I am waiting for someone and I know she will ever come. :-*পুরান রটনা ঘটনা নতুন করে রচনা করে সূচনা করতে চাই আগামী দিনের নয়া ভাবনা । আমি জানি আমার এই ভাবনার সাথে বর্তমান উদারপন্থী নীতি নির্ধারক ও সুশীল মানুষ ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারবেন না । তা বাদেও আমার হৃদয়ের খটকা লাগা দ্বন্দ্বের কথা মন্দ হলেও দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই । সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইভটিজিংকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ১ বছর করাদন্ড ও অর্থদন্ড করে শাস্তি দেয়া হয়েছে । এ ধরনের আইনি ব্যবস্থা কে আমি সাধুবাদ জানাই ।
আনেক আগেই এ ধরনের ব্যবস্থ করা উচিত ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রকৃত ইভটিজার বা অপরাধীরা কী এ আইনের আওতায় আসছে ? না’কি সহজ সরল ছেলে যে বহুবার পড়ার টেবিলে বসে মনের রং মিশিয়ে চিরকুট কিংবা এস.এম. এস লিখে ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্য স্থানে পৌঁছাতে পারে নি বলে। যে অসংখ্যদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রাকটিস করেছে । যে তার প্রিয়ার সঙ্গে কথা বলবে বলে ভয় আর সংকোচে বহুবার ফিরে এসেছে । হঠাৎ একদিন দুরু দুরু বুকে কিশোরীর সাথে আলাপকালে ভ্রমামাণ আদালতের ম্যাজিসট্রেট আইনের ফাঁদে পড়ে বখাটে, ইভটিজার, দুশ্চরিত্রের কলঙ্ক নিয়ে জেলে যেতে হয়েছে ।
অথচ দিনের পর দিন আড়ালে আবডালে দাঁড়িয়ে তাকে দেখেছে কোন কথা বলে নি । রাস্তার মোড়ে কিংবা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে তার গতিপথ দেখেছে কোন বাধা দেয় নি । হৃদয়ের নিরব ভালোলাগা ও ভালোবাসার কথা বলতে পারে নি। অনেক চরাই উতরাই পারি দিয়ে যেদিন বিন্দু পরিমাণ কথা বলার সুযোগ হলো সেদিন সিন্ধু পরিমাণ দু:খ আর কলঙ্ক নিয়ে ছেলে কে যেতে হলো জেলে । যে ছেলে ভদ্র ন¤্র হিসেবে তার পরিবার ও সমাজে সমাদৃত।
সে ছেলে আজ কলঙ্কিত ও কুলষিত। সে ছেলে ইভটিজিং করার জন্য সেদিন মেয়েটির সাথে কথা বলতে যায় নি । বড় জোড় সেটি তারুণ্যের ধর্মানুযায়ী কাঁচা ভালোবাসার প্রস্তাব হতে পারে, ইভ প্রেইজিং হতে পারে । কিন্তু ইভটিজিং হতে পারে না। ।
আমাদের সবার ইভটিজিং এবং ইভ প্রেইজিংয়ের মধ্যে তফাতটা জানা দরকার । ইভটিজিং করলে মেয়েরা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়, অতিষ্ঠ হয়,রূঢ় হয়, রুষ্ঠ হয় এবং সেখান থেকে অভিযোগ উঠে । ইভপ্রেইজিং করলে মেয়ারা খুশি হয়, আনন্দিত হয়,উচ্ছ্বসিত ,উদ্বেলিত হয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সেখানে কোন অভিযোগ থাকে না । এখন কথা হচ্ছে ছেলে মেয়েদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সামাজিক সম্পর্কটা জরুরি ..? না’কি ইভপ্রেইজিং কে জোড় করে ইভটিজিং হিসেবে চালিয়ে দিয়ে সারা জীবনের জন্য ছেলেটিকে বখাটে করে রাখা জরুরি ..? আর সবার সামনে নিজেকে সাহসী, সচেতন সু-নাগরিক হিসেবে জাহির করা এবং দৃঢ়কণ্ঠে বলা আমরা উঠ পাখি নই । এই উঠতি বয়সে তরুণ তরুণীদের মধ্যে ইভপ্রেইজিং বা এডামপ্রেইজিং একটি স্বভাবিক ব্যাপার ।
তবে সেটি যেন ইভটিজিং বা এডামটিজিংয়ে পরিণত না হয় সেটা ভেবে দেখা দরকার । টিজিং এর অর্থ আমরা সবাই জানি । আর প্রেইজিং শব্দটি দ্বারা কাউকে মুগ্ধ করা, বিমোহিত করা বা সম্মহিত করাকে বুঝানো হয়ে থাকে । পাঠক, আপনি কী বুকে হাত দিয়ে সৎ সাহস নিয়ে বলতে পারেন .? আপনি কোন দিন কারো প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন নি ...! কাউকে প্রেইজিং করার চেষ্টা করেন নি ..! যদি না বলেন.! আমি সেটা বিশ্বাস করি না । বিশ্বাস করি না বলেই আমি সর্বদা ইভটিজারদের কঠিন বিচার চাই ।
আর ইভপ্রেইজারদের প্রতি গভীর মমতা চাই, ভালোবাসা চাই । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।