আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব বিদেশী আইনজীবিদের ব্যাপারে আমরা যখন এই বিচার বিরোধী গোষ্ঠীদের বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন দেখিয়ে দিলাম এই বলে যে, "বাংলাদেশের কোর্টে আসতে হলে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে" তখন তারা কিছুটা দমে গিয়েছিলো এই আইনের বিরুদ্ধে কিছু বলতে না পেরে। কিন্তু জামাতী মূর্খরা কি আর বেশী দিন অপেক্ষা করবার পাত্র? তারা এখন নতুন উদ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল কিংবা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গুলোর উদাহরন এনে হাজির করছে। তারা বলছে যে, এইসব আদালত গুলোতে বিদেশী আইনজীবি আনতে দেয়া হয়েছিলো, সুতরাং বাংলাদেশের আদালতে কেন দেয়া যাবে না?
এইসব প্রশ্নের সাথে তারা অত্যন্ত পন্ডিতের মত রুয়ান্ডা ট্রাইবুনাল, সিয়েরা লিওন, ইয়াগোস্লাভিয়া ট্রাইবুনাল, কম্বোডিয়ান ট্রাইবুনাল ইত্যাদির উদাহরন দিয়ে সেখানে কোন কোন দেশের কোন কোন আইনজীবি অংশগ্রহন করেছিলেন তার একটা লিস্ট ধরিয়ে দেয়। এরা আসলে বাংলাদেশের সচেতন মানুষদের ওদের মতই ছাগল মনে করে।
ভাবারই কথা, একজন ইতরের কাছে পৃথিবীর সবাই ইতর। অথচ ওরা ভুলে যায় যে, যেসব আদালত ও ট্রাইবুনালের নাম তারা তসবি জপার মত জপছে এইসব প্রত্যেক্টি আদালত গঠিত হয়েছে ইউনাইটেড নেশন্স এর সাহায্যে এবং ইউনাইটেড নেশন্স এইসব প্রত্যেক্টি দেশের সংগঠিত অপরাধের জন্য ফৌজদারী আদালতে বিচার করবার প্রস্তাব গঠন করে এবং নিরাপত্তা পরিষদে তা পাশ করবার পর সুবিধামত যায়গায় তারা বিচারের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক আদালত হিসেবে তাকে মর্যাদা দিয়ে। আপ্নারা যদি এই দেশগুলোর দিকে তাকান তাহলে দেখতে পারবেন যে, এইদেশ গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলেছে, জাতিগত দাঙ্গা চলেছে। যেমন রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া। এইসব দেশের আইন শৃংখলা, বিচার ব্যাবস্থা সব কিছু ভেঙ্গে পড়েছিলো তখন।
তাদের নিজেদের পক্ষে এতবড় ব্যয় সাধ্য বিচার করবার কোনো সামর্থই ছিলো না।
সেইসব আদালতে শুধু বিদেশী আইনজীবিই নন, উপস্থিত ছিলেন বিদেশী বিচারকও এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনজীবির জন্য সাহায্য করেছে ইউনাইটেড নেশন্স। কম্বোডিয়া ট্রায়ালে এই পর্যন্ত লেগেছে ১৭০ মিলিয়ন, সিয়েরা লিওনের ট্রায়ালে লেগেছে ১৪৯ মিলিয়ন,ইয়াগোস্লাভিয়া ট্রায়ালে ৩০৬ মিলিয়ন এবং রুয়ান্ডা ট্রায়ালে ৬১৫ মিলিয়ন।
আর আমরা বার বার বলছি আমাদের দেশে চলা "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন-১৯৭৩" দিয়ে আমরা দেশীয় আদালতে, দেশীয় সিস্টেমে, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অপরাধের বিচার করছি। মানে হচ্ছে, অপরাধের ধরন আন্তর্জাতিক, এই অপরাধ গুলো আন্তর্জাতিক ভাবেই স্বীকৃত বাট বিচার হবে দেশীয় আদালতে।
সুতরাং আমাদের দেশে বিদেশী আইনজীবি আসতে হলে আমাদের দেশের আইন মানতে হবে। কথা ক্লিয়ার।
বাংলাদেশের জুডিশিয়ারি গত ৪১ বছর ধরে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের অধিকাংশ বিচারপতিরা অত্যন্ত চৌকশ এবং যথেষ্ঠ পরিমানের ধী-শক্তি ও মেধাসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। আমাদের দেশের বিভিন্ন মামলার রায় ইন্ডিয়া, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, সহ বিভিন্ন দেশে উদাহরন হিসেবে বিভিন্ন আদালত ব্যাবহার করে থাকে।
সুতরাং আমরা আমাদের নিজেদের আইন দিয়ে, নিজেদের অর্থবলে এই আদালত গঠন করেছি ও অভিযুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি। আমাদের দেশের উক্ত আইনের সাথে ইউনাইটেড নেশন্সের মোড়ল গিরিতে অনুষ্ঠিত উক্ত দেশের বিচারের সাথে তুলনা করে যারা উদাহরন দেয় তাদেরকে বলবার কিছুই নেই।
এর পরেও যদি এরা এই সহজ ব্যাপারটা না বুঝে এবং উন্মাদের মত চেঁচায়, লেট দেম ডু ইট। কুত্তার লেজ বারো বছর চুঙ্গিতে রাখলেও কুত্তার লেজ সোজা হবে না। এটা সম্ভব না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।