আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লন্ডন টাওয়ারঃ

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............

লন্ডন টাওয়ারঃ আমরা অনেকেই লন্ডন টাওয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি কিম্বা জানি। আজ আমি আবার সেই লন্ডন টাওয়ার সম্পর্কে আপনাদের কিছু স্মরন করিয়ে দিতে চাই। আমরা জানি লন্ডন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সেই সঙ্গে লন্ডন সমুদ্র বন্দর ইউরোপের সরব বৃহত সমুদ্র বন্দর। লন্ডনকে বলা হয় প্রযুক্তির নগরী, ক্যাথেড্রাল নগরী, বৃটিশ কমনওয়েলথের বানিজ্যিক মুল কেন্দ্র এবং বৃটিশ সরকারের প্রথান কার্য্যালয়।

লন্ডন শহরেই আছে ইংল্যান্ডের রানীর রাজপ্রাসাদ এবং বিচার বিভাগের প্রধান অর্থায় হাই কোর্ট এবং সুপ্রেম কোর্ট। কেন্সিংটন, চেলসিয়া, ব্লুমসাবেরি, মেফেয়ার প্রভৃতি শহর ঘিরে রেখেছে লন্ডন শরকে। তবে লন্ডন শরকে আরো বেশী আকর্ষনীয় করে রেখেছে লন্ডন টাওয়ার। দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের জন্য লন্ডন টাওয়ার একটি অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান। এই টাওয়ার বিশ্ববাসীর কাছে ইংল্যান্ডের ইতিহাস এবং ঐতিয্য তুলে ধরে।

লন্ডন টাওয়ারে আছে অনেকগুলো দুর্গবেস্টিত অট্টালিকার সমাহার। পুরো লন্ডন টাওয়ার ১৮ একর জায়গা জুরে অবস্থিত। টাওয়ারটি কয়েকটি সারিতে বিভক্ত। ভেতরের সারিতে আছে ১৩ টি টাওয়ার। সেই ১৩ টি টাওয়ারের ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো-কিউক্যাম্প টাওয়ার, ব্লাডি টাওয়ার, এবং ওয়েক ফিল্ড টাওয়ার।

বাহিরের সারিতে আছে পরিখা বেস্টিত ৬ টি টাওয়ার এবং ২ টি বুরুজ। কেন্দ্রীয় সাদা রঙের বড় টাওয়ারটি চুনা পাথর দিয়ে তৈরী। ধারনা করা হয় এই দুরগগুল এক্সময় রোমান এবং সাক্সন্দের দূর্গ ছিল। উইলিয়াম দ্যা কনকারার এই টাওয়ারটি নির্মাণ করেন। এই টাওয়ারটিই এই প্রাসাদের সব চাইতে প্রাচীণ অংশ।

বাকী অট্টালিকাগুলো ১২১৬-১২৭১ খ্রীস্টাব্দে তৃতিয় হেনরীর সময় নির্মাণ করা হয়। উইলিয়াম দ্যা কাঙ্কারার লন্ডন বাসীদের দৃস্টি আকর্ষন এবং শ্রদ্ধা অর্জনের জন্যই এই টাওয়ারটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এটি দুর্গ প্রাসাদের পরিবর্তে কারাগার হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস'র রাজত্বকালে ১৬০৩ থেকে ১৬২৫ সাল পর্যন্ত এটি রাজকীয় প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটিকে মধ্যযুগীয় কাল থেকে আধুনিক কালের নানান ঐতিহাসিক জিনিষ্পত্রের সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

লন্ডন টাওয়ারের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত একটি বিশেষ সামরিক বাহিনী আছে যাদেরকে "বিফিটার্স ফোর্স" বলা হয়। এই প্রাসাদ রক্ষীদের খাবারের মধ্যে অন্যতমছিল গো-মাংশ অর্থাৎ বিফ। এই বিফ খেকো হিসেবেই এই রক্ষীবাহিনীকে "বিফিটার্স ফোর্স" নামে অভিহিত করা হয়েছে। এই এই বাহিনী তৃতীয় হেনরি এবং ষষ্ঠ এডওয়ার্ডের সময় থেকে বিশেষ একধরনের পোষাক পরিধান করে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে-যা বিশ্ববাসীর দৃস্টি আকরষন করছে। বর্ত্মানে যারা বিফিটার্স ফোর্সে নিয়োজিত আছেন-তারা সবাই নেপালী, সাহসী গুর্খা জাতি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.