আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদের মেয়াদ কি অনন্তকালের?

আকাশটা ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদের মেয়াদ কি অনন্তকালের সৈয়দ ইবনে রহমত হাইকোর্ট এক রায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির কিছু ধারা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। বিষয়টি বর্তমানে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিবেচনাধীন রয়েছে। তাই আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের আগে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যদিও সরকারের অনৈতিক আনুকূল্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, যখনই কোন সরকার পরিবর্তন হয়, তখন তারা কেবল জেলা পরিষদকে পুনর্গঠন করে।

কোন এক অদৃশ্য কারণে আঞ্চলিক পরিষদ থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ কারণেই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বারের পর সাবেক শান্তি বাহিনীর কমান্ডার এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হলেও আজ পর্যন্ত তার পরিবর্তন হয়নি। এখানে কোন প্রকার পরিবর্তন যেন সুদূরপরাহত। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে, অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদের মেয়াদ আসলে কত দিন? এ অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ কি অনন্তকালের জন্য গঠিত হয়েছে? আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের কথা উঠলে অনেকেই আইনগত জটিলতার কথা বলে এড়িয়ে যান। কিন্তু আমাদের ধারণা, যে আইনি জটিলতার কারণে একই আঞ্চলিক পরিষদ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে মতায় আছে সেই জটিলতার অবসান অবশ্যই কাম্য।

তাই আঞ্চলিক পরিষদ গঠন সম্পর্কিত আইনসমূহের সাধারণ আলোচনা সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তুলে ধরা প্রয়োজন। পার্বত্য চুক্তির ‘গ’ খ-ের ১নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর করিবার ল্েয পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (১৯৮৯ সনের ১৯, ২০ ও ২১নং আইন)-এর বিভিন্ন ধারা সংশোধন ও সংযোজন সাপেে তিন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হইবে। ’ ২নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণের দ্বারা পরোভাবে এই পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবেন ...। ’ ৫নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘পরিষদের সদস্যগণ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণের দ্বারা পরোভাবে নির্বাচিত হইবেন। তিন পার্বত্য জেলার চেয়ারম্যানগণ পদাধিকার বলে পরিষদের সদস্য হইবেন এবং তাহাদের ভোটাধিকার থাকিবে ...।

’ ৬নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘পরিষদের মেয়াদ ৫ (পাঁচ) বৎসর হইবে ...। ’ পার্বত্য চুক্তির উপরোল্লিখিত ধারাগুলো বিশ্লেষণ করে বলা যায়, (১) আঞ্চলিক পরিষদের ভিত্তি হচ্ছে পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ। (২) জেলা পরিষদসমূহের নির্বাচিত সদস্যরাই পরোভাবে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নির্বাচিত করবেন। (৩) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সরাসরি পদাধিকারবলে আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য। (৪) আঞ্চলিক পরিষদের মেয়াদ ৫ (পাঁচ) বৎসর।

যেহেতু আঞ্চলিক পরিষদের ভিত্তি জেলা পরিষদসমূহ, তাই জেলা পরিষদ গঠনের আইনগত দিকগুলো বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের ৪নং ধারার ২নং উপধারায় বলা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ জনসাধারণ কর্তৃক প্রত্যভাবে এই আইন ও বিধি অনুযায়ী নির্বাচিত হইবেন। ’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ভোটার তালিকা প্রয়োজন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রণয়নের েেত্র যাতে জটিলতা সৃষ্টি করা যায়, সম্ভবত সেই উদ্দেশ্যই পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ খ-ের ৯নং ধারার ৪নং উপ-ধারায় কোন ব্যক্তির ভোটার হওয়ার ব্যাপারে একটি বিতর্কিত এবং সংবিধান পরিপন্থী শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই উপধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি তিনি পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হন।

’ যা পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে জেলা পরিষদ আইনসমূহ সংশোধন করে ১৭নং ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবার অ-উপজাতীয়দের েেত্র স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়ে পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ খ-ের ৩নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘অ-উপজাতীয় স্থায়ী বাসিন্দা বলিতে- যিনি উপজাতীয় নহেন এবং যাহার পার্বত্য জেলায় বৈধ জায়গা জমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় সাধারণত বসবাস করেন তাহাকে বুঝাইবে। ’ অর্থাৎ পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত বাঙালিদের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ভোটার হতে হলে বৈধ জমির মালিক হতে হবে। কিন্তু বাঙালিরা যাতে বৈধ জায়গা সম্পত্তির মালিক হতে না পারে সে জন্যও সকল পদপে নিয়ে রাখা হয়েছে। যেমন- খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিক্রয় বা অন্যান্যভাবে হস্তান্তরের েেত্র জেলা পরিষদকে অবহিত করে বা জেলা পরিষদের অনুমতি নেয়াকে শর্ত করে দেয়ায় বাঙালিদের ভূমির মালিক হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে গঠিত ল্যান্ড কমিশনকে অকার্যকর করে রাখার জন্য আঞ্চলিক পরিষদ ২৩ দফা অযৌক্তিক দাবি দিয়ে রেখেছে। ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে সন্তু লারমার ২৩ দফা দাবির মধ্যে ১৩টি সংশোধনী গ্রহণ করে সরকার এক অর্থে নৈতিক পরাজয় স্বীকার করেছে। যা কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়। এ পর্যায়ে এসে বলা যায়, পার্বত্য বাঙালিরা যাতে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ভোটার হতে না পারে সে জন্য সকল প্রকার কলাকৌশল অবলম্বন করা আছে।

আবার বাঙালিদের বাদ দিয়েও ভোটার তালিকা করা সম্ভব নয়। কারণ এতে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার ুণœ হওয়ার আশংকা থাকে। অতএব, স্থায়ী বাসিন্দা নিয়ে ভোটার তালিকা না থাকায় জেলা পরিষদে নির্বাচন সম্ভব নয়। আর জেলা পরিষদে নির্বাচন না হওয়ার মানে হচ্ছে আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনও অসম্ভব। সর্বশেষ ফলাফল হচ্ছে, আঞ্চলিক পরিষদের বর্তমান মতাবানরা আজীবন মতা ভোগ করবেন।

যা বাস্তবেও দৃশ্যমান। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের পর ১৯৯৯ সালের ১২ মে সন্তু লারমা আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মতা গ্রহণ করে আজও স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত আছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের মেয়াদও ৫ (পাঁচ) বছরের বেশি নয়। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ মতায় আছেন ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে। ব্যাপারটি গণতান্ত্রিক তো নয়ই বরং নৈতিকতা পরিপন্থী এবং দৃষ্টিকটুও বটে।

তাছাড়া দীর্ঘসময় মতায় থাকায় এই পরিষদের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাবও তৈরি হয়েছে। এই পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণের বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে পার্বত্য বাঙালিরা আঞ্চলিক পরিষদে যায় না এবং সেখান থেকে রাষ্ট্রীয় কোন সুযোগ-সুবিধাও তারা পাচ্ছে না। সন্তু লারমা ওই পদে বহাল থেকে রাষ্ট্রের অর্থ, সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ে নিয়োজিত আছেন বলেও অনেক অভিযোগ আছে। তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধান বহির্ভূতভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন অনেকবার। সবকিছু মিলিয়ে পার্বত্যবাসীসহ সচেতন দেশবাসী প্রত্যাশা করে, আঞ্চলিক পরিষদ সম্পর্কে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিবেচনাধীন রিটের দ্রুত নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এবং রিট নিষ্পত্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রচলিত আইন অনুযায়ী আঞ্চলিক পরিষদকে পুনর্গঠন করে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন কর্মকা-ে গতি আনতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এবার আসা যাক অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ সম্পর্কে। ভোটার তালিকার ব্যাপারে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ১৯৯৭ সাল থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহে নির্বাচন স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানসহ ৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ গঠন সম্পর্কে জেলা পরিষদ আইনের ১৬ (ক) ধারার ৩নং উপধারায় বলা হয়েছে, ‘ধারা ১৬-এর অধীন নির্বাচিত নতুন পরিষদ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পরিষদের কার্য চালাইয়া যাইবে। ’ ৪নং উপধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার প্রয়োজনবোধে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করিতে পারিবে।

’ অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ গঠনকল্পে পার্বত্য চুক্তির ‘গ’ খ-ের ১২নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘পরো ও প্রত্য নির্বাচনের ভিত্তিতে আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করিয়া তাহার উপর পরিষদের প্রদেয় দায়িত্ব দিতে পারবেন। ’ আঞ্চলিক পরিষদ আইনের ৫৪নং ধারার ৫নং উপধারায় বলা হয়েছে, ‘ধারা ৫ অনুসারে পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী পরিষদ ধারা ২২-এ উল্লিখিত কার্যাবলী যতটুকু প্রযোজ্য হয় এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন ও মতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। ’ এখানে দেখা যাচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করার কথা জেলা পরিষদ আইনে উল্লেখ থাকলেও অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য আঞ্চলিক পরিষদ আইনে উল্লেখ নেই। সম্ভবত এ কারণেই কোন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনে ভূমিকা নেয়নি। কিন্তু একই অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ অনির্দিষ্ট বা অনন্তকালের জন্যও হতে পারে না।

তাই অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনে সহায়ক আইনগত দিকগুলো আলোচনার দাবি রাখেÑ (১) যেহেতু আঞ্চলিক পরিষদের মূল ভিত্তি জেলা পরিষদ, তাই অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ পুনর্গঠন আইনকে আঞ্চলিক পরিষদের েেত্রও প্রযোজ্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। (২) কেননা ওই আইনের মাধ্যমে পুনর্গঠিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ যেহেতু আঞ্চলিক পরিষদেরও সদস্য। তাই বলা যায়, জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ওই আইন আঞ্চলিক পরিষদকে ইতিমধ্যে আংশিকভাবে পুনর্গঠিত করছে। অতএব, অবশিষ্ট অংশও এই আইন দ্বারা পুনর্গঠন করা যেতে পারে। (৩) তাছাড়া ৫ (পাঁচ) সদস্যবিশিষ্ট তিনটি অন্তর্বর্তীকালীন পার্বত্য জেলা পরিষদকে সমন্বয় করার জন্য ২২ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদেরও কোন যৌক্তিকতা নেই।

তাই অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সংখ্যাও কমানো যেতে পারে। এতে রাষ্ট্রের আর্থিক সাশ্রয় হবে। সবশেষে বলা যায়, উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রচলিত আইন দ্বারাই অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠন করে এ স্থবির অবস্থার অবসান করা যায়। আশা করা যায়, পুনর্গঠিত আঞ্চলিক পরিষদই তাদের অসাম্প্রদায়িক কর্মকা- দ্বারা পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত জাতিসমূহের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য কমিয়ে আনতে সম হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.