যেই দেশে মানুষ সামান্য কয়টা টাকার বিনিময়ে একজন অশিক্ষিত সন্ত্রাসীকে ভোট দেয়, কোরান শরীফে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করে একজন খুনী, ধর্ষক, রাজাকারকে ভোট দেয়, সেই দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই না। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত করতে একজন মিরজাফরই যেখানে যথেষ্ট ছিল সেখানে বাংলার ঘরে ঘরে আজ মিরজাফর, এইরকম পরিস্থিতিতে এই দেশে যুদ্ধপারাধীদের বিচার চাওয়া আর আত্মহত্যা করার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই। শাহবাগে এতবড় একটা গণজাগরণ হইল, তারপরেও এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি, এইটা খায় না মাথায় দেয় আজ পর্যন্ত এইটাই ঠিকমত বুঝতে পারলনা, এরা চাইবো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার! এই দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি বুঝেনা, বাহাত্তরের সংবিধান কি জানেনা, সংবিধানের মূল চার নীতি মানেনা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়না, চাইলেও কিন্তু, তবে, অথবা, যদি...। এরা খালি পদ্মা সেতু চায়, এরা পরিশ্রম না কইরা বইসা বইসা টাকা কামাইতে চায়, তাই তাদের চাই নির্বিঘ্ন উর্ধ্বসূচকের শেয়ার মার্কেট যেইখানে জুয়া খেলে খুব সহজে যেতা যায় লক্ষ লক্ষ টাকা। এরা দশ ট্রাক অস্ত্র চায়, পকেটে গ্রেনেড নিয়ে ঘুরতে চায়, সংসদে রাজাকার চায়, মুফতি হান্নান চায়, চৌষট্টি জেলায় বোমা চায়, পূর্নিমার সতীত্ব নিয়া খেলতে চায়, আবার বিশ্বজিতের জন্য কষ্ট পায়, শহীদ মিনার ভাঙতে চায়, কোরান শরীফ পোড়াইতে চায়, পতাকা ছিঁড়তে চায়, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চায়, জিয়া চায়, তারেক চায়, কোকো চায়, দিগন্ত টিভি চায়,... এদের এত এত চাওয়া পূরণ করা সম্ভব শুধুমাত্র ১৮+ কোন দলের। এই দেশের মানুষ চোখের সামনে জামাত-শিবিরকে কোরান পোড়াইতে দেখলেও বিশ্বাস করে আওয়ামীলীগ কোরান পোড়াইছে, মতিঝিলে গণহত্যা হইছে, চান্দে সাঈদীরে দেখা গেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড আওয়ামীলীগ ঘটাইছে, হিন্দুদের বাড়িঘর আওয়ামীলীগ পুড়াইছে, রামুতে বৌদ্ধমন্দির আওয়ামীলীগ ভাঙছে, রানা প্লাজা আওয়ামীলীগ “নাড়াচাড়া” কইরা ধ্বসাইয়া দিছে, রেশমারে আওয়ামীলীগ ধ্বংসস্তুপের ভিত্রে আগেই পাঠায়া তারপর উদ্ধারের নাটক করছে, মহাসেন আইছে আওয়ামীলীগের উপ্রে গজব পড়ার কারণে, আওয়ামীলীগ বাচ্চাদের ক্রিমির ট্যাবলেট খাওয়াইয়া মাইরা ফেলছে, সবকিছুর জন্য আওয়ামীলীগ দায়ী,...। সুতরাং, আই কুইট। পনের কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ #ছাগু করে মানুষ করনি। (সংগৃহীত) জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।