মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল! (লেখার অংশবিশেষ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। )
জগদ্বিখ্যাত রুশ উপন্যাসিকদের লেখা পড়ে আমাদের অনেকেরই ধারনা ছিল যে রুশ সমাজে নীচু শ্রেনীর কিছু নারী বাদে বাকি সবাই ঘর সামলানো সাজগোজ পার্টি সন্তান উৎপাদন আর পুরুষদের মনোরঞ্জন নিয়ে ব্যাস্ত থাকে (লেখাগুলো বেশীর ভাগই ছিল কমিউনিজম আমলের আগেকার)। কিন্তু আমি গিয়ে দেখলাম অন্য এক রাশিয়াকে।
যেখানে সমাজের মুল চালিকা শক্তিই নারী। যুদ্ধ বিগ্রহ,পুরুষ সন্তানের প্রতি অনাগ্রহ আরো বেশ কিছু কারনে রাশিয়াতে আনুপাতিক হারে নারীর সংখ্যা এমনিতেই বেশী ছিল।
তবে আমার প্রিয় শহর তাম্বুভে তুলনামুলক এই সংখ্যাটা মনে হয় আরো বেশী।
সারারাত তুমুল বরফ ঝড় হয়েছে –সবকিছু বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে – জীবনযাত্রা বন্ধ হবার উপক্রম। আপনি হয়ত ঝড়ের তান্ডব শুনে দুপুর অব্দি কম্বল ছেড়ে বের হতে চাইছেননা। দিনের পাতলা আলোয় জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখুন। দেখুন রুশ নারীদের কর্ম তৎপরতা! কত রমনী এই ভয়ঙকর আবহাওয়া উপেক্ষা করে এমন কঠিন শীতে ভারি পোষাক পড়ে বেলচা হাতে রাস্তা থেকে বরফ সরিয়ে দিচ্ছে।
স্কুল কলেজের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে দারোয়ান,বাস, ট্রাক, ট্রেনের ড্রাইভার সব পেশাতেই মেয়েরা ছিল-দিন কি রাত উদয়অস্ত তারা খেটে চলছে। কোথাও তাদের কোন বৈষম্যের হতে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। বরংচ মেয়েদের দাপটে পুরুষরাই কোনঠাসা হয়ে ছিল!পরিবার সমাজ রাষ্ট্র সবকিছুর দায়িত্ব যেন নিজেদের কাধে তুলেছিল মেয়েরা। সংসারের সব কতৃত্ব আর দায়িত্বই যেন ছিল তাদের হাতে।
আমরা যেমন বলি পুরুষের কাধে কাধ মিলিয়ে নারীরা কাজ করছে- আর সেখানে কথাটা হবে যেন উল্টো; নারীদের কাধে কাধ মিলিয়ে পুরুষেরা কাজ করছে।
আড়াইশ পাউন্ড ওজনের এক পৌঢ় মহিলা ঠোটে চকচকে লাল লিপিস্টিক লাগিয়ে উচু হিল পরে বাসে ধরতে দৌড়াচ্ছে এ দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ত।
আমরা রাস্তা হারিয়ে ফেললে বা কোন বিপদে পড়লে কোন কিছু না ভেবে প্রথমেই সাহায্য চাইতাম কোন নারী বা পৌঢ়ার কাছে। তাদের মমত্ববোধ ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার সহজাত প্রবৃত্তি নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা আমার অনেকগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল।
রুশ পরিবারে কোন বিধিনিষেধ না থাকার পরেও প্রায় সবারই একটা সন্তানের বেশী নেবার আগ্রহ দেখা যায় না। তবে দুটো তিনটে থেকে শুরু করে বারোটা পর্যন্ত সন্তান নিয়ে থাকা পরিবারও দেখেছি আমি।
একটা সন্তান সেটা ছেলেবা মেয়ে হোক তা নিয়ে কাউকে আফসোস করতে দেখিনি। মায়েদের কাছে বরংচ ছেলে সন্তানের থেকে মেয়ে সন্তানের গ্রহনযোগ্যতা বেশী ছিল। কুমারী মাতা স্বামী পরিত্যাক্তা তালাক প্রাপ্তা বিধবা ছিল অগুনতি। পুরুষের সহযোগীতা ছাড়াই এইসব নারীরাই মুলত তাদের সন্তানকে আগলে রেখে পরিবারটা টিকিয়ে রাখত বাকি জীবন। মেয়েদের সাথে মায়েদের এমন হৃদ্যতা আমার ধারনা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে তেমন করে চোখে নাও পড়তে পারে।
মা মেয়ের কি দারুন বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিল। এমন দৃশ্য বিরল ছিলনা মা মেয়ে দুজনেই তাদের বয়ফ্রেন্ড নিয়ে একই ছাদের নীচে মাসের পর মাস কাটাচ্ছে পুরুষ সঙ্গী পরিবর্তন করছে অথচ কারো কোন অভিযোগ নেই। মা মেয়েদের পরার্ম দিত প্রভাব বিস্তার করত কিন্তু স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করত না। মেয়েরাও মা ন্যাওটা হয়ে থাকত সব সময়। পিতৃহীন সমাজটাকে তারা মেনে নিয়েছিল অবলীলায়।
কোন অভিযোগ অনুযোগ ক্ষোভ ছিলনা কারো। আমার যতদুর মনে পড়ে স্কুল কলেজ চাকরিতে শুধু মায়ের নাম দিলেই চলে পিতৃ পরিচয়ের প্রয়োজন পড়েনা।
আমাদের ইনস্টিটিউটের অতি প্রিয় শিক্ষিকা তাতিয়ানা পাবলানা রুশ ভাষা শিক্ষার কোর্স শেষ করার পরে বার বার অনুরোধ করেছিলেন সবার মেয়ে বান্ধবী যোগাড় করার জন্য বা মেয়েদের সাথে বেশী বেশী মেশবার জন্য- কেননা একমাত্র নারীরাই পারে শিশুর মত করে অতি যত্নে কাউকে ভাষা শেখাতে।
কোন সমস্যা নেই -নেই কোন মান অভিমান কিংবা বাগ বিতন্ডা! মা আর যুবতী মেয়ে তাদের পুরুষ সঙ্গী নিয়ে পাশাপাশি রুমে রাত কাটাচ্ছে-এই দৃশ্য অতি সাধারন ছিল!কেন যেন মেয়ে সন্তান থেকে ছেলে সন্তানদেরকে মায়েরা একটু বেশী শাসন করত-হয়ত সহজেই তারা উচ্ছন্নে চলে যেতে পারে সেই ভয়ে! ১৮ বছর বয়সে নাকি পাগল আর অসুস্থতা ব্যতিত সব রুশ যুবকের আর্মি ট্রেনিং বাধ্যতামুলক ছিল! ট্রেনিং এর সময়টাতে কোন যুদ্ধ বেধে গেলে সেখানে তাদের অংশগ্রহনও বাধ্যতামুলক ছিল!
আর্মি ট্রেনিংটা আমি কেন, সবাই-ই সাপোর্ট করে। একজন পুরুষের শারিরিক গঠন ও কর্ম তৎপরতার জন্য এমন একটা ট্রেনিং এর প্রয়োজন আছে- কিন্তু যুদ্ধ বাধ্যতামুলক অংশগ্রহন এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
আর এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় সোভিয়েত ইউনিয়ন হারিয়েছে শত সহস্র সদ্য কৈশর উত্তৃর্ন টগবগে তরুনদের। মায়েরা হারিয়েছে একমাত্র সন্তানদের। রুশ মায়েদের পুরুষ সন্তানের প্রতি অনাগ্রহতার মনে হয় এটা একটা বড় কারন।
রুশ সমাজে ধর্ষন অপহরন একরকম ছিলনা বললেই চলে(আমি তেমন কখনো শুনিনি)। তাই মায়েদের মনে ভয় কিংবা শঙ্কা ছিলনা তেমন!মেয়েদের তারা ঘরে একা রেখে কিংবা বাইরের দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে নিঃসঙ্কোচে পাঠাতে পারত!মেয়েদের যত ভয় তাদের শরির নিয়ে –রুশ নারীরা শরির নিয়ে অত ভাবিত ছিল না কোন কালে।
শুচি-অশুচি আর ভার্জিনিটি নিয়ে তারা কখনো ভাবেনি বিশেষ। কাউকে ভাল লাগলে বিছানায় যেতে দ্বীধা নেই-হোক সেটা প্রথম দিনেই। সমস্যা কি- বিষয়টা নিয়ে বেশী ভাবলেই সমস্যা-কোন কিছু না ভেবে উপভোগ কর।
রাশিয়ার বেশীরভাগ পুরুষেরা অন্যান্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মত নারীদেরকে মুখ্যত ভোগের সামগ্রী মনে করত যা আমাকে বরাবরই বেশ পীড়া দিয়েছে। কিন্তু প্রেমের প্রথম পর্বে ওরা এতবেশী আদিখ্যেতা করে যা দেখে গা জ্বলে।
ঢলাঢলি গলাগলি চুম্বন লেহন আর বিপরিদ লিঙ্গের প্রতি মমত্ববোধ দেখে মনে হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেমিক জুটি!
আর মেয়েরাও তেমন। আমর ধারনা,রুশ নারীরা আর সব ব্যাপারে বিচক্ষন হলেও প্রেম আর যৌনতার ব্যাপারে তারা ভীষন বোকামীর পরিচয় দেয়। ভাল করে পরিচয় পর্বের আগেই শারিরিক সম্পর্ক ওদের প্রণয়ের শুরুতেই গোল বাধিয়ে দেয়।
ওরা শরির দিয়ে মনকে বাধতে চায়-যেটা নিঃসন্দেহে বোকামী। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়-ছেলে মেয়ে দু-পক্ষেই উল্টো চরিত্রের খুজলে গুটিকতক মিলবে।
তীর্যক চাহনী , বক্র হাসি, ভ্রুর নাচন আর ধরা দিতে গিয়ে না দেয়ার যে দারুন স্নায়বিক উত্তেজনা। হৃদয়ের প্রগাঢ় বন্ধনের পর প্রিয়ার শরিরের সামান্য স্পর্শের যে স্বর্গীয় অনুভুতি-সেটা ক’জনের ভাগ্যে জোটে খোদা জানে।
পেরোস্ত্রোইকার পরবর্তী কয়েকবছর সময় সারা রুশ জাতিই দিক্ভ্রান্ত ছিল। কি উপায়ে প্রকাশ করলে মনের সত্যিকারের স্বাধীন ভাবটা ফুটিয়ে তোলা যাবে এই ভেবে পুরো যুবসমাজ ছিল দিশেহারা। আর বয়স্করা তাল মেলাতে না পেরে ঝিম মেরে ছিল।
নতুন ধরনের চলচ্চিত্র আসছে,অন্যরকম সুর আর কথার মেলবন্ধনে কিছু ভাল আর কিছু উৎকট গান। হাটা চলা কথা পোষাক খাদ্য রুচি সবকিছুতেই দ্রুত পরিবর্তনের ছোয়া। এত দ্রুত যে বেশীরভাগই তাল মেলাতে না পেরে হোচট খাচ্ছে।
টিভি চ্যানেলগুলো কি করবে-দর্শকদের কি দেখাবে খুজে না পেয়ে ঝুকে পড়ল নিত্য নতুন ভিডিও গান প্রচারে।
গায়ক কিংবা গায়িকা এলোমেলো সুর লয়ে উৎকট মিউজিকের সাথে সল্প বসনা গাদা গাদা মেয়েদের(ছেলেরাও থাকত কমবেশী) লম্ফ ঝম্ফ-ই ছিল সেই সব ভিডিওর মুল আকষর্ন।
ঠিক সেই সময়টাতে রাশিয়ার জনপ্রিয় একটা গান ছিল,
সেক্স সেক্স কাক এতা মিলা
সেক্স সেক্স বেজ পেরেরিভা…
কাক এতা মিলা শব্দের অর্থ দারুন অনুভুতির কিংবা ভীষন মজার
আর বেজ পেরেরিভা অর্থ বিরতিহী
গানের কথা খারাপ না ভাল সেই তর্কে আমি যাবনা- ভালবাসা আর সেক্স'কে যে যেই দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখে, সেটা একটা দেশ বা জাতি কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব ব্যাপার। তবে সেক্স বিষয়টা ওদের কাছে এতবেশী খোলামেলা সাটামাটা ছিল যে- শরির থেকে মনের দুরত্ব বড্ড বেশী মনে হত।
আমি নারী পুরুষ অনেকের মুখেই শুনেছি- বিশেষ করে নারীদের মুখেই বেশী;
স্পাতস ম্বোজ্বনা স্ ম্নোগম নু লুবভ ম্বোজ্বনা স্ আদনোম।
অনেকের সাথেই বিছানায় যাওয়া যায় -কিন্তু ভালবাসা যায় একজনকেই।
আহা কি মহান বাণী! শুনলে শরির জুড়িয়ে যায়!
পুরো সোভিয়েত ইউনিয়নে একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিল এক সময়;
ইয়েস্তে তাকোই জ্বেনসিনা ইখতো নি স্পালি স্( উচ্চারন হবে খুব ছোট করে ‘এস’) দ্রুগোম -কাগদা ইম মুশিনা বিলি ভায়োন্নে?
কথাগুলো ছিল নারীদের জন্য ভীষন অবমাননাকর।
ভাবখানা এমন যে সুযোগ পেলেও পুরুষেরা নারী সান্নিধ্যে যায়না।
‘আছে তেমন কোন রমনী যে, অন্য পুরুষের সাথে বিছানায় যায়নি -যখন তাদের স্বামীরা ছিলেন যুদ্ধে?’
তবে এই কথা শুনে কোন নারীর ঠোট বাঁকাতে দেখিনি। তারা যেন কথাগুলো উপভোগ-ই করত। হেসে বলত, 'হতে পারে। তবে তারা নিশ্চয়ই পর পুরুষের সাথে বিছানায় গিয়েছিল- তাদের ব্যাপারে কেউ কি কিছু বলে বলে শুনেছ?'
সেক্স আর এমন কি বিষয় –এই নিয়ে হল্লা –চিল্লা করার কি আছে।
হুম ভালবাসা বটে একখানা জিনিস- তারাতো সেক্স করেছে ভালতো বাসেনি?
এটা অনস্বীকার্য যে রুশ নারীরা ভালবাসার জন্য বুভুক্ষ ছিল! তারা যেকোন উপায়ে –অনেক ত্যাগের বিনিময়ে তার প্রিয়জন তাকে ভাল বাসুক এইটেই কামনা ছিল। কিন্তু প্রায়ক্ষেত্রেই তারা অসফল হত। আমার ধারনা রুশীয় নারীরা ইউরোপের অন্য যেকোন নারীদের তুলনায় অনেকবেশী আবেগপ্রবন( ধারনাটা শুধু আমার নয় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আমার বন্ধুদেরও সেই ধারনা)। অল্প কষ্টেই ওরা মন-খুলে কাদতে পারে! আর রুশীয় পুরুষদের একটা বড় অংশ বরাবরই তাদের সেই আবেগ আর ভালবাসার মুল্যায়ন করেনি। শরিরটাকে যদ্দিন ভাল লেগেছে তদ্দিন মনের খোরাক মিটিয়েছে।
শরিরের আবেদন শেষতো ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে তাদের দৃষ্টিতে সস্তা ভালবাসাকে।
ভারতীয় বাস্তব বিবর্জিত ভালবাসার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ বা হরহামেশা জান দিয়ে দেয়া চটুল কাহিনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখে কিছু অংশের ধারনা জন্মেছিল যে সর্তিকারে ভালবাসতে পারে এরাই। এই ভেবে কেউ কেউ ঝুকেছিল ভারতীয় তথা আমাদের দিকেও। কেউবা একটু ভাল খাবার বা পোষাকের আশায় কিংবা নতুনত্বের খোজে।
যেই পুরুষ পয়সা দিলেও পতিতা ফিরিয়ে দেয়- তাদের হাতে ধরা দিল দুর্দন্ত সব অপ্সরীরা।
সপ্নের ঘোর কাটতেই তারা জাত দেখাল!
কেউ কেউ ক্যালেন্ডারের পাতায় ত্রিশ দিনে ত্রিশটা নাম লেখে কেউবা আরেক কাঠি সরেস নারী শরিরের খাজে খাজে আরো কোন বিস্ময় লুকিয়ে আছে কিনা সেই খোজা মত্ত অবস্থায় অন্যজনের করাঘাত! একে জানালা দিয়ে ভাগিয়ে দরজা খুলে হাসিমুখে সদ্যআগতাকে সম্ভাষন।
খোলামেলা বললে অনেককিছুই বলা যায়। এগুলো যদি নোংরামী হয় তবে তা দেখে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। পাঠকের স্নায়ুকে আঘাত করা আর ঠিক হবেনা বলে আর কিছু না লিখে ক্ষান্ত দিই।
একটা মাত্র শ্যাম্পেন যা ডলারে চার পাচ বোতল পাওয়া যেত সাথে ফুল কিংবাএকটা পাউরুটির মুল্য দিয়ে নির্ধারন করা হত এক রুশ নারীর শরিরের মুল্য! ভালবাসার ছলনায় ভুলে কতশত রুশীয় নারীরা তথাকতিথ ভারতীয়(পাকিস্থান নেপাল বাংলাদেশ সহ)কতৃক অন্তসত্বা এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছে তার কোন ডাটা কারো কাছে নেই।
তাইতো একসময় বলতাম,‘সুযোগের অভাবে সব শালাই(!) চরিত্রবান। ’
সদ্য রাশিয়া ফেরৎ আমার এক বন্ধুর কাছে রাশিয়ার হাল হকিকত জানতে চাইলে সে এক পর্যয়ে বলল,সেই দিন আর নাইরে। কোন ফকিনন্নিও ফিরে তাকায়না!
*এর মানে এই নয় যে রুশীয় নারীরা এতবেশী সহজলভ্য ছিল। এগুলো ঘটত মুলত হোস্টেলগুলোতে-যেখানে নারী পুরুষের অবাধ স্বাধীন বিচরন!কেউ কেউ বহুচেষ্টাতেও রুশ জীবনে একটা বিগতা যৌবনা নারীর সান্নিধ্যও পায়নি( বিশেষ করে অন্য দেশে যাবার ধান্দা বা ডাঙ্কি-র জন্য যারা রাশিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে বেছে নিত, কেউ কেউ ওখানে দু-চার পাচ বছরও কাটিয়েছে)। মুলত; ছাত্র নামধারী উটকো অর্থবানদের বখে যাওয়া সন্তানরাই এসবের সাথে জড়িত ছিল।
আগের পর্বের জন্য Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।