ঢেকে রেখো হিংস্র ঢাল তলোয়ার। সৈনিক, এবার কলম চালাও...
রাস্তায় দেখলাম একজন ভিক্ষুক বসে বসে উপরের দিকে চেয়ে আল্লা আল্লা করতাছে। তার হাত নেই, পা নেই, অন্ধ।
আমি দেখেও না দেখার ভান করে বরাবরের মতো শুণ্য আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকী হাসি দিয়ে আমি আমার পথ ধরলাম।
দূর থেকে কেউ একজন আমাকে ফলো করছিলেন।
তিনি দেৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরলেন।
: এই যে, ভাই আপনি কি মোবারক হোসেন রুবেল?
- ফেসবুক?
: হ, ভাই। ফেসবুকেতো খুব বড় বড় কথা বলেন, নিজেকে জনদরদী, মানবতাবাদী, দয়ালু প্রমাণ করতে চেষ্টারতো কোন ত্রুটি করেন নাই।
- হ্যা, একটা কবিতায় আমি এমনটিই দাবী করেছিলাম। কবিতাটি হয়তো আপনি পড়েছিলেন।
আমার পকেটে এখনো আছে। শুনাবো? হে বকরিজ.....
: আরে ভাই রাখেন আপনার কবিতা
- কেন আমি কি আমার কবিতার মতো জনদরদী নই?
: আপনি কতটুকু জনদরদী বুঝাইতো গেল। আপনার চোখের সামনে একটা সবার্ঙ্গ হারানো ভিক্ষুক পয়সার জন্য কান্নাকাটি করতাছে তা দেখা স্বত্ত্বেও আপনি পাশ কাইটা চইল্যা গ্যাছেন, মিয়া ভন্ডামী ছাড়েন
- তার মানে দয়া না করে নিজেকে দয়ালু বলাটা কি ভন্ডামী?
: অবশ্যই ভন্ডামী। মিয়া আপনের কি টাকা পয়সা কম আছে? অভাব আছে?
- তার মানে আপনি বলতে চান যে, আমার দান করার ক্ষমতা আছে?
: অবশ্যই তবুও আপনি দান/সাহায্য না করে দিব্যি নিজেকে হাতেম তায়ী বলে বেডাচ্ছেন। এইসব ছাড়েন মিয়া।
আপনি একটা ভন্ড, পাষন্ড।
হাটতে হাটতে ভাবলাম লোকটি আমাকে পাষন্ড বলেছে, ভন্ড বলেছে, ঠিকইতো বলেছে।
আমি চাইলেই যদি কাউকে বিপদ থেকে পরিত্রান দিতে পারি, চাইলেই যদি একজন ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিতে পারি, চাইলেই যদি কোন ধর্ষীতাকে ধর্ষকের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারি তবে তা যদি না করি তবে আমি আসলেই একটা পাষন্ড।
ফেবুতে গিয়া এট্টু দেইখা আহেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।