মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল! 'মস্কৌয়েতে কয়দিন যে হোটেলে ছিলুম তার নাম্য গ্রান্ড হোটেল। বাড়িটি মস্ত, কিন্তু অবস্থা অতি দরিদ্র। যেন ধনীর ছেলে দেউলে হয়ে গেছে। সাবেক কালের সাজসজ্জা কতক গেছে বিকিয়ে, কতক গেছে ছিঁড়ে, তালি দেওয়ার সংগতি নেই, ময়লা হয়ে আছে-ধোবার বাড়ির সম্পর্ক বন্ধ। সমস্ত শহরের অবস্থা এইরকম-একান্ত অপরিচ্ছন্নতার ভিতর দিয়েও নবাবী আমলের সাজসজ্জা দেখ যাচ্ছে, যেন ছেড়া জামাতেও সোনার বোতাম লাগানো, যেন ঢাকাই ধুতি রিফু-করা।
আহারে ব্যবহরে এমন সর্বব্যাপী নির্ধনতা য়ুরোপে আর কোথাও দেখা যায়না।
…মস্কৌয়ের রাস্তা দিয়ে নানা লোক চলছে। কেউ ফিটফাট নয়, দেখলেই বোঝা যায় অবকাশভোগীর দল একেবারে অর্ন্তধান করেছে, সকলকেই সহস্তে কাজকর্মকরে দিনপাত করতে হয়। বাবুগিরির পালিশ কোন জায়গাতেই নেই। ডাক্তার পেট্রোভ বলে এক ভদ্রলোকের বাড়িতে যেতে হয়েছিল, তিনি এখানকার একজন সম্মানী লোক, উচ্চ পদস্থ কর্মচারী।
যে বাড়িতে তাঁর আপিস সেটা সেকালের একজন বড়োলোকের বাড়ি কিন্তু ঘরে আসবাব অতি সামান্য,পারিপাট্যের কোন লক্ষন নেই-
নিস্কার্পেট মেঝের এক কোনে যেমন তেমন একখানা টেবিল; সবশুদ্ধ পিতৃবিয়োগে ধোপা-নাপিত-বর্জিত অশৌচদশার মত শয্যাসনশুন্য ভাব, যেন বাইরের লোকের কাছে সামাজিকতা রক্ষার কোন দায় নেই। আমার বাসার আহারাদির যে ব্যবস্থা তা গ্রান্ড-হোটেল নামধারী পান্থবাসের পক্ষে নিতান্তই অসংগত। কিন্তু এজন্যে কোন কুন্ঠা নেই- কেননা সকলেরই এক দশা!
সাল ১৯৩০, ১৯ সেপ্টেম্বর, মস্কৌ। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর -রাশিয়র চিঠি
এর ঠিক ষাট বছর পরে; সাল ১৯৯১, ডিসেম্বররের কোন একদিন, মস্কো।
মস্কোর বিখ্যাত আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট ‘সেরিমতেভায়’ নেমে ধন্দে আছি।
প্রথম দীর্ঘ বিমান ভ্রমনের ধকল কাটিয়ে উঠতে সময় লাগছিল। প্লেন যখন রানওয়ে স্পর্শ করে তখন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দিন না রাত ঠাহর করতে পারিনি।
রানওয়ের দুপাশের নিয়নের আলোগুলো জ্বলছিল যেন হারিকেনের মত অনুজ্জল ভাবে। কেমন হালকা আবছা ঘোলাটে অন্ধকার – বরফের স্তুপকে সেই আলোতে ছাইরঙ্গা লাগছিল। কেমন যেন গা ছমছমে ভৌতিক পরিবেশ।
তখন নেহায়েৎ পোলাপান। ঘাবড়ে গিয়েছিলাম নিঃসন্দেহে!
বিমানের পেট থেকে টানেলের ভিতর দিয়ে সুরুৎ করে সরাসরি এয়ারপোর্টে ঠুকে পড়ায় বাইরের ঠান্ডার আন্দাজ করিনি। বাইর বের হয়ে বুঝলাম- ঠান্ডা কাকে বলে? মাঘের শীতে নাকি বাঘ কাঁপে –আর ওদের ডিসেম্বরের শীতে লোহালক্করও ঠক ঠক করে কাঁপতে থাকে। উল্টোদিকে ঘুরে ফিরতি প্লেন ধরার বন্দোবস্ত থাকলে হয়তো সেটাই করতাম।
...
একটু বাদেব্যাগের ভিতর জোব্বা-জাব্বা যা ছিল সব বের করে নিজেকে কিম্ভুত এক কাপড়ের পুটলি বানিয়ে – মাইক্রোতে করে হোটেলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।
এয়াপোর্টের ঘড়ির সাথে টাইম মিলিয়ে নিয়েছি। এখন প্রায় এগারোটা দিন। বাইরে সেই আবছা ঘোলাটে অন্ধকার। শীতকালে মনে হয় পুরোটা সময়ই রাস্তার বাতি জ্বলে- এখনো জ্বলছে!রাস্তার দুইপাশে কংক্রিটের বড়বড় ফাঁপা স্ল্যাবে তৈরি জৌলুসহীন হলদেটে রঙ্গের চারকোনা বহুতল বাড়ির সারি।
কোনটা নাগরিকের থাকার বাড়ি কোনটা অফিস আর কোনটা দোকান কিংবা সপিং মল সেইটা ঠাহর করা মুশকিল!
সেইরকম বহুতল একটা বাড়ির সামনে আমাদের গাড়িটা থামল।
গাইড বলল নেমে পড়- হোটেলে এসে গেছি।
‘এইটে আবার কিরকম হোটেল? একটা সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই!’
গাড়ি থেকে নেমে আবার সেই ঠান্ডার ধাক্কা! সঙ্গে থাকা ভারি ব্যাগগুলো নিয়ে কোনমতে টেনে -হেঁচড়ে গাইডের পিছনে ছুটলাম। প্রথমেই একটা ভারি কাঠের দরজা। হাতল ধরলেই বোঝা যায় সেইরকম ভারি- কিন্তু খুলতে কষ্ট হয়না। দরজা ঠেলে ঢুকতেই আবছা অন্ধকার!ছোট্ট অপ্রশস্ত রুমের মত একটা জায়গা।
সেখানটায় সারা শরিরের বরফ ঝাড়তে হয়। তারপরে আরেকটা ঠিক সেরকমই দরজা- ঠেলে ঢুকলেই আলো আর হালকা উষ্ণতার ছোয়া।
অবশেষ পৌছুলাম হোটেল লবিতে। লম্বা এক ডেস্কের ওধারে একমাত্র মহিলা রিসেপসনিস্ট। তিনি সবার পাসপোর্ট নিয়ে পাতা উল্টে কিছুই না বুঝে গাইডকে জিজ্ঞেস করলেন? গাইডেরও ইংরেজীতে সেইরকম দখল! দুইজনে মিলে গলদঘর্ম হল পাসপোর্ট থেকে আমাদের নাম ঠিকানা উদ্ধার করতে!
অবশেষে মুক্তি মিলল! লিফট দেখে ফের ঘাবড়ে গেলাম।
লিফটের সামনে কলাপসিবল গেট লাগানো। একটা ভিতরে একটা বাইরে। অনেক পুরনো লিফট দেখলেই বোঝা যায় -শব্দও হয় প্রচুর কিন্তু জরাজীর্ন নয় মোটেই। লিফটে উঠেই ভয় কেটে গেল।
হোটেল কড়িডোরে মোটা কার্পেট পাতা-ছেড়া ফাটা নয় কিন্তু মোটেই।
দেয়ালে সাটানো সুদৃশ্য দেয়াল কাগজ( তখন চিনতাম না। ভেবেছিলাম, দেয়ালে পেইন্ট করা। )
দরজা খুলে রুমে ঢুকতেই চমকিত হলা!। কি দারুন পরিপাটি বিছানা-ফ্লোরে দামী কার্পেট-একপাশে ছোটাট একটা রিডিং টেবিল তার সাথে মানান সই টেবিল ল্যাম্প। ঘরের দেয়াল ঘেষে মাঝ বরাবর ওক কাঠের আলমারি( বিদেশী কাঠ তখন একটাই চিনতাম- প্লাই উড নামক চিজটা সন্মন্ধে কোন ধারনা ছিলনা- পরে জেনেছি ওগুলো কাঠ নয় প্লাই উডের) বিশাল জানালায় সুদৃশ্য ভারি পর্দা ঝোলানো।
পুরো রুমের সাজসজ্জায় চাকচিক্য কিংবা আড়ম্বড়তা নেই কিন্তু আছে রুচি আর অভিজাত্যের সংমিশ্রন। 'মস্কো গ্রান্ড' হোটেলের তুলনায় নিঃসন্দেহে এটা ছিল একটা মাঝারি কিংবা ছোট মানের হোটেল।
পশ্চিমা বিশ্বের ছড়ানো প্রোপাগান্ডায় কম্যুনিষ্ট সরকারের বদনামের বেশীর ভাগই ছিল রটনামাত্র –যার সাথে মুল আর্থ সামাজিক পরিবেশের মিল ছিল নামমাত্র। এটা আমি বুঝেছি উপলব্দি করেছি খোদ রাশিয়ায় গিয়ে।
মনে আছে,রাশিয়া যাবার আগে আমার এক দুলাভাই বলেছিলেন,পৃথিবীতে এত দেশ থাকতে তুমি কেন ওই বনে জঙ্গলে যাচ্ছ?
তখন দ্বীধাদন্দ্বে থাকলেও এখন মনে করি আমি তখন ভুল করিনি।
পৃথিবীর ইতিহাসে মাত্র বিশ বছরে একটা দেশের এত বেশী পরিবর্তন সাধিত হয় নাই বলে আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। পেরোস্ত্রোইকা পরবর্তী রাশিয়া আর এখনকার রাশিয়ার মধ্যে বিস্তর – মহা বিস্তির ফারাক। আমি দ্বীতিয়বার রাশিয়া গিয়েছিলাম ১৯৯৭ সালে। মাত্র পাঁরচ-সাত বছরের সেই পরিবর্তন দেখে আমি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারিনি। আর এখন বন্ধুদের কাছে যে গল্প শুনি- তাতে পরিবর্তিত এই আধুনিক রাশিয়ার রুপ দেখার ইচ্ছে আমার উবে গেছে বেমালুম!
সোভিয়েত ইউনিয়নের কম্যুনিষ্ট সরকার আর সব দিকে কতটা সফল হয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে না গিয়ে বলতে পারি, তারা মানুষের মৌলিক তিনটে চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এর অভাব খুব বেশী সফলতার সাথে পূরন করতে না পারলেও বেশ ভালভাবেই পূরন করেছিলেন।
প্রতিটা মানুষের মাথার উপর ছাদ ছিল,দুবেলা পেটে অন্ন জুটত আর পরার মত কাপড় ছিল। হয়ত তার মধ্যে জৌলুস পর্যাপ্ততা আর চাকচিক্যের অভাব ছিল কিন্তু ছিল তো। মানুষের চাহিদা অসীম। কখনোই তারা পরিপূর্ণ সুখী হতে পারেনা। আমরা কতটুকু পেয়েছি তাই না ভেবে হাহাকার করি কি কি পাইনি তাই নিয়ে।
এত বিশাল একটা দেশের সবগুলো মানুষের ছাদের নীচে ঠাই দেয়া যা তা ব্যাপার নয়। সেখানে বাড়ি বন্টন ব্যাবস্থাটা বেশ চমৎকৃত করেছিল আমাকে।
সদ্য বিবাহিতরা বিয়ের আগে পরে আবেদন করলে একরুমের একটা বাড়ি বরাদ্দ পেত। তবে সে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হলে তাকে সেখানেই থাকার জন্য উৎসাহিত করা হত। কারো একটা ছেলে বা মেয়ে সন্তান হলে সে দুই রুমের একটা বাড়ি পাবে।
দুইটা ছেলে বা দুইটা মেয়ে হলে এর হেরফের হত না। কিন্তু একটা ছেলে একটা মেয়ে হলে তাকে তিন রুমের একটা বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হত। (পুরো ব্যাপারটাই আমার বিশ্বাসযোগ্য কারো মুখ থেকে শোনা- তবে এই ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোন ডকুমেন্ট পাইনি। )
ওদের বাড়িগুলোতে ড্রইংরুম আর ডাইনিংরুম বলে আলাদা কিছু ছিলনা। রান্না ঘরেই ওরা আড্ডা আর খাবার দাবার সারত।
যত বড় বাড়িই হোক একটার বেশী বাথরুম আমার চোখে পড়েনি। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই টয়লেট আর বাথরুম এর মাঝে দেয়াল ছিল। প্রায় প্রতিটা বেডরুমেই ওয়াল পেপারে মুড়ানো দেয়ালে বেশ বড় সড় আকারের কার্পেট ঝুলানো থাকত। বাড়ির মেঝে ছিল মুলত কাঠের। বেডরুম আর রান্না ঘরের প্রায় সব ফার্নিচারই ছিল এ্যাটজাস্টেবল।
দিনের বেলায় কোন রাশিয়ানের বাড়িতে ঢুকে বোঝার উপায় ছিলনা যে এইটা ড্রইংরুম না বেড রুম? রাতের বিছানাগুলোই দিনের বেলা সোফায় রুপান্তরিত হত!প্রতিটা ঘরেই শীতের দিনে রুম গরম রাখার জন্য প্যাচানো বেশ মোটা পাইপ থাকত যা দিয়ে সবসময় গরম পানি প্রবাহিত হত। বাইরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে সেই গরম পানির তাপমাত্রারও পরিবর্তন হত। এই ব্যাবস্থাটা দারুন ছিল। রুম গরম রাখার জন্য সরকারের তরফ থেকে সবার জন্য এমন একটা ব্যাবস্থা এখনো আমার কাছে অভিনব মনে হয়।
রাশিয়ার প্রতিটা বাড়িতেই কয়েকটা কমন জিনিস ছিল।
তার মধ্যে সর্বপ্রথম নজরে পড়বে প্রমান সাইজের একটা রেডিও। আমি এর আগে এতবড় সাইজের কোন রেডিও দেখিনি বা রেডিওর সাইজ এতবড় হতে পারে বলে শুনিনি। প্রতিটা রেডিও-ই বেশ যত্ন সহকারে ঝালরের কাপড় দিয়ে ঠেকে কড়িডোরে রাখা হত।
দ্বীতিয় যেই জিনিসটা নজরে আসবে সেইটে হল পিয়ানো। বাজাতে পারুক আর না পারুক ঘরে পিয়ানো রাখাটা ওদের ঐতিহ্যের মত পড়ে।
আর রান্নাঘরে ঢুকলে আপনার দৃষ্টি কাড়বে সুদৃশ্য সমোভার। পুরোটা শীত জুড়েই প্রায় সমোভারের পানি ফুটতে থাকে। আর পাশের একটা বাটিতে থাকে চাপাতা বিভিন্ন ভেজস আর সুগন্ধি পাতায় ভেজানো জারক। দারুন চায়ে আসক্ত রাশিয়ান জাতি অন্য কিছুতে ক্লান্ত হলেও চা খাওয়ায় ক্লান্তি আসে না কখনো!(এইসব নিয়ে বিস্তারিত পরে লিখব কোন এক সময়। )
ফুটনোট: শ্রদ্ধেয় রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন মস্কো বা মস্কোভা’কে মস্কৌ বলেছেন তা আমার বোধগম্য নয়! তাঁর ভুল ধরার মত যোগ্যতা দুঃসাহস আমার নেই সেটা স্বীকার করে শুধু কৌতুহল বশত; কেন জানতে চেয়ে পাঠকের কাছে পেশ করলাম।
আমার ধারনা উঁনি ইংরেজীর ‘MOSCOW’এর বাংলা প্রতিশব্দ করেছেন ‘মস্কৌ’ বলে।
রাশিয়ার অনেকগুলো বড় বড় শহরগুলোর নামের শেষে ভ বা ভে অক্ষর সুংযুক্ত আছে যেমন; কিয়েভ, ল্যুবভ, তাম্বোভ,খারখোভ কিষিনেভ( যদিও কিষিনেভের স্থানীয় অধিবাসীরা ‘কিষিনেও’ বলে)ঠিক তেমনি ওরা মস্কোকে বলে মস্কোভা বা মস্কোভে( আত মস্কোভা অর্থ মস্কো থেকে। ভ মস্কোভে অর্থ মস্কোতে। )
উপরের ছবিটি 'হোটেল মস্কোভা'র। ১৯০৮ সালে তৈরি এই হোটেলের সেলিব্রেটি লিস্ট দেখে মনে হল রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার মস্কো ভ্রমনের সময়ে এই হোটেলে উঠেছিলেন।
১৯০৮ সালে উদ্ভোধনের পরে এ যাবৎ প্রায় ৩৬ মিলিয়ন অভ্যাগত এই হোটেলটি পরিদর্শন করেছেন। এবং এখানে প্রায় ৪ মিলিয়ন অতিথি রাত্রি যাপন করেছেন। হোটেল মস্কোতে আপ্যায়িত হয়েছেন বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ও প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য;
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন (তিনি প্রায় গ্রীস্মেই তার স্ত্রী মিলেভাকে নিয়ে এখানে এসে কয়েক রাত কাটাতেন। হোটেল মস্কোর ‘ওপেন এয়ার ক্যাফে’তে তিনি বেশ সাচ্ছ্যন্দ বোধ করতেন। হোটেলের প্রত্যেক অতিথিই তাঁকে দারুন পছন্দ করত।
এর মধ্যে কোন কোন সৌভাগ্যবান তার সাথে বসার সুযোগ পেলে তাকে ‘জনাব পাগল বৈজ্ঞানিক’ “Mister crazy scientist” হিসেবে সন্মোধন করলে তিনি দারুন আপ্লুত হতেন। )
বিখ্যাত ফিল্ম ডিরেক্টর আলফ্রেড হিচকক, ম্যাক্সিম গোর্কি, রিচার্ড নিক্সন(আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, মহাত্মা গান্ধি( উনাঁকে বলা হয়েছে ভারতীয় বিপ্লবীপন্থি নেতা), জ্যাক নিকলসন, রবার্ট ডি নিরো,ব্রাট পিট,মাইকেল ডগলাস, ফরাসী মার্শাল ফ্রানস ডি পেরে,লেখিকা রেবেকা ভেস্ট, লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,রোমান পোলান্সকি সহ অনেকেই…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।