রা এনাম মেডিকেলে ব্লাড দিতে এসেছেন বা আসছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছিঃ পজেটিভ টাইপের ব্লাড এনাম মেডিকেলে বর্তমানে যথেষ্ট পরিমানে আছে। মেডিকেলের ব্লাড ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে যে, নেগেটিভ টাইপের ব্লাডের ঘাটতি আছে ও আগামিতে লাগতে পারে। তাই যাদের ব্লাডগ্রুপ ন হরতাল শব্দটি মূলত একটি গুজরাটি শব্দ, যা সর্বাÍক ধর্মঘটের অনুরূপ। মহাÍা গান্ধী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম এ শব্দটি ব্যবহার করেন। এটা হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন।
হরতালের সময় দোকানপাট, অফিস-আদালত বন্ধ থাকে। তবে সাধারণত অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, খাবার ও ওষুধের দোকান এবং গণমাধ্যমসমূহ এর আওতার বাইরে থাকে। এটা সাধারণত কোন একটা দাবি আদায় করা বা এর গুরুত্ব বোঝাতে আহ্বান করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার সমর্থিত নয় এমন সংগঠন কিংবা বিরোধী দল হরতাল আহ্বান করে থাকে। তবে অরাজনৈতিক কোন দল সরকার সমর্থিত হওয়া সত্ত্বেও সরকারের কোন কাজের বিরোধিতা করতে হরতালের ডাক দিতে পারে।
শান্তিপূর্ণ হরতালের মূল কার্যক্রম হয়ে থাকে প্রতিবাদ মিছিল এবং সমাবেশ। অর্থাৎ হরতাল সমর্থকরা রাজপথে বেরিয়ে একত্র হয়ে উচ্চস্বরে নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল সমাবেশ করে জানান দিয়ে থাকেন। আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড অর্থাৎ হরতাল সমর্থকরা যখন মারমুখী আচরণ শুরু করে, তখন হরতাল আর শান্তিপূর্ণ থাকে না। ২০১১ সালে সরকার হরতালে নৈরাজ্যকারীদের (পিকেটারদের) দমন করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। জনগণের প্রশ্ন, এখন সেই আইন কোথায়?
বর্তমান সময়ে হরতাল যেন আমাদের জাতীয় জীবনের অনিবার্য অনুষঙ্গ হয়ে দেখা দিয়েছে।
হরতালে কোথাও নিরাপদে চলার উপায় নেই। সবার মধ্যেই আতংক বিরাজ করে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এরকম পরিস্থিতি কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন হরতালে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে? নিরীহ মানুষ কেন অপরাজনীতির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করবে? কেন ককটেল ও বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হবে মানুষের শরীর? কী অপরাধ তাদের? হরতালে রাষ্ট্রীয় সম্পদের মারাÍক ক্ষতি হচ্ছে। রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলা হচ্ছে।
প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। হরতালের বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পাচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্সও। আগে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস হরতালের আওতামুক্ত থাকায় নির্বিঘেœ রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেয়া করা সম্ভব হতো। এখন সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
হরতালের কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পাঠে মনোযোগ দিতে পারছে না। শিক্ষকদের কাছে পড়তে না পারার কারণে শিক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করতে পারছে না। স্কুলের কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে। এসবের দায়ভার কে নেবে? শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। লাগাতার হরতাল নিয়ে সঙ্গত কারণেই পরীক্ষার্থীরা চরম উৎকণ্ঠা-উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।
হরতালের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপে সীমিত আয়ের মানুষের দফারফা অবস্থা। হরতালে মানবতা লংঘিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে বারবার। আমাদের মধ্যে ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকলে আজ দেশে এরকম নৈরাজ্যকর, অশান্তিময় পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। সবার মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত হোক।
হরতাল বিধ্বংসী না হয়ে শান্তিপূর্ণ হোক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।