আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাকের ভাইয়ের মুক্তি চাই , কুত্তাওয়ালীর ফাঁসি চাই..!! '( '( প্রিয় মানুষ ও তাকে নিয়ে কিছু ভাবনা ।

আমি খুব সাধারণ একজন। সাধারণের ভিড়েই আমার বেড়ে ওঠা ,সাধারণের ভিড়েই বিচরণ আর সাধারণের ভিড়েই পথ চলা ...... বাকের ভাইকে কি আপনাদের মনে পড়ে?? আপনাদের কথা বলতে পারি না , তবে আজও আমার খুব ভালোভাবেই মনে পড়ে। একটি টিভি নাটকের জন্যে পাড়ার , মহল্লার মানুষের দলবেঁধে যে দীর্ঘ প্রতীক্ষা তা ভুলবার নয়, আমি ভুলতে পারিনি আর ভুলতে পারবও না। কি এক আশ্চর্য জাদুর স্পর্শে চুম্বকের মতই তা আমাকে আকৃষ্ট করত তা বলে বুঝাবার নয়। আর কোন টিভি অনুষ্ঠান আমাকে এমনভাবে আকর্ষণ করে নি, আর ভবিষ্যতে করবে কিনা তা নিয়েও আমি যথেষ্ট সন্দিহান।

বাকের ভাইয়ের জন্যে সহমর্মিতা বাংলাদেশে অভাব নেই। ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের ঘটনাপ্রবাহে ‘বাকের ভাই’ এর ট্র্যাজিক পরিণতি মানতে না পেরে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ আজও আমার চোখে ভাসে। সংলাপ নাটকের প্রাণ , তার নির্মিত নাটকগুলোতে সেই প্রাণের স্পর্শ প্রবলভাবেই দেখতে পাই ... বাড়ি ওয়ালার সাফ কথা, “ব্যাচেলরগো আর ভাড়া দিমু না” আমি কই, বাড়ি দিবানা, মাইয়ারে তো ঠিকই ব্যাচেলরের লগেই বিয়া দিবা..... এমন সরস সংলাপের প্রয়োগ কেবল হুমায়ূন আহমেদ এর পক্ষেই সম্ভব। আমার বই পড়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই। পাড়ার লাইব্রেরী থেকে বড় ভাইয়া আপুদের জন্যে বই এনে দিতাম।

সেখান থেকে 'এবং হিমু ' বইটি পড়া এবং অতঃপর হিমু এবং তার স্রষ্টার ভক্ত বনে যাওয়া এবং ............ তিনি নেই। । আমি ভাবতেও পারবো না। আমি যানি তিনি ময়ূরাক্ষীর তীরে বেড়াতে গেছেন। আবার জোৎস্নায় ফিরে আসবেন আমাদের এই নগরে।

আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কিছু বই ...... *************************************************** • lilaboti • kobi• nondito noroka • shonkho nil karagar • krishno pokkho• sajghor • bashor• gouripur jonshon• omanush• Bohubrihi• Eishob Din Ratri • • Ashabori• Daruchini Dwip• Shuvro• Nokhkhotrer Raat • • Nishithini• Amar Achhey Jol • Kothao Kew Nei • • Aguner Parashmony • Srabon Megher Din• Akash Jora Megh• Mohapurush • Rupali Dwip• Kalo Manus • Ke Kotha Koy • Maddhanya (2007) • Maddhanya 2 • Eshtishon• Moddhanya Akhanda (2008)• Tithir nil tualey • Mrinmoyee• Mrinmoyeer mon valo nei • Noboni• Kuhurani• Aj chitrar biye • • Tumi amay dekechile chutir nimontrone • • Shedin choitromash • Prothom prohor • Opekkha • Oporanno • Aj ami kuthao jabona • Ondhokarer gan• Jokhon dube jabe purnimar chad• Chader aloy koyekjon jubok • Tetul bone juchona• Jodio shondha• Ai! Shuvro, Ai!• Onnodin • Tumake • Ononto ombore• Pakhi amar akla pakhi• Nil oporajita • Dui duari• Brishti bilash• Nil manush • Jonom jonom • • Jolpoddo• Jol juchona • Shomudro bilash• Chaya shongi • Megher chaya • Priyotomeshu • akjon mayaboti• Mirar gramer bari • Choitrer ditio dibosh • Amar chelebela • Kichu shoishob • Dekha odekha • Cheleta • • Lilua batash• Asmanira tin bun• Pencil a aka pori • • Uralponkhi " 1971 " Aguner Parashmoni " Shyamal Chhaya " Anil Bagchir Ekdin " Jostnya O Jononeer Golpo Misir Ali books : • Debi• Nishithini• Nishad• Onish• Brihonnola• Bipod• Misir Alir Omimangshito Rohoshso• Ami Ebong Amra• Tandra Bilash• Ami e Misir Ali• Kohen Kobi Kalidash• Voy • Bagh-Bondi Misir Ali• Misir Ali'r Choshma • Misir Ali! Apni Kothai? Himu: • Moyurakkhi• Darojar Opashe• Himu-• Parapar• Ebong Himu• Himur Hatay Koyekti Nill Poddo• Himur Ditiyo Prohor• Himur Rupali Ratri• Ekjon Himu Koekti Jhijhi Poka• Tomader Ei Nogore• Chole Jay Bosonter Din• Shey Ashe Dhire• Himu Mama• Angool Kata Joglu• Halud Himu Kalo RAB• Aj Himur Biye• Himu Rimande• Himur Moddhodupur Science Fiction : • Tomader Jonno Valobasa • Anonto Nakhatrobithi• Fiha Sameekaran • Erina• Kuhok • Ema• Omega Point • • Shunyo • Onno Bhuban • Ditio Manob• Ahok • • Manobi Supernatural: • Advut Sob Golpo• Kalo Jadukar• Pipli Begum• Kani Daini• Kutu Miah• Poka (Insect)• Parul o tinti kukur• Nil hati• Bhoot bhutong bhutou• Mojar bhoot *************************************************** কিছু কিছু মানুষ অমরত্বের সন্ধান পেয়ে যায়। হুমায়ূন আহমেদ হয়ত তাদেরই একজন। একজন বন্ধুর কিছু অনুভুতির কথা ঃ এখন যদি বৃষ্টি না হয়ে জোছনা হতো, তাহলে চমৎকার হতো। চারদিকে শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ। মাতাল হাওয়ায় ভেসে আসতো কদম ফুলের গন্ধ।

সবাইকে নিয়েই জোছনা বিলাস করা যেতো। কিন্তু আজ আকাশ মেঘলা। একটু আগেই ভিজিয়ে দিয়েছে সবাইকে। মিসির আলী দাঁড়িয়ে আছে। ক্রমাগত সিগারেট টেনে যাচ্ছে।

বটগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে। ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। সবার থেকেই একটু আলাদা হয়ে আছেন মিসির আলী। তার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র। আজও চোখে চশমা নেই।

তার বাবা তাকে আসতে দেয়নি। আজই প্রথম বাবার অবাধ্য হয়েছে। রূপাও এসেছে। আসমানীকে সাথে নিয়ে। হিমুর আসার কথা।

এখনো আসেনি। আসবে যে না এটা মাজেদা বেগম পুরোপুরি নিশ্চিত। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে হিমু কাঁদা পায়ে কাক ভেজা হয়ে সবার মাঝে এসেছে। এখন শুধু একজনের আসবার পালা। কেউ কারোর দিকে তাকিয়ে নেই, কিন্তু সবাই অপেক্ষা করছে শুধুই তার জন্য।

দিন যাবে, মাস যাবে, বছর যাবে, কিন্তু সে আর আসবে না। তারা কেউই এখান থেকে নড়বেও না। কিছুই আর করবে না। কারণ তাদের জন্মদাতা আর কখনোই আসবে না। না ফেরার দেশে সে দূর থেকে তার সন্তানদের দেখছেন।

সন্তানদের স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণায় তিনি কাতরাচ্ছেন না। হাসিমুখে বলছেন আমি যাইনি। আড়াল হয়েছি মাত্র। আমি থাকবো তোমাদের মাঝে আজীবন... নাহলে তোমাদের নিয়ে এত লিখলাম কেন? আজ মিসির আলীও লজিকের বাইরে চিন্তা করছে। হিমুও কাদছে।

মহাপুরুষ বানানোর কারিগরের কোন কথাই সে আর মানছে না। কে মানাবে তাকে? শুভ্র কাদবে কি কাদবে না বুঝতে পারছে না। তবুও টপ টপ করে দু ফোটা জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। রূপা আসমানীর হাত শক্ত করে ধরে আছে। আসমানী যে কখন মুর্ছা গিয়েছে টের পায়নি।

অনন্ত কালের দিকে তাকিয়ে আছে তারা সবাই। এ জগতে রাগ নেই, ক্ষোভ নেই, আনন্দ নেই, যুক্তি নেই... আছে শুধু অন্তহীন অপেক্ষা আর বুকের ভেতর হাহাকার... জোছনার জন্য... জননীর জন্য... একজন জাদুকর কিভাবে তার জাদুর মায়ায় সবাইকে আচ্ছন্ন করে গেছেন তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি একজন পাথকের তার এই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ থেকে । একজন হুমায়ূন আহমেদ হয়ে ওঠা ঃ শৈশব ও বেড়ে ওঠা ঃ হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলারকুতুবপুরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দেবাংলাদেশের_মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদহন। তাঁর বাবা লেখালিখি করতেন ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করতেন।

বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম দ্বীপ নেভা যার ঘরে। তাঁর অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবালদেশের একজন বিজ্ঞান শিক্ষক এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল ছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজল। তাঁর পিতা স্বীয় নাম ফয়জুর রহমানের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান।

পরবর্তীতে তিনি নিজেই নাম পরিবর্তন করে ‌‌‌হুমায়ূন আহমেদ রাখেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, তাঁর পিতা ছেলে-মেয়েদের নাম পরিবর্তন করতে পছন্দ করতেন। তাঁর ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল এবং ছোটবোন সুফিয়ার নাম ছিল শেফালি। বিয়ে, পরিবার এবং ... হুমায়ূন আহমেদের প্রথমা স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে।

এই দম্পতির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। তিন মেয়ের নাম বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। অন্য আরেকটি ছেলে অকালে মারা যায়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যভাগ থেকে শীলার বান্ধবী এবং তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মে। এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক অশান্তির অবসানকল্পে ২০০৫-এ গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ঐ বছরই শাওনকে বিয়ে করেন।

এ ঘরে তাদের তিন ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। প্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যাটি মারা যায়। ছেলেদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন। শিক্ষা এবং কর্মজীবন তাঁর বাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সব গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হনএবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে লেখালেখি, নাটক নির্মাণ এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন।

২০১২ সালের শুরুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশ দূতাবাসে সিনিয়র স্পেশাল অ্যাডভাইজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাহিত্যজীবনের শুরু ও পথচলা ঃ ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যজীবনের শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটির নাম নন্দিত নরকে। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২-এ কবি-সাহিত্যিকআহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়।

প্রখ্যাত বাঙলা ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। শঙ্খনীল কারাগার তাঁর ২য় গ্রন্থ। এ পর্যন্ত (২০০৯) তিনি দুই শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস প্রকাশনা করেছেন। তাঁর রচনার প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো 'গল্প-সমৃদ্ধি'। এছাড়া তিনি অনায়াসে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অতিবাস্তব ঘটনাবলীর অবতারণা করেন যাকে একরূপ যাদু বাস্তবতা হিসেবে গণ্য করা যায়।

তাঁর গল্প ও উপন্যাস সংলাপপ্রধান। তাঁর বর্ণনা পরিমিত এবং সামান্য পরিসরে কয়েকটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে চরিত্র চিত্রণের অদৃষ্টপূর্ব প্রতিভা তাঁর রয়েছে। যদিও সমাজসচেতনতার অভাব নেই তবু লক্ষ্যণীয় যে তাঁর রচনায় রাজনৈতিক প্রণোদনা অনুপস্থিত। সকল রচনাতেই একটি প্রগাঢ় শুভবোধ ক্রিয়াশীল থাকে; ফলে 'ভিলেইন' চরিত্রও তাঁর লেখনীতে লাভ করে দরদী রূপায়ণ। অনেক রচনার মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধির প্রচ্ছাপ লক্ষ্য করা যায়।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস মধ্যাহ্ন তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে পরিগণিত। এছাড়া জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প আরেকটি বড় মাপের রচনা যা কি-না ১৯৭১-এবাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধ অবলম্বন করে রচিত। তবে সাধারণত তিনি সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে লিখে থাকেন. টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগৎ ঃ টেলিভিশনের জন্য একের পর এক দর্শক-নন্দিত নাটক রচনার পর হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তাঁর পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। ২০০০ সালে শ্রাবণ মেঘের দিন ও দুই দুয়ারী চলচ্চিত্র দুটি প্রথম শ্রেনীর দর্শকদের কাছে দারুন গ্রহণযোগ্যতা পায়।

২০০৩-এ নির্মান করেন চন্দ্রকথা নামে একটি চলচ্চিত্র। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মান করেন শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রটি। এটি ২০০৬ সালে "সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র" বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এর জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। [১১] এছাড়াও চলচ্চিত্রটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। [১২] তাঁর সব চলচ্চিত্রে তিনি নিজে গান রচনা করেন।

সর্বশেষ ২০০৮-এ আমার আছে জল চলচ্চিত্রটি তিনি পরিচালনা করেন। সবশেষ কাজ করেছেন ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’ নামের একটি ছবি নিয়ে। এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ২০০৬ সালে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিতদুরত্ব, বেলাল আহমেদ পরিচালিত নন্দিত নরকে এবং আবু সাইদ পরিচালিত নিরন্তর। ২০০৭-এ শাহ আলম কিরণ পরিচালিত সাজঘর এবং তৌকির আহমেদ নির্মাণ করেন বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র দারুচিনি দ্বীপ।

তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। টিভি নাটক ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য নাটক রচনা শুরু করেন তিনি। এটি তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে।

তার অন্যতম ধারাবাহিক নাটক - ১। এইসব দিন রাত্রি ২। বহুব্রীহি ৩। কোথাও কেউ নেই ৪। নক্ষত্রের রাত ৫।

অয়োময় ৬। আজ রবিবার এদের বেশিরভাগই ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে নির্মিত। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বহু প্যাকেজ নাটক নির্মাণ করেছেন। পুরস্কার ঃ ১। বাংলা একাডেমী পুরস্কার ১৯৮১ ২।

শিশু একাডেমী পুরস্কার ৩। একুশে পদক ১৯৯৪ ৪। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ কাহিনী ১৯৯৩, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১৯৯৪, শ্রেষ্ঠ সংলাপ ১৯৯৪) ৫। লেখক শিবির পুরস্কার ১৯৭৩) ৬। মাইকেল মধুসুদন পদক (১৯৮৭) ৭।

বাকশাস পুরস্কার (১৯৮৮) ৮। হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০) ৯। জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক স্যারের লেখা আমার প্রিয় একটি কবিতা ঃ প্রতি পূর্নিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই। গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে? বালিকা ভুলানো জোছনা নয়, যে জোছনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটোছুটি করতে করতে বলবে, ও মাগো! কি সুন্দর চাঁদ! নব দম্পতির জোছনাও নয়, যে জোছনা দেখে স্বামী গাড় স্বরে স্ত্রীকে বলবে; দেখো দেখো, চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর। কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাঁতে জোছনা নয়, যে জোছনা বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।

কবির জোছনা নয়, যে জোছনা দেখে কবি বলবেন, কি আশ্চর্য রুপোর থালার মত চাঁদ। আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোছনার জন্য বসে আছি। যে জোছনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে। ঘরের ভেতর ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর। প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব, আর হাঁটব।

পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে, চারিদিক থেকে বিবিধ কন্ঠ ডাকবে ..... আয়, আয়, আয় । - হুমায়ূন আহমেদ আজ বহুদিন পর আবার গৃহত্যাগী হবার ইচ্ছা জাগছে ... প্রিয় স্যার, যে বৃষ্টি এতদিন আমাকে প্রশান্তি জুগিয়েছে, যে জোছনা আমার পথ দেখিয়েছে...আজ সব আমার কাছে অর্থহীন মনে হচ্ছে। আমি আর বৃষ্টিতে ভিজবো না, কারন ভিজলেই মনে হবে বৃষ্টিতে ভেজা আপনি আমাকে শিখিয়েছেন! আমি আর জোছনা দেখবো না, কারন জোছনাতে আপনার আক্ষেপ মিশে থাকবে। আপনি আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন , কিন্তু মায়া কিভাবে উপেক্ষা করতে হয় তা আমাদের শেখান নি । তাই আপনি চলে গেলেও পাখির পালকের মত মায়া রেখে গেছেন।

"ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময়, চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়" আহা রে! আহা! :'( যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায় .........  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.