আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগ্নতার নগর সংস্করন ও বিতাড়িত

ক্ষণকালের এ পৃথিবীতে সবচেয়ে সুস্পষ্ট ভবিষৎ "মৃত্যু"। তাই, এসো সে মৃত্যুকে মহান করে তুলি প্রতিদিন অন্তত একটি ভাল কাজের মধ্য দিয়ে। নগ্নতার নগর সংস্করন প্রথমত দেখেছি বুক আর মাথার ওড়না হয়ে গেলো কম্ফর্টার, প্রকাশ পেল কাঞ্চন জংঘার প্রাচুর্য ও কৈলাশ টিকার সুঢৌল মাটির চূড়া। এরপর এটাকে সমাজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যে ঠাঁই দিয়েছি। দ্বীতিয়ত দেখেছি কামিজের প্রান্ত, শীর্ণ ঠ্যাং থেকে ঠাঁই নিয়েছে, চোরাগুপ্ত হামলার ঢাল, নাগীনির দীর্ঘ বাড়ন্ত দুই উরুতে।

তারপর সমাজ সংস্কার বলে প্রশ্রয় দিয়েছি নাগরিক জনপদে। তৃতীয়ত দেখেছি ব্লাউজ-কামিজের পশ্চাতের প্রশস্থ গোবাক্ষে, রক্ত জবার রক্তিম আভার অসূর্যস্পর্শা সমতল চারণ ভূমি। তারপর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়ে তাকিয়ে থেকেছি অপলক। চতর্থত দেখেছি নারাঙ্গীর খোসার মত মাংস ছোঁয়া ডেনিম সেলাওয়ার, তখন থেকে মাপতে শিখেছি পাছ-আটা চল্লিশএ পশ্চাতের দুই স্তন। তারপর একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল হয়ে ছাড় দিয়েছি মুক্ত মনের দিশায়।

পঞ্চমত দেখেছি শেমীজ ত্যাগী, বক্ষ বন্ধনীর বেনিআসহকলা প্রদর্শনী, সেখান থেকে জেনেছি স্ট্যান্ডার্ড কাগজের সাইজ এ-ফোর, আর ছত্রিশ। তারপর বিজ্ঞানের যুগে জ্ঞান ভেবে জেনে গিয়েছি বি, সি, ডি। ষষ্ঠত দেখেছি ফিনফিনে কাঁচের কাপড়ে মোড়া কোন চাতকী, এখানে কোমরের মানচিত্রে পেয়েছি সৈকতের চোরাবালির খাজ। তারপর মুগ্ধ হয়ে গুনে গিয়েছি অসংখ্য আলোহীন তারা। সপ্তমত দেখেছি মাছের শল্কের মত মিশে থাকা টপস, দেখেছি অর্ধ শত সহশ্র দ্বিখন্ডিত নারকেলের মানিকজোড়।

তারপর পান করেছি, ছুটে আসা গঙ্গার মিঠে জল ভেবে। অষ্টমত দেখব কোন আমাবশ্যায় বাঁকা চাঁদের ফালি, যেখানে আগ্নেয়গিরির ফাটলে ধরা দেবে নরম মখমলের ভাজ। তারপর পুষ্পমধুর ঝরনার জলে স্নান করে ভুলে যাব সব । দূরদর্শন আর রূপালীপর্দা থেকে সাময়িকি অত:পর সেখান থেকে, বিপনি বিতান হয়ে খুশিতে গায়ে মাখে আমার চেতনাহীন কোন সন্তান। আর আমার প্রিয়ার দেহে স্থান পায় তোমাদের নষ্ট শিল্প।

এভাবে পাড়ার গলীতে তরুণীদের অনুসরণ আর অনুকরন। তারপর অগণীত যুবতীর ফুটপাতের আড়াই ফুট প্রস্থে অসীম দৈর্ঘের মিছিল। সেই থেকে হয়ে যায় প্রতিদিনের সমাজের প্রচলিত আহব্বান। _______________________________________________________ বিতাড়িত আমি একটি অগ্নি কনা, সেখান থেকে তুমি আমাকে, মধ্যবিত্তের কাতারে নিয়ে শুইয়ে দিলে খড়ের বিছানায়। আরও পুন: পুন: ভালোবাসার উষ্ঞ বায়ুতে হয়েছি অগ্নিকুন্ড।

আর পোড়াবার দোষে আমায় দিয়েছ প্রহসনের দন্ডশ্রম। অথচ তোমরাই বাঁশীর বীণ বাঁজীয়ে, করেছ আমায় উম্মাদ নাগ নাগীন না এলে, পিটিয়ে মেরোনা আমার কামুক রাগ। _______________________________________________________ ( নগ্নতার ধীর গতীর সংস্করণে, সুতার বুনন ক্রমন্নয়ে ছোট থেকে আরও ছোট হয়ে, কালের বিবর্তনে যে নারী অবচেতনে হচ্ছে নগ্ন, আর তাতে যেসকল পুরুষের হয়েছে নৈতিক স্খলন তাদের জন্য উৎসর্গ ) _______________________________________________________ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.