ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে ইসলামী সূচক। নতুন সূচকে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে। তবে এখনো কোম্পানি চূড়ান্ত হয়নি। কোন কোন কোম্পানি এ তালিকায় থাকবে তা চূড়ান্ত করেনি ডিএসই। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।
সেসব কোম্পানির লেনদেন হিসাব করেই চালু করা হয়েছে শরিয়াহ সূচক। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান এ সূচকে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আগ্রহ রয়েছে এই সূচকে লেনদেন করতে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শরিয়াহ সূচক চালু করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় কোম্পানি এস অ্যান্ড পি নতুন সূচক চালুর কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
এই সূচকে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে বেশকিছু কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এঙ্মি ব্যাংক, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যালাইয়েন্স ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, এঙ্মি ইসলামী ইনভেস্টমেন্ট, এইসম বাংলাদেশ লিমিটেড, আলিফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, আইডিএলসি, পিপলস লিজিং। এসব কোম্পানির বাজার ও আর্থিক কার্যাবলী মনিটরিং করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রেটিং ইন্টেলিজেন্স (আরআই) সূচক নির্ধারণ করে। আরআই মাসিক ভিত্তিতে ক্রেডিট প্রতিবেদন তৈরি করে ডিএসইতে সরবরাহ করে। তার ভিত্তিতেই গণনা হচ্ছে নতুন এই সূচক।
প্রচার করে নতুন সূচক চালু করলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিছুই জানতে পারছেন না। এর আগে ডিএসই ব্লু চিপস কোম্পানি নির্ধারণ করে একটি সূচক চালু করে। ডিএসই-৩০ নামে ওই সূচকে ৩০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। প্রতি বছর আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ৩০ কোম্পানি নির্ধারণ করা হয়। এসব কোম্পানির সাধারণত লভ্যাংশ প্রদান, পরিশো-ধিত মূলধন, আর্থিক স্বচ্ছতা মনিটরিং করেই নির্ধারণ করা হয়।
শরিয়াহ সূচক চালু করলে কোম্পানি চূড়ান্ত করেনি। এমনকি শরিয়াহ সূচকে থাকার নীতিমালা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ কিছু ইসলামী ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শরিয়া বোর্ড থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠানের তা নেই। সেসব প্রতিষ্ঠানও যদি এই সূচকে আসতে চায় সেক্ষেত্রে কি করা হবে তা নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
নতুন সূচক নিয়ে ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যারা শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনুপ্রেরণা ও অনুরোধ পেয়েছি।
যেসব প্রতিষ্ঠানের শরিয়াহ বোর্ড রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মনে করেন শেয়ারবাজার শরিয়াহভিত্তিক নয়। নতুন সূচক চালুর মাধ্যমে সেই সন্দেহ কেটে গেছে। এই সূচক চালুর পর অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই সূচক বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও জানান, জনগণের আবেগ ও চাহিদার মূল্য দিয়ে তাদের বিনিয়োগের সুবিধার্থে এই শরিয়াহ সূচক চালু হলো।
ভবিষ্যতে সব ইসলামী প্রোডাক্ট ডিএসইতে চালু হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।