আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
কিস্তি ৫৫ ::
আমাদের সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মধ্য থেকে অনেকে ভালো করেছেন। সবার কথা নয়, দুজনের কথা এখানে বলতে চাই। যেটি আমি আগেই বলেছিলাম আপনাদের তাদের গল্প শোনাবো।
তবে সাথে আরেকজনের গল্প শোনাবো। সে মমিন।
তাদের একজন সেলিম। সেলিম বাশার নামে পরিচিত। আমাদের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু।
থাকতো বঙ্গবন্ধু হলে। এখন রেডিও টুডে-’র বার্তা প্রধান। সে সময় ও জনতার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ছিল। পরে রেডিও তেহরান হয়ে নয়া দিএন্ত কিছু দিন কাজ করে। সর্বশেষ রেডিও টুডেতে জয়েন করে।
সেখানেই ওর উন্নতি।
সেলিমের প্রসঙ্গ এ জন্য টানলাম যে ও আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র, যে গালি দিতে জানে না। অথবা দেয় না। সহজ এবং সলল বলতে যা বোঝায় সেলিম তা। কোনো প্যাঁ গোছের মধ্যে নেই।
ছিলও না কখনো। নগরে জীবন গড়তে এসছিল, এখন জীবিকার তাগিদে নগরেই আছে। সেলিমকে আমি একটু বেশি ক্ষেপাতাম। কারণ ও সব সময় সহিহ শুদ্ধভাবে কথা বলে। একেবারে প্রমিত বাংলা যাকে বলে।
তবে বেচারা এখনৈা বিয়ে করতে পারেনি, কবে নাগাদ করতে পারবে তা বলা ভারি মুশকিল। আমি সেটি নিয়ে কোনো আলাপে যেতে চাই না। কারণ সাংবাদিকদের জন্য পাত্রী পাওয়া ভারি মুশকিল। কারণ আধুনিক যুগেও সাংবাদিকতাকে কন্যার বাবারা পেশা হিসাবে মূল্যায়ন করেন না। জানতে চান ছেলে আর কি করেন? বড়ই করুণা লাগে তাদের জন্য।
তবুও কিছু করার নেই যেহেতু তারা কন্যার বাবা। তাই তাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
আমাদের মধ্যে দ্বিতীয় যে বন্ধুটি অল্প সময়ে নিউজ ম্যানেজার হয়েছে, সে ইশতিয়াক হুসেইন। এখন বাংলা নিউজের চিফ রিপোর্টার। আমরা যখন পরিচিত হই তখন ও রূপালেিত ছিল।
পরে সংভাদ, সেখান থেকে সমকাল হয়ে বাংলা নিউজ। সাংবাদিকতা বয়স কম নয়। সেলিম ও ইশতিয়াক একই ডিপার্টমেসন্টের, সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেছে।
কাকতালীয়ভাবে সেলিম এবং ইশতিয়াক দু’জেনই সৎ, সজ্জন ও সরল প্রকৃতির। তাই এ দু’জনকে আমি সব সময় একবটু ভিন্ন চোখে দেখি।
ইশতিয়াককের কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়ে পাওয়া যায়নি অন্তত নিউজের ব্যাপারে এটা বলা মুশকিল। কারণ ইশতিয়াক সব সময় নিউজ দিয়ে সবাইকে হেল্প করতো, এখনো নিশ্চয় করে। ওরা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটিংয়ে আমার সিনিয়র। তবুও সম্পর্ক বরাবরই ভালো ছিল, এখনো আছে।
এর বাইরে আমার বন্ধুদের মধ্যে মমিনের লেখা আমার ভালো লাগতো, লাগতো বলছি এ কারণে যে, ও এখন লেখে তবে সেটা আমরা অন্যের মুখে শুনি।
মানে ও টিভি সাংবাদিকতা করে, ডেস্ক থেকে। যোগ্যতার বিচারে মমিন আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে ছিল। সব সময় ভালো কোনো রিপোর্ট করার চেষ্টা করতো। মমিন ইংরেজিতেও ভালো। এটা তার বিশেষ গুণ।
সবচেয়ে বড় গুণ হলো সবার সাথে সমানভাবে মেশা। মমিনকে নানা কারণে আমি পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বড় কারণ আমরা দু’জনেই স্ট্রাগল করে আজকের পর্যায়ে এসেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।