তাশফী মাহমুদ
চার্লোট এ্যাডওয়ার্ডস
ইংল্যান্ডের তারকা মহিলা ক্রিকেটার চার্লোট এ্যাডওয়ার্ডস-ও; যাকে মহিলা ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য করা হয়। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের ক্যারিয়ারের নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গে অবধারিতভাবে চলে আসে অলিম্পিকসংক্রান্ত প্রশ্ন, ‘সামনেই লন্ডন অলিম্পিক। কেমন লাগছে?’ চার্লোট বলেন, ‘আমি তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে থেকে শুরু হবে অলিম্পিকের আসর। মাঝে মধ্যে তো মনে হয়, আমিও বুঝি অলিম্পিকে খেলছি!’ উল্লেখ্য, এবারের অলিম্পিকে যে ২৬ ক্রীড়া অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাতে ঠাঁই পায়নি ক্রিকেট।
তবে তাতে দুঃখ নেই চার্লোটের। ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৮ সালে তিনি লাভ করেন ‘আইসিসি ওম্যান্স প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’-এর পুরস্কার।
এ্যালিসন ফেলিক্স
একই দিনে সবার ওপরে শোধটা তুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যালিসন ফেলিক্স। ২০০৫ হেলসিংকি, ২০০৭ ওসাকা ও ২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের স্বর্ণপদক নিজের গলায় ঝুলিয়েছিলেন ফেলিক্স। তাঁকেই দায়েগুতে এসে ব্রোঞ্জের স্বাদ পাইয়ে দিলেন ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল ব্রাউন-কারমেলিটা জেটার।
২০১১ সালে হওয়া এ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বর্ণ জিতে ফেলিক্সকে দুঃখ উপহার দেন ভেরোনিকা। আর রৌপ্য জয় করেন ফেলিক্সের স্বদেশী জেটার। অবশ্য এথেন্স ও বেজিং অলিম্পিক এবং গত বছর দায়েগুতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ টানা স্বর্ণপদক জয় করেছেন জ্যামাইকার ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল ব্রাউন। ২০০ মিটারের ট্র্যাকে নিজেকে অলিম্পিকের সম্রাজ্ঞী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। তাঁকে কোনভাবেই অলিম্পিকে ছুঁতে পারছিলেন না ফেলিক্স।
কিন্তু তাঁর এ আধিপত্য খর্ব হয়েছে বুধবার এবং সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রতিশোধও নেয়া হয়েছে ফেলিক্সের। ভেরোনিকাকে হটিয়ে ২০০ মিটার ট্র্যাকের নতুন রানী হয়েছেন ফেলিক্স। ২৬ বছর বয়েসী এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার নিজের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ জয় করেছেন ২১.৮৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে।
নাতালিয়া এ্যান্টিযুখ
অলিম্পিকে এর আগেও পদক জয়ের রেকর্ড ছিল রাশিয়ার দৌড়বিদ নাতালিয়া এ্যান্টিযুখের। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে মেয়েদের ৪০০ মিটারে ব্রোঞ্জ এবং ৪ী৪০০ মিটার রিলেতে জিতেছিলেন রৌপ্যপদক।
কিন্তু স্বর্ণ জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি। অবশেষে ক্যারিয়ারের অন্তিমক্ষণে এসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমসে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন ৩১ বছর বয়সী নাতালিয়া। বুধবার রাতে চলমান লন্ডন অলিম্পিকে মেয়েদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব দেখান রুশ কন্যা। ক্যারিয়ারে প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ জয় করে আনন্দে ট্র্যাকে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্বর্ণ জয়ের পথে নাতালিয়া সময় নেন ৫২.৭০ সেকেন্ড।
যা এই ইভেন্টে তার ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং। মাত্র ০.০৬ সেকেন্ড সময় বেশি নেয়ায় নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়া হয়নি নাতালিয়ার। ৪০০ মিটার হার্ডলসের বিশ্বরেকর্ডের মালিক জ্যামাইকার মেলানি ওয়ালকার। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে এ কীর্তি গড়েছিলেন জ্যামাইকান কৃষ্ণকন্যা।
সান্ড্রা পারকভিক
ইয়েলেনা ইসিনবাইয়েভ
ইতিহাস গড়া হলো না ইয়েলেনা ইসিনবায়েভার।
রাশিয়ান তারকা লন্ডনে এসেছিলেন টানা তিন অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। লন্ডন মিশনে আসার আগে আত্মবিশ্বাসেরও কমতি ছিল না। কিন্তু স্বপ্নসাধটা শেষ পর্যন্ত অপূর্ণই রয়ে গেল রুশ তন্বী তনুলতার। সোমবার লন্ডন অলিম্পিকে প্রমীলা পোলভোল্ট ইভেন্টে স্বর্ণ হাতছাড়া হয়েছে দুইবারের অলিম্পিক ও পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইসিনবায়েভার। ৩০ বছর বয়সী রুশ আকাশকন্যাকে হতাশায় ডুবিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার সুহার।
৪.৭৫ মিটার উচ্চতা পাড়ি দিয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী মার্কিন কন্যা। এটি জেনিফারের ক্যারিয়ার সেরা পারফরমেন্স। এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে দারুণ প্রতিশোধও নিতে সক্ষম হলেন জেনিফার। ২০০৮ বেজিং আসরে এই ইসিনবায়েভার পেছনে থেকে যে রৌপ্যপদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
আলিয়া ফারগাতোভনা মুস্তাফিনা
মুসলিম পরিবারে আলিয়া ফারগাতোভনা মুস্তাফিনার জন্ম ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪ সালে, রাশিয়ার ইয়েগোরিভস্কে।
আলিয়ার রক্তেই আছে জিমন্যাস্টিক্সের বীজ। তাঁর মা নাইলিয়া মুস্তাফিনা ছিলেন রাশিয়ান জুনিয়র টিমের একজন এলিট জিমন্যাস্ট। তিনি ২০০৮ সালে সান জোসে অনুষ্ঠিত প্যাসিফিক রিম চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে রৌপ্যপদক পেয়েছিলেন। কম যান না আলিয়ার বাবা ফারহাত মুস্তাফিনও। তিনি ছিলেন কুস্তিগীর।
এবারই প্রথমবারের মতো অংশ নিলেন অলিম্পিক আসরে। স্বপ্ন ছিল প্রতিটি ইভেন্টেই স্বর্ণপদক জিতবেন। ঈশ্বর অবশ্য তাঁর সেই আশা পূরণ করেননি। তবে সব ইভেন্টে স্বর্ণজয় করতে না পারলেও প্রত্যেকটি ইভেন্টে ঠিকই পদক জিতেছেন। এবং সেটা বড় অদ্ভুতভাবে।
একটি ব্রোঞ্জ, একটি রৌপ্য এবং একটি স্বর্ণ!
লন্ডন অলিম্পিকের সুন্দরীরা (১৮+) !!!!!!!!!!!!! (১ম পর্ব)) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।