আমাকে খুঁজে নাও, অথবা একা থাকো সারাবিশ্বে টেবল্ওয়েড পত্রিকার জয় জয়কার। সেখান থেকেই বাংলাদেশে মানবজমিনের প্রতিষ্ঠা।
পাঠক ধরতে গিয়ে সব ধরনের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছে অনেক আগেই। এরা পারে না এমন কিছু নাই। আজ হুমায়ূন আহমেদ ও শাওনকে নিয়ে যে অপপ্রচার শুরু করেছে পত্রিকাটি, এর পেছনে কিন্তু স্যারের একটা ভূমিকা আছে।
জীবদ্দশায় স্যার তার বহু লেখায় মানবজমিনকে খোঁচা মেরে লেখা লিখেছেন। এমনকি ইন্টারভিউ নিতে গেলে সাংবাদিকদের বলতেন্ও সেকথা। বিশেষ করে গুলতেকিনকে ডিভোর্স দেওয়ার সময় মানবজমিন যেভাবে স্যারের পিছনে লেগেছিল, স্যারের বিরক্ত হওয়ারই কথা। শুধু এই পত্রিকাটির কারণে পরবর্তীতে অন্য পত্রিকার সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে চলতেন স্যার।
এখন স্যার মরার পর মানবজমিন যা করছে, কেন যেন মনে হচ্ছে এক ধরনের প্রতিশোধ নিচ্ছে পত্রিকাটি।
স্যার ও শাওনকে নিয়ে একের পর এক অসত্য নিউজ করছে যেভাবে, এটা সাংবাদিকতার জন্য এক প্রকার হুমকি।
বিশেষ সূত্র, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোর্স দিয়ে তারা এমন নিউজ করে যেগুলো কেবল বাজারই গরম করে।
স্যার মরার পর তার কবর নিয়ে দেশ যখন দুই ভঅগ হয়ে গেল, মানবজমিন সেইখান থেকে ফায়দাটা লুটে নিচ্ছে। অনলাইন পত্রিকা বাংলানিউজ ২৪ও একই কাজ করছে।
নিউইয়র্কে অনেক ব্যক্তিগত সাইট থাকে, সেসব সাইটের বরাত দিয়ে তারা নিউজ করে।
অথচ তাদের নিজস্ব কোনো রিপোর্টার নাই। এইসব রিপোর্টে তারা নামও দেয় না। উদ্দেশ্য, পাবলিকের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সার্কুলেশন বাড়ানো।
মানবজমিন বা এই টাইপের পত্রিকাগুলোর এই সব বিষয় অনেক পুরনো।
কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখা যায় অনেক বিজ্ঞ লোকও এইসব পত্রিকার নিউজের লিংক দেয় নিজেদের যুক্তির পক্ষে।
অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ে তারা এমন সব হাস্যকর সংবাদ করে, যা রীতিমত হাস্যকর। সর্বশেষ উদাহরণ হলো হুমাযুন আহমেদ আর শাওন।
ব্লগারদের অন্তত এই বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।