লন্ডন অলিম্পিকটা যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁসে পরিণত হয়েছে যুক্তরাজ্যের জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাটা বদলে দিচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। ২০১২ সালের পর ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য। বেড়ে গেছে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও। লন্ডন অলিম্পিকের সুবাদে এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড।
আর ২০২০ সাল নাগাদ অঙ্কের পরিমাণটা ৪১ বিলিয়নে ঠেকবে বলে আশা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।
২০১২ সালে অলিম্পিককেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছিল যুক্তরাজ্য। তবে সেটা ছিল কেবলই শুরু। অলিম্পিকের পর যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন পাউন্ড। যা থেকে তৈরি হয়েছে ৩১ হাজার নতুন কর্মক্ষেত্র।
লন্ডন অলিম্পিক আয়োজনের সফলতা কাজে লাগিয়ে অনেক ঠিকাদারি চুক্তিও পাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কোম্পানি। সেগুলো থেকেও আসছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ ও ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের এসব ঠিকাদারি চুক্তি থেকেই প্রায় ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড পাচ্ছে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো। এ ছাড়াও ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ও ২০১৮ সালে রাশিয়ার ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য ৬০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
২০১২ অলিম্পিকের পর লন্ডনকেন্দ্রিক বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড।
এগুলোর বেশির ভাগই এসেছে চীনের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে। ইউরোপের বৃহত্তর বাজারে ঢোকার জন্য লন্ডনকেই আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করছে তারা। সূত্র: আইএএনএস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।