শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু শিক্ষিত লোকই জাতির মেরুদণ্ড নহে অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশ কেন পদক পায় না তা নিয়ে অনেকেরই হয়ত আক্ষেপ আছে। একটা বিষয় যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে যে কোন দেশই সব খেলায় পারদর্শী নয় এবং কোন জাতির খেলোয়ারগণ সকল খেলায় জয়ী হয় না। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় চীন, আমেরিকা অথবা রাশিয়া পদক তালিকায় শীর্ষে থাকে। কিন্তু এই দেশগুলি ফুটবল, হকি, ক্রিকেট ভাল খেলে না। আবার ব্রাজিল, আরজেন্টিনা, স্পেন ফুটবলে বিশ্বসেরা কিন্তু অলিম্পিক পদক তালিকায় প্রায় শেষের দিকে।
একিভাবে ভারত, পাকিস্তান ক্রিকেট এবং হকিতে বিশ্বসেরা কিন্তু অলিম্পিকে তাদের ফলাফল পুরোপুরি ভিন্ন। আরেকটি বিষয় আমরা লক্ষ্য করলে দেখবেন অ্যাথলেটিক্সএ বিশেষ করে ১০০, ২০০, ৪০০ মিটার দৌড়এ যারা বিশ্বসেরা তাদের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আফ্রিকান বংশুদ্ভুত। জ্যামাইকা, আমেরিকা বা ব্রাজিল যেই দেশেরই হোক। দূরপাল্লার দৌড় এবং ম্যারাথন রেসেও স্বর্ণপদক জয়ী অ্যাথলেটগন কেনিয়া, ইথিওপিয়ার মধ্যেই বেশি। বিগত অলিম্পিকেও দেখা গেছে ইওরপিয়ান বা চীন, জাপানের অ্যাথলেটরা এখানে খুব একটা সাফল্য পায়নি।
এবার আসি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে। আমরা দক্ষিন এশিয়ানরা শারীরিকভাবে ইউরপিয়ান-আফ্রিকানদের মত বিশাল আকৃতির নই। যার ফলে ক্রিকেট, শুটিং, দাবা খেলায় যতটা পারদর্শী অন্যান্য খেলায় সেরকম নই। পুরো আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর মাঝে একজন গ্র্যান্ডমাস্টারও নেই, কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভারতে বেশ কয়েকজন আছেন। সেজন্যই আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশকে নিয়ে অন্য খেলায় বাড়তি কোন কিছু প্রত্যাশা করাটা ভুল হবে।
শুটিঙে উন্নতি করতে আরও সময় লাগবে। ক্রিকেট এবং দাবা অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হলে সেক্ষেত্রে পদক আশা করা যায়।
এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। কারো যদি এর বিপক্ষে কোন যুক্তি থাকে তাহলে সেটা উপস্থাপন করতে পারেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।