাকব আর দ্বীন ক্ষতিগ্রস্থ হবে?
যেই যুগের শাসক নিজে কাঁধে করে অভাবি মায়ের জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন।
যেই যুগের শাসক অপরাধের নিজের প্রানপ্রিয় পুত্রকেও কঠিনতম শাস্তি দিতে দ্বিধা বোধ করেন নি।
এতটা স্বনির্ভর হয়েছিল সে যুগে মানুষ যে, যাকাত দেওয়ার জন্য সবাই তৈরি ছিল কিন্তু নেওয়ার মত অভাবি কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
----------------------------------------------------------
আমি মুসলমান আমার ধন হল ইমান।
ঈমান নুরের রৌশনিতে দীপ্ত আমার প্রান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।