হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র মধ্যযুগে বাঙলা ভাষা, বাঙলা সাহিত্য, বাঙালি শিল্প সংস্কৃতির সবক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দিয়াছিল বাঙালি মুসলমান। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে আসিয়া ব্রাক্ষ্মন সমাজ সেইযে বাঙালি মুসলমানের বাঙালিত্ব খারিজ করিল আর বাঙালি মুসলমান নিজের শিকর বাকর আরবের মরুতে খোজা শুরু করিল তাতে নেহায়েত ব্রাক্ষ্মন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত্বের দোষ দিয়া পার পাওয়া যাইবেনা, বাঙালি মুসলমানের বলদামিও গণ্য করিতে হইবে। ধরিয়া লইযে, গেল দুইশ বছরে জন্ম লওয়া হিন্দুরা নিজ হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিরে বাঙালি সংস্কৃতি বানাইয়া লইয়াছে। এবং আলোচনার খাতিরে আরো ধরিয়া লইযে আমাদের ইদানিংকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনে হিন্দুয়ানী ছাপ প্রবল আছে। বলি, বাঙালি মুসলমান 'পহেলা বৈশাখ'রে মুসলমানী ছাপে ছাপাইতে পারিলনা ইহাকি হিন্দুগণ ও বাঙালি প্রগতিশীলের একলার দোষ? এই যে পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় 'কালী'র লগে 'আলী' আসিতে পারিলনা, ইহার জন্যে দোষ কাহার? কালী যেমন এই বাঙলার সংস্কৃতির অংশ আলীওতো তেমন হইয়া উঠিয়াছিল। শতবর্ষিয় বলদামির পরেও যাহাদের শিক্ষা হয়নাই এবং আজকে সকাল থেইকাও 'পহেলা বৈশাখ উদযাপন' সহিহ ইসলামের অঙ্গ নয় বলিয়া যাবর কাটিতেছেন উহাদেরকে আশু ঢাকার রাস্তায় বোরকা পরিহিত রমনী ও জোব্বা পরিহিত উষ্ট্রারোহী সহযোগে শোভাযাত্রা আয়োজন করিয়া বিশেষ হিজরি বর্ষবরণ উদযাপন করিয়া বাঙলার আপামর মুসলমানের ধর্ম সংস্কৃতি রক্ষায় আগায়া আসার আহবান করিতেছি। তবে উহার মধ্যিখানে সহিহ মধ্যপ্রাচিয় বেলিডেন্সের আয়োজন থাকিলে উদযাপন জমিবে ভালো। তবে হিজরি বর্ষবরণ আরো সহিহ করিতে উহারা সকলে শোভাযাত্রা করিতে করিতে বাঙলা ত্যাগ করিয়া মদিনায় চিরকালের জন্যে হিজরত করিলে সকলের জন্যে মঙ্গল হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।