আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরুষ নির্যাতনের কেস কি একটাও হতে পারে না?

আমার সামনের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় প্রতি রাতেই ভাংচুরের শব্দ শোনা যায়। মিনিট পাঁচেক চলে এই ধরনের গ্লাস, হাড়ি পাতিলের ধ্বংসযজ্ঞ। তারপর চড় থাপ্পড়ের শব্দ। তবে কোন কান্নার শব্দ আসে না। এইটাও হয়, সময় মেনে।

রাত দশটা থেকে এগোরাটার মধ্যে। গত মাসের তিরিশ তারিখে বাড়ীর মালিককে বলেছি, বাসা ছেড়ে দিব। সেই থেকে মনস্থির করেছি, পাশের ফ্ল্যাটে আসলে কি হয়, যাবার এগে অন্তত এইটা দেখে যাব। গতকাল, রাত নয়টা থেকে অপেক্ষা করছি। একবার আমার ড্রইং রুমের দরজায় কান পাতী, আর একবার লুকিং হোলে চোখ রাখি, কোন অবস্থাতেই সেই চির চেনা ভাংচুরের শব্দ শোনা যাচ্ছে না।

মন খারাপ করে, টিভি দেখতে বসলাম। হঠাৎ শুনি সেই ভাংচুরের শব্দ। আমি দরজা খুলে বের হয়ে সামনের ফ্ল্যাটের দরজায় কান পাতী। ওই বাসার মহিলার কথা শোনা যাচ্ছে, থেমে থেমে মিউজিকের মত গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ। বেল বাজানো শুরু করলাম, বাজীয়েই যাচ্ছি।

অবশেষে দরজা খুল্ল। আমি কোন কথা না বলে ওদের রুমে ঢুকে গেলাম। রুমের দৃশ্য অনেকটা এমনঃ মহিলার হাতে লম্বা একটা কাঠের স্কেল, বাড়ীর পুরুষ কর্তা সোফার এক কোনায় বসে চোখের পানি মুচ্ছে, ৫/৬ বছরের মেয়েটি বিছানায় বসে অংক করছে, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাঁচের টুকরা। আমি রীতিমত ভয় পেয়ে বলিঃ সরি আপু, সেই কাল থেকে আমাদের ডিশের লাইন অফ। আপনাদেরটা ঠিক আছে কিনা দেখতে এসেছিলাম।

জবাবে মহিলা কোন কথা বলে না, শুধু রক্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি বাসায় এসে চিন্তা করছি, এই পুরুষ কর্তার প্রতিদিন ধোলাই খাবার কারণ কি হতে পারে? দেশে নারী নির্যাতনের কেস প্রতিদিন শতটা এন্ট্রি হয়, পুরুষ নির্যাতনের কেস কি একটাও হতে পারে না? হোক সেটা শারীরিক কিম্বা মানসিক! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.