স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন। সংবিধানে যা আছে, সেটাই যদি স্থির থাকত, তাহলে তো আলোচনার প্রয়োজন হতো না। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোনো অসাংবিধানিক ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।
আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন।
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বিরোধী দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন। সংসদে এসে তিনি তাদের দাবি পেশ করার কথা বলেছেন। ’
সভা-সমাবেশের ওপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন হয় না। মহাসেনের প্রভাবে মৃত্যুর হার বেশি না হলেও অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশে একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি প্রয়োজন।
এ জন্য এক মাস সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ’ তিনি বলেন, ‘এটি শুধু বিরোধী দলের ওপর নয়, সরকারি দলের ওপরও কার্যকর হবে। ’
সৈয়দ আশরাফ জানান, বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আবদুুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্রধান করে একটি ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি উপকূলীয় এলাকায় দুগর্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম চালাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।