এখন আমরা সবাই বুঝে গেছি নিজস্ব আর পরেশ্ব যাই হোক না কেন পদ্মা সেতু নির্মান এ সরকারের আমলেই শেষ হচ্ছে না। সমস্যা টা এখানেই। তাহলে যদি পরবর্তী অন্য সরকার এসে এই সেতুর নির্মান কাজ শেষ করে। আর সে সরকার যদি এ না হয়ে বি হয়। তাহলে এ এবং বি এর মধ্যে তো আবারো নাম নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হবে।
এই সমস্যার তাই এখনই সমাধান করা জরুরী। পদ্মা সেতুর নাম দিয়ে দেই হাজী শরিয়তুল্লাহ সেতু। এই সেতু যেহেতু শরিয়তুল্লাহর ভুমিকেই দেশের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত করবে, তাই সেখান থেকে এই সেতুর নাম হাজী শরিয়তুল্লাহ নামে হওয়া বেশ যৌক্তিকও। অনেকে হয়ত বলবেন, আরে সেতুটা আগে হোক। এ যে ‘নদী না দেখেই নেংটো হওয়া’ এর মত বিষয়।
না ভাই, জলবাযু পরিবর্তনের সাথে শুধু প্রকৃতির ক্ষেত্রেই খনার বচন অচল হয়নি। সে প্রভাব সামাজিক- রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও পড়েছে। গত দশকের অভিজ্ঞতা কথা স্মরণ করে দেখুন।
এবার আবার সেতুর অর্থায়নের বিষয়ে ফিরে আসি। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে শুধু পাততাড়ি গুটায়নি।
ভদ্র ভাসায় পুনবিবেচনা বা ফিরে আসার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছে। গরিবের কথা বাসি হয়ে ফলার মত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন বামেদের কথাই ফলছে। বিশ্বব্যাংকের নানা অনিয়ম, ভুলনীতির বিষয়ে এখন খোদ প্রধানমন্ত্রীই সোচ্চার। আচ্ছা আর একটু এগিয়ে গিয়ে বলি- নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু বানিয়ে আমরা স্বাবলম্বীতার একটা উদাহরন তেরী করবো। এই মুহুর্তে বিশ্বব্যাংকে হাতের কাছে না পাওয়াতে, গ্রামীণ ব্যাংকের মত শিক্ষা দিতে না পারলেও, এক সময় হয়ত সে ক্ষমতাও আমাদের হবে।
আচ্ছা পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তির একটা সংগ্রামও বটে পদ্মাসেতু(হাজি শরিয়তুল্লাহও হতে পারে)। এই সংগ্রামের একটা চিহ্ন সেতুর গায়ে তাই অবশ্যই থাকা উচিত। তাই এই সেতুর ঢাকার দিকের টোল প্লাজার নাম ‘বিশ্বব্যাংক টোলপ্রাজা’ করা যেতে পারে।
অবস্থা দৃষ্টে এটা এখন নিশ্চিত- পরে দাতারা যদিও আসে, সেতুর নির্মাণ কাজ আমাদের অর্থেই আমরা শুরু করছি। সেই চাঁদা ওঠানোর ঘোষনা এসেছে, উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে চাঁদা তোলার কাজও শুরু হয়েছে।
এই কাজ এতদূর এগিয়েছে যে, এরই মধ্যে তা নিয়ে সংঘর্ষ সংঘাতের ঘটনা ঘটতেও শুরু করেছে। সোহেল রানা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একটি প্রাণও এরমধ্যে ঝরে গেছে। এই অতিউৎসাহ বা কর্তাদের দ্বায়ীত্বজ্ঞানহীন উদাত্ত আহবানে কর্মীর প্রাণ-অন্ত। যেকারনেই হোক না কেন এই বিষয়টিও উপেক্ষীয় নয়। যার ভুলেই হোক, সেই কালিমাকে বরণ করে নিয়েই রাজধানীর বিপরীত দিকের টোলপ্লাজার নাম সোহেল রানা করার প্রস্তাব করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।