সকাল আর আসেনা গোলাপ হয়ে ফোটেনা কিশোরীর হাতে ১. কেনো কবিতা লিখি? আমাকে প্রশ্ন করা হলো। আমিও কবিতাকে একই প্রশ্ন করেছিলাম-
'কবিতা কেনো লিখি?
কবিতা নিশ্চুপ থেকেছে। ওদিকে শহরে রটে যায় ক-তে কবিতা,ক-তে কবি,ক-তে কাক।
কথাগুলোর ব্যপারে কবিতার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। কবিতা আমাকে একবার তার কষ্টে মলিন চেহারা দেখালো আমি বুঝে নিলাম কবিতা মানে কষ্ট।
কবিতা একবার একটি শব্দ উচ্চারণ করলো। শ্রুতিমধুর! সেই শব্দ কথা হয়ে আমার হৃদয়ে বিদ্ধ হলো। আমি বুঝে নিলাম কবিতা হলো কথা । কবিতা আমাকে প্রশান্তি দিলো আমি বুঝে নিলাম কবিতা আমার আশ্রয়। কবিতা আমাকে সৌন্দর্য্যের স্বরুপ দেখালো।
সুন্দরের ভেতর থেকে আর কুৎসিতের ভেতর থেকে । আমি মুগ্ধ হলাম। কবিতার নাম মুগ্ধতা। কবিতার নাম কোমলতা । কবিতার নাম স্বপ্ন।
কবিতার নাম বিব্রত প্রশ্ন।
২.
যতটা পাপী ভেবে গণিকার কাছে গিয়েছি,জেনেছি ততটা পাপী সে নয়। যতটা সাধু ভেবে পুরতের কাছে গেছি জেনেছি ততটা সাধু সে নয়। মানুষ নগ্নতা ভালবাসে। অজস্রবার নগ্ন হয়েও নগ্নতার তৃষ্ণা মিটে না।
তবু মিছে করে বলি নগ্নতা মন্দ। নগ্নতার উপর নগ্ন মিথ্যা চাপিয়ে দিই। নগ্নতার পক্ষে বিপক্ষে তৈরী হচ্ছে আমাদের বিভেদ রেখা। যদিও সবাই নগ্নতা ভালবাসে তবুও নগ্নতাকে কেন্দ্র করেই মানুষের মাঝে ফাটল ধরছে। মানুষ ফেটে যাচ্ছে।
৩.
উজানে নামলে বর্ষা
ভাটি ভেসে যায়
কি করে ভাল থাকি
বন্ধু-
বাড়ি মোহনায়।
আমি, কি করে ঘুমাই
থেকে থেকে বসতটা
জলে মিশে যায়
ঐ-
শব্দ শোনা যায়।
কি করে ভাল থাকি
বন্ধু,বাড়ি মোহনায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।