ঠিক কামড়ায় বলা যাবে না, তবে স্বপ্নের অর্জন স্বর্ণপদকে তাঁরা হালকা করে দাঁত ছোঁয়ান! বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা বহু বছর আগে থেকে চলে আসছে। একসময় সোনা ও রুপার মুদ্রার প্রচলন ছিল। তখন প্রকৃত সোনা কি না তা যাচাইয়ের জন্য অনেকে মুদ্রায় হালকা কামড় দিয়ে পরীক্ষা করতেন। খাঁটি সোনা এত নরম যে সামান্য কামড়েই তা বোঝা যায়। হয়তো সেই সুদূর অতীতের ধারাটি চলে এসেছে একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি হিসেবে।
তবে অলিম্পিক স্বর্ণপদকে খাঁটি সোনা নেই। মাত্র কয়েক গ্রাম সোনার সঙ্গে রুপা মেশানো। নিখাদ সোনার পদক হলে সামান্য কামড়েই তা ভেঙে যেত। সুতরাং কামড়ে পরীক্ষা করার কোনো কারণ নেই। অনেক সময় ফটোসাংবাদিকেরা এ রকম ভাব প্রকাশের জন্য বলেন, যেন ছবিটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
যেমন এবার জিমন্যাস্টিকসে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ তরুণী তাঁদের স্বর্ণপদকে হালকা কামড় দিয়ে মুখে হাসির ছটা ছড়িয়ে ছবিতে পোজ দিয়েছেন। এর একটা কারণ এমনও হতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওর একটা বিলের প্রস্তাব অনুসারে এবারের পদক বিজয়ীদের পদকের ওপর কর দিতে হবে না! এটা একটা আনন্দের সংবাদ। না হলে একটি স্বর্ণপদকের জন্য বিজয়ী ক্রীড়াবিদকে মার্কিন রাজস্ব বিভাগে ২৫ হাজার ডলারের ঘোষণা দিতে হতো আর কর দিতে হতো প্রায় নয় হাজার ডলার। তাতে স্বর্ণপদক লাভের আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে যেত। তাই নতুন বিলের কথায় খুশি হয়ে হয়তো স্বর্ণপদককে একটু কামড়ে দেওয়া যেতে পারে!
সুত্র - পরথম আলু ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।