মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল! অনেক অল্প বয়স থেকেই কার্ড বা তাস খেলার প্রতি আমার দারুন নেশা! তবে স্কুলের গন্ডিটা পার করেছি সঙ্গী সাথীর অভাবে ইচ্ছে থাকলেও মন প্রান ঢেলে সময় দিতে পারিনি –কলেজে গিয়ে সেটুকু পুষিয়ে দিয়েছি। রাশিয়ায় শীতকালের প্রায় পুরোটা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবার কোন মানে হয়না। ক্লাসের কয়েক ঘন্টা বাদ দিলে প্রায় সারাদিন হোস্টেলের মধ্যে বন্দি। টিভি ছিলনা তাই দেখার প্রশ্নই আসেনা- থাকলেও এত অল্প ভাষা জ্ঞান নিয়ে কতটা মনোরঞ্জন হত সেটা একটা ব্যাপার। কম্পিউটারের কথা ভাবা যায়নআ (এতটাই মহার্ঘ্য বস্তু ছিল, যা কেনার কথা শুধু অর্থবানরাই ভাবতে পারত তখন)-মোবাইল ইন্টারনেটের যুগ তখনো শুরু হয়নি।
গল্প করে আর ওয়াকম্যানে গানশুনে আর কতটা সময় কাটে? কার্ড খেলার গ্রুপ ছিল, কিন্তু কার্ড ছিলনা।
বাইরে বেরুলে ছোট ছোট গাজিয়াতি বা পত্রিকার দোকান থেকে শুরু করে মদের দোকানের শেষ র্যাক অব্দি ভাল করে নিরিক্ষন করতাম তাসের প্যাকেট দেখা যায় কিনা?
আজব ব্যাপার রাশিয়ানরা কি কার্ড খেলে না?
বহুদিন খুজে অবশেষে হদিস পেলাম এক প্যাকেট কার্ডের। ঝকমকে চকচকে নয় অতি সাধারন ছাপার-আমরা যাকে বলি ‘বগলা’(দেশীয় সব’চে নিচু মানের কার্ড)তার থেকে একটুখানি অভিজাত চেহারার প্যাকেটটা দেখে চরম পুলকিত হয়েছিলাম। প্যাকেটটা হাতে নিয়ে বেশ হালকা লাগলেও অন্য কিছু মনে হয়নি।
সন্ধ্যে নামতেই আসর বসল জমিয়ে।
তাসের প্যাকেট খুলতেই ঝকঝকে নতুন তাস দেখে মন জুড়িয়ে গেল। কিন্তু একি! রাজা রানী গোলাম এর চেহারা কেমন যেন অচেনা । চিরপরিচিত K Q J এর পরিবর্তে রুশ ভাষায় К(K),Д(D),В(V)?
আর টেক্কা? তার যে হদিস নেই!
Kতে না হয় কিং বা রাজা বুঝলাম- কিন্তু ডি আর ভি তে কি হয়? অনেক খুজে T খচিত কার্ডের মাঝখানে একটা ফোটা দেখে বুঝলাম এটা টেক্কা! যাক টি তে টেক্কা মিলেছে ভাল। বাকিগুলো তখনকার মত আন্দাজ করে নিয়েছিলাম কিন্তু সমস্যা ছিল অন্যখানে।
( Кতে Король(King), Д তেдама(queen or dame), В তেвалет(Jack or knave). আর T তে Туз (Ace)তুজ্ব.)
আমি আমার অতিপরিচিত কার্ডের প্যাকেটে সবসময় বায়ান্নখানা তাসই দেখেছি -অতিরিক্ত দুইটা জোকার আর একটা বর্ষ পঞ্জিকা মিলে পঞ্চান্ন খানা হয় কিন্তু সব শুদ্ধ বত্রিশখানা কার্ড না কখনো দেখেছি না শুনেছি।
দুই থেকে পাঁচ পর্যন্ত সংখ্যাই নেই। টেক্কা থেকে সরাসরি ছয়ে চলে গেছ! প্রথমে ভেবেছিলাম- প্যাকেটে মনে হয় কার্ড বিশখানা কম। মন খারাপ করে সেরাতে খেলেছিলাম কোনমতে গোজামিল দিয়ে। কিন্তু পরে দোকানে গিয়ে অনেক খুজে ভিন্ন ভিন্ন ব্রান্ডের আরো কয়েক প্যাকেট কার্ড কিনে দেখলাম সব কার্ডের প্যাকেটেই তাসের সংখ্যা ছত্রিশ!
কি আর করার,পরে অন্য এক প্যাকেটের বিশখানা কার্ড নিয়ে নীচের সারির সংখ্যাগুলো হাতে লিখে খেলা চালিয়েছি।
‘দুরাক’অর্থ বোকা বা নির্বোধ যা রাশিয়ানদের অতি প্রিয় তাসের খেলার নাম! না একটু ভুল বললাম মনে হয় দুরাক শব্দটাই ওদের বেশ প্রিয়- কথায় কথায় ওরা বলে 'দুরাক স্তো লে'? মানে 'বেকুব নাকি?' 'অন কাক দুরাক'- সে কি যে বোকা! কিন্তু আমার জানা নেই 'দুরাক' কি রুশীয় শব্দকোষ থেকে খেলার নামকরন হয়েছে কিনা?
ফের খেলায় ফিরে আসি- 'দুরাক' মোট ছত্রিশটি কার্ড দিয়ে খেলতে হয়।
খেলোয়ার বেশী থাকলে বায়ান্ন কার্ডেও খেলা সম্ভব। দুই পাটি তাস নিয়ে নীচের সারির পাচটি করে কার্ড ফেলে দিলেই হয়ে গেল বায়ান্নটা। তবে সমস্যা হল সব কারোল, দামা, ভ্যালোদ আর তুজ্ব তখন চারটের পরিবর্তে আটটা করে হয়ে যাবে। দুই থেকে ছয়জনে এই খেলাটা খেলে। প্রত্যেকে পাবেন ছয়টা করে কার্ড।
খেলাটা না হয় অন্যদিন শেখাব কিন্তু সমস্যা হল ওরা কেন ছত্রিশ কার্ডে খেলে ?ঠিক এইরকম তাস পোলিশ’রা খেলে ওরা বলে Dureń যার অর্থও কিন্তু বোকা। পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশেই এই ধরনের খেলা প্রচলন আছে। আমাদের অতি পরিচিত 'ব্রে' যাকে অনেকে বলে 'ভেড়া' সেই খেলাটার সাথে দারুন মিল 'দুরাক' এর।
তবে মজার এই যে, এই খেলায় কেউ জিতে না শুধু একজন হারে আর সেই হয় ‘দুরাক’। আমরা বলি বার মাসে তের পার্বন’ঠিক তেমনি বায়ান্ন কার্ডের তিপ্পান্ন খেলা আর রাশিয়াতে বত্রিশ কার্ডে তেত্রিশ রকমের ‘দুরাক’খেলার প্রচলন।
যদিও ব্রিজ খেলাও অনেক ধরনের হয় যেমন ব্রিজ-কল ব্রিজ,ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ, অকশান ব্রিজ।
ঠিক তেমনি ওরা খেলে সুমাসেদশীয়ে(পাগল) দুরাক, Подкидной дурак-পাদকিদনোই দুরাক(Thrown Fool), Полный дурак-পলনিয়ে দুরাক(Full Fool), পোকার দুরাক,রেলওয়ে দুরাক( যথা সম্ভব এই খেলাটা রেলগাড়িতে বসে খেলা হয়),আলবেনিয়ান দুরাক সহ আরো কত ধরনের ‘দুরাক’!
একটা কথা ওরা সবাই বলে ‘যদি তুমি কোন রাশিয়ান এর কাছ থেকে শোন,সে একটা মাত্র কার্ড খেলা জানে তবে তুমি নিশ্চিত থাকতে পারে সে ‘দুরাক’টাই খেলতে পারে। 'দুরাক' কে বলা হয় শুধুমাত্র রাশিয়ানদের গেম যাকে রুশীয় ফ্যামিলি গেম হিসেবেও ডাকা যায়।
মদের সাথে কার্ড খেলার একটা যোগ আছে, বিশেষ করে ‘জুয়া’। কিন্তু রাশিয়ারনদের মধ্যে আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি কার্ড খেলার মধ্যে জুয়ার প্রচলন প্রায় নেই।
এখন আধুনিক রাশিয়াতে কতশত ক্যাসিনো আর জুয়ার আখরা। পুজিবাদী রাষ্ট্রের এইটে একটা নগ্ন প্রকাশ। কিন্তু একটা সময় ছিল সিংহভাগ সোভিয়েত নাগরিক জুয়া খেলাটা কি তাই হয়তো জানত না-অথবা জীবন ধারনের জন্য প্রাপ্ত সামান্য অর্থ ওরা কোন মতেই বাজে খরচ করতে চাইত না কিংবা ওরা লোভী ছিলনা। তবে হ্যা দুরাক’নির্বোধটাকে মাঝে মধ্যে দুয়েক বোতল ভদকা দন্ড দিতে হত!
খ্রীষ্টিয় নবম শতক থেকে চাইনিজ মানি কার্ড(錢卡)খেলার প্রচলন ছিল। যে খেলায় কার্ড সংখ্যা ছিল কমবেশী ১২০টি।
যেই কার্ড দিয়ে খেলার ধরন ও ডিজাইন বর্তমান তাসের সাথে সাজুস্য আছে। তবুও চীনের সেই তাস ছিল লম্বা ও সংকীর্ণ,কার্ডের ভিতরে কিছু চাইনিজ অক্ষর ও সংকেত এর সংমিশ্রন। তবে এই চাইনিজ কার্ড যদি বর্তমান ইউরোপিয়ান কার্ডের পূর্বপুরুষ হয়ে থাকে তবে এই কার্ড কিভাবে ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে প্রবেশ করল এবং এর রুপান্তর কিভাবে ঘটল তা আজ আর জানার কোন উপায় নেই।
আবার বলা হয় যে, তাসের আদি জন্ম ভারতবর্ষে। কিন্তু ভারতীয় ইতিহাসে ষোড়শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত কার্ড খেলার কোন উল্লেখ নেই।
তাই কার্ডের জন্ম স্থান যে ভারতবর্ষ সেটা প্রমানিত করার কোন উপায় নেই।
এর পরে আসে জিপসিদের কথা। বলা হয় জিপসিরাই ইউরোপে কার্ড খেলা প্রবর্তন করে। তারা তাদের পকেট কিংবা ঝোলায় লুকিয়ে রাখা এইসব কার্ড দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ম্যাজিক দেখিয়ে মানুষকে বিমোহিত করত। তবে ইউরোপিয়অন ইতিহাস থেকে জানা যায় পনেরশ শতকের আগে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিমান জিপসিরা ইউরোপে প্রবেশ করেনি।
কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই ইউরোপে কার্ড খেলার প্রচলন ছিল।
তবে উনিশ’শ উনচল্লিশ সাথে ইস্তাম্বুলের ‘টপকাপি সারায়ি যাদুঘরে’ প্রফেসর এল এ মায়ার কতৃক আবিস্কৃত এক সেট তাস আগের সব ধ্যান ধারনাকে পাল্টে দেয়। যেটা ছিল পনের’শ শতকের। পরবর্তীতে আরো অনেক খুজে বারশ শতক এমনকি আরো পুরনো দিনের কার্ড পাওয়া যায়। ধারনা করা হয় এগুলো ভুমধ্য সাগরীয় অঞ্চল বিশেষ করে ইজিপশিয়ানদের খেলার কার্ড।
এই কার্ডের সাথে আমাদের বর্তমান চেনা কার্ডের অনেক মিল। এখানেও কার্ডের মোট সংখ্যা বায়ান্ন। তেরটা করে চারটে ডেকে ভাগ করা। দশটি নম্বর যুক্ত আর বাকি তিনটে ছবি যুক্ত। যাদের নাম করন ছিলঃ মালিক,নায়িব মালিক,থানি নায়িব যা ইংরেজীতে - কিং, ভায়েস রয়, অধীনস্ত ভায়েসরয়।
সেই ঘুরে ফিরে রাজা,রাণী,গোলাম আর কি।
প্রথমদিককার ইতালিয়ান কার্ডের সাইজ,প্যাটার্ন,সাংকেতিক চিহ্ণ,ছবি হুবহু প্রায় ঐ রকমই ছিল। এখন যদিও সেই কার্ডের রুপ জৌলুস অনেকটা পাল্টে গেছে কন্তি আপনি নির্দ্বধায় ইস্তাম্বুলের ‘টপকাপি সারায়ি’ যাদুঘরের সেই কার্ড দিয়ে । আধুনিক সব খেলাই অবলীলায় খেলতে পারবেন।
সতের’শ শতকের মাঝামাঝিতে ‘এডমনড হলি’র লেখা Short Treatise বই থেকে জানা যায় আমাদের আজকের অতি পরিচিত ব্রিজ বা কল ব্রিজ খেলা রাশিয়ান Вист(ভিস্ত)Whist খেলা থেকে এসেছে।
এই একটা মাত্র সুত্র ছাড়া ১৮০০ শতকের আগে রাশিয়াতে কার্ড খেলার প্রচলন ছিল বলে জানতে পারিনি!
ইংরেজ নাবিক জেমস ল্যানচেস্টার এর ব্যক্তিগত ডায়েরী থেকে জানা যায়, ১৮৩৪ সালে তিনি তার জাহাজে জনৈক আলেকজান্দার বার্নেস এর কাছ থেকে কার্ড খেলা শেখেন যেই কার্ডের প্যাকেট পবিত্র শহর ‘বুখারা’থেকে আনা হয়েছিল। যার মধ্যে ছত্রিশটা মাত্র কার্ড ছিল। এবং খেলাটা হল ‘দুরাক’ যা শুধুমাত্র রাশিয়ানরাই খেলে থাকে।
অফটপিক: আমেরিকান প্রথম প্রেসিডেন্ড জর্জ ওয়াশিংটন বিজ খেলা নাকি দারুন পছন্দ করতেন। তিনি এই খেলাটা আরো রোমাঞ্চকর করতে অল্প বিস্তর অর্থও বাজি ধরতেন।
…
অনেক পরে ছত্রিশ কার্ড ফেলে বায়ান্ন কার্ডের দেখা পেয়েছিলাম। একটা সময় নিত্য নতুন ধারার কার্ড খেলার প্রতি আমার ঝোক ছিল। তেমন মনের মত পার্টনার না পেয়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে বসে তাস বিষয়ক যত বই আছে সেগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তাম। সেখানথেকেই অকশান আর ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজের কায়দাকানুন শিখেছি। একটা সময় ছিল যখন আমি কমবেশী ত্রিশ ধরনের কার্ড খেলা জানতাম।
বন্ধুদের নতুন নতুন খেলা শিখিয়ে তাক লাগিয়ে দিতাম!বহুবছর কার্ড খেলে একটা মাত্র স্বীকৃতি পেয়েছিলাম। সেটা রাশিয়ায় বাঙ্গালী ব্যাবসায়ী কমিউনিটিতে ইন্টারন্যাশলাল ব্রিজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম আমার এক বন্ধুস্থানীয় বড় ভাই সোহেলকে পার্টনার করে। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলাম একটা মাগনিতোলা(ডেক সেট) আর আড়াইশ ডলার। সোহেল ভাই বড় হৃদয়ের মানুষ, তিনি কোন ভাগ নেননি আমাকে পুরোটাই দিয়ে দিয়েছিলেন তার ক’দিন বাদেই দেশে ফিরে এলাম শেষবার হাতে করে সেই ডেকসেটখানা।
কার্ড খেলার প্রতি আমার এমন দুর্দমনীয় আকর্ষন আমি আগে সেভাবে টের পাইনি।
রাশিয়াতে একটু অবসর পেলেই এক প্যাকেট তাস নিয়ে বসে যেতাম। পার্টনারের অভাব হত না কখনোই। ও হ্যা সেই সব খেলা মোটেই খুব বেশী নিরামিষ ছিলনা- মাঝে মধ্যে আমিষের সহযোগ হত!সেই যে শুরু তার লাগাম টেনে ধরতে লেগেছে অনেকগুলো বছর। কি যে এক দুর্বার টান অনুভব করেছি সেই সময়টা – কখনো কখনো ক্যাসিনোর টেবিলে অভিজাত কেতায়- কখনো রাস্তার মোড়ে ভার্চুয়াল স্লট মেশিনে। নাওয়া খাওয়া ভুলে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেত কার্ড খেলে।
প্রায় এক যুগ ধরে আমি যেখানেই বেড়াতে গিয়েছি এক প্যাকেট আনকোরা কার্ড আমার পকেটে থেকেছে। বন্ধুরা কেউ কার্ড নেবার কথা ভাবতনা- আমি আছি বলে।
একটা সময় ছিল আমার সপ্নের কথা কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি বলতাম পকেটভর্তি ডলার নিয়ে লাস ভেগাস বা মন্টিকালোর্তে বসে মনের সাধ মিটিয়ে পোকার আর ব্লাক জ্যাক খেলব। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের চারের এক ভাগ সময় অপচয় হয়েছে নির্বোধের মত কার্ড খেলে। সেই হিসেবে আমি একজন সত্যিকারের ‘দুরাক’।
ফুটনোট:তাস সন্মন্ধে যাদের নুন্যতম ধারনা নেই তাদের এই পোষ্টটা বুঝতে একটু অসুবিধে হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। -রিপোস্ট ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।