আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভটিজিং বা উত্যক্ততা কি এবং কেন? ইভটিজিং বন্ধে চাই জনসচেতনতা।

Footprint of a village boy! ইভটিজিং: ইভটিজিং বলতে কোন মানুষকে বিশেষ করে কোন নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজ কর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা এবং চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোন কিছু ছুঁড়ে দেয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধীক্কার দেয়া, যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী দেয়া, তাকে নিয়ে অহেতুক হাস্যরসের উদ্রেক করা, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ধাক্কা দেয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেয়া, সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ছাড়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছু নেয়া, অশ্লীলভাবে প্রেম নিবেদন করা, লম্পট চাহনী, সম্মতির বিরুদ্ধে শরীরে হাত দেয়া। উদ্দেশ্যমূলকভাবে গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথরোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদান, মুঠোফোনে বার বার মিসড কল দেয়া, অশ্লীল মেসেজ পাঠানো, যৌন অর্থবাহী ছবি বা ভিডিও দেখানো, প্রেম ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনে চাপ প্রয়োগ, ব্লাকমেইল বা চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে স্থির অথবা চলমান চিত্র ধারণ করা, যৌন নিপীড়ন বা হয়রানির কারণে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষাগত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা ইত্যাদিও ইভটিজিং এর মধ্যে পড়ে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ব্লগ এবং ই-মেইলের মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে। ইভটিজিং এর কিছু কারণ: ক) নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে করা খ) মূল্যবোধের অবক্ষয় ও প্রকৃত শিক্ষার অভাব গ) সামাজিক অবক্ষয় ও বৈষম্য ঘ) বেকারত্ব ও হতাশা ঙ) সুস্থ সংস্কৃতির অভাব চ) মাদকের অবাধ ব্যবহার ছ) আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া জ) আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রকৃত প্রশিক্ষণের অভাব ঝ) নারীর প্রতি সমাজের (পুরুষদের) নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ঞ) রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য মূলক সম্পর্ক। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন: ইভটিজিং নিয়ে সরাসরি পৃথক আইন না থাকলেও বিভিন্ন আইনে এ সর্ম্পকে বেশ কিছু ধারা বা অনুচ্ছেদ রয়েছে।

বাংলাদেশের দণ্ডবিধি আইনের ৫০৯ এবং ২৯৪ আইন অনুযায়ী ইভটিজিং বা উত্যক্ততা বা অশালীন অঙ্গভঙ্গি করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার জন্য একজন অপরাধীর জেল-জরিমানা হতে পারে। এছাড়া ডিএমপি এ্যাক্টের ৭৫, ৭৬ ধারা অনুযায়ীও এটি একটি অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। আর বিলম্ব না করে নতুন করে কঠোর আইন প্রণয়ন করা জরুরী। ইভটিজিং বন্ধে কারা কারা ভূমিকা রাখতে পারেন: ক) পরিবারের সদস্য একে অপরকে সচেতন করতে পারে।

খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ভূমিকা রাখতে পারেন। গ) কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীগণ টিজিং বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারেন। ঘ) রাস্তা ঘাটে চলাচলকারী যে কোন নাগরিক টিজিং বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। ঙ) আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন। চ) আমি-আপনি সকলেই আমরা এই নোংরা ব্যাধির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারি।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.