আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্বাষ করতে চই আমার দেশের সব লোক এখনও খারাপ হয়ে যায়নি। ইদানিং আলাপ আলোচনার সবচেয়ে মজার বিষয় হল পদ্মা সেতু। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যতটুকু জানি টা হল বাংলাদেশের শব বড় প্রজেক্টেই বিদেশি সাহায্য লাগে। সাথে এটাও জানি যে সকল কাজেরই একটা বড় ভাগ আমাদের কর্তা ব্যাক্তিরা খেয়ে ফেলেন। আমরা সব দেখি বুঝি এবং জানি।
ব্যাপারটা এখন আর কেউ মাইন্ড করেনা। পদ্মা সেতু নিয়ে যখন ই কথা শুরু হল আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এখানেও তার কোন ব্যাতিক্রম হবেনা। কিন্তু এবার জা হল টা একেবারে অভূতপূর্ব। টাকা খাওয়ার গন্ধ এমন ভাবে ছড়াল যে সেতুর কাজ শুরু হবার আগেই টা বন্ধ হএ গেল। কারন বিশ্বব্যাঙ্ক টাকা দেবেনা।
তাদের কাছে মনে হয়েছে টাকা দিলে তার ব্যাবহার ঠিকমত হবেনা। এতা তাদের অভিমত। এটা অবশ্যি আমাদের জন্য লজ্জার। আমরা অবশ্যি বিশ্বব্যাংকের বিরোধিতা করব। তবে পাশাপাশি কারনটাও ত দেখতে হবে কন সাহসে, কার টাকা চুরির ভয়ে তারা টাকা দিলনা।
কিন্তু আমরা কি করলাম? সরাসরি বলে দিলাম সব দোষ বিশ্ব ব্যাংকের। আমরা এড়িয়ে গেলাম আমাদের ভিতর বাস করা চোরদের যারা হয়ত এই পুর ঘটনার জন্যে দায়ী। আমরা পারিও...........................।
এত গেল পুরান ঘটনা। এখন কিছু লকজন উঠে পড়ে লেগেছে যেমনেই হোক সেতু একটা বানাতেই হবে।
নয়ত আর মান থাকছেনা। একজন বলে একবেলা না খেয়ে সেতু বানাবে- (যে দুইবেলা খেটে একবেলার খাবার যোগায় তার খাবার টাও কি কেড়ে নিবেন নাকি?) । একজন বলে ৩২ কোটি হাত দিয়া নাকি সেতু বানায়া ফেলবে। এই ৩২ কোটি হাতের ৫০ হাজার ও যদি রাজনীতিবিদের হাত ধরি তাহলে তারাই যথেষ্ট বাকি হাতের কামাই করা পয়সা লুত করে ফেলা। গরিবের হাত ব্যস্ত থাকে কাজে, কারন তার হাত বন্ধ থাকলে পেটে ভাত জুতবে না।
সব হাত যদি সেতু বানাতে লেগে যায় তাহলে নাখেয়েই মরবে অর্ধেক। অবশ্য এতে মানুষ কিছু কমবে। কি আর বলব মাথাটাই নষ্ট হয়ে যায়। একটা দেশ সামান্য কয়েকটা চোর বাটপার এর ক্ষমতার কাছে জিম্মি। সবচেয়ে হতাশ হই যখন একটাও প্রকৃত দেশপ্রেমি রাজনিতিবিদ চোখে না পড়ে।
একটাও না। কোন দলেই দেখিনা। কোথাও দেখিনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।