ইএসপিএনের একটি সাময়িকীর প্রচ্ছদে নগ্ন হয়েছিলেন আগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা। এক সপ্তাহ আগে সেটা প্রকাশিত হওয়ার পর পরই হইচই পড়ে যায় তাঁর দেশ পোল্যান্ডে। ব্যাপারটা ভালোভাবে নেননি রাদওয়াস্কার বাবাও। ‘অনৈতিক’ আচরণের জন্য এই নারী টেনিস তারকাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে পোল্যান্ডের একটি ক্যাথলিক ইয়ুথ গ্রুপ।
ইএসপিএন সাময়িকীর ‘বডি ইস্যু’র প্রচ্ছদে দেখা যায়, হাতে দুটি টেনিস বল নিয়ে সুইমিংপুলের পাশে বসে আছেন নগ্ন রাদওয়ানস্কা।
সুইমিংপুলের পানিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক বল। আরেকটি ছবিতে নগ্ন হয়ে পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এ নিয়ে চারদিকে বিতর্কের জোয়ার বইলেও রাদওয়ানস্কা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নগ্ন হয়ে কোনো অন্যায় করেননি তিনি।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, নিজের ফেসবুকের পাতায় ইংরেজি ও পোলিশ ভাষায় বিবৃতি দিয়ে ২৪ বছর বয়সী রাদওয়ানস্কা দাবি করেছেন, ছবিটি কাউকে আঘাত করতে তোলা হয়নি। পত্রিকার বিষয়বস্তু দেখলে ছবিটিকে অনৈতিক বলারও কারণ নেই।
শরীর গঠনের ব্যাপারে তরুণীদের উত্সাহ জোগাতেই ফটোশটে অংশ নিয়েছেন তিনি।
টেনিসের উন্মুক্ত যুগে পোল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্লামের (উইম্বলডন) ফাইনালে খেলা রাদওয়ানস্কা বলেন, ‘ইএসপিএন সাময়িকীর বিষয়বস্তু যারা জানেন না, তাঁরাই কেবল আজেবাজে কথা বলছেন। এখানে বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের শারীরিক সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়। নিজেকে ফিট রাখতে আমি প্রচুর পরিশ্রম করি। পত্রিকার বিষয় ও বক্তব্যে সেটাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ছবিটিতে অশ্লীলতার লেশমাত্র নেই। সাক্ষাত্কারটা পড়লেও বুঝতে পারবেন, এখানে অ্যাথলেট হিসেবে আমার কঠোর পরিশ্রমের কথাই কেবল তুলে ধরা হয়েছে। ’
ইএসপিএন সাময়িকীতে নগ্ন হয়ে পোজ দেওয়া অনেক তারকার উদাহরণও টেনেছেন রাদওয়ানস্কা, ‘সব বয়সের নারী-পুরুষের ছবিই এখানে প্রকাশিত হয়। টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস, ড্যানিয়েল হান্তাসোভা, ভ্যারা জভনারেভা, গলফ কিংবদন্তি গ্যারি প্লেয়ারদের ছবি এখানে প্রকাশিত হয়েছে। ’
পোল্যান্ডের শতকরা ৯০ ভাগ লোক ক্যাথলিক।
রাদওয়ানস্কা নিজেও পুরোদস্তুর ক্যাথলিক হিসেবে পরিচিত। সেই সুবাদেই একটি ক্যাথলিক ইয়ুথ গ্রুপের হয়ে বিজ্ঞাপন ও প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন তিনি। যিশু খ্রিস্টের বাণী প্রচার করা যার কাজ, সেই রাদওয়ানস্কার নগ্ন হয়ে পোজ দেওয়াকে মেনে নিতে পারেনি সংগঠনটি। নারীদের সম্পর্কে ভুল বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ তোলে প্রচারণার কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাদওয়ানস্কাকে।
অভিযোগ উঠেছে, অর্থের প্রলোভনে পড়েই নগ্ন হয়ে পেজ দেন রাদওয়ানস্কা।
তবে অভিযোগটা সত্য নয় বলেই দাবি মেয়েদের বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা এই খেলোয়াড়ের, ‘গণমাধ্যমে অনেকেই বলেছেন, অর্থের বিনিময়ে আমি ফটোশটে অংশ নিয়েছি। এটা ভিত্তিহীন কথা। শুধু আমি নই, কোনো অ্যাথলেটই এই ধরনের ফটোশুটে অংশ নেওয়ার জন্য অর্থ নেন না। তরুণদের বিশেষ করে মেয়েদের শরীর গঠনে ও ব্যায়ামে উত্সাহ জোগাতেই সেখানে অংশ নিয়েছি আমি। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।