শাফি সমুদ্র
হে মৃত্যু, সময় হ'লো! এই দেশ নির্বেদে বিধুর।
এসো, বাঁধি কোমর, নোঙর তুলি হে মৃত্যু প্রাচীন!
কাণ্ডারী তুমি তো জানো, অন্ধকার অম্বর সিন্ধুর
অন্তরালে রৌদ্রময় আমাদের প্রাণের পুলিন।
দীর্ঘ প্রণাম পূর্বক বিনীত প্রার্থনায় অবনত পৃথিবী
মানুষ মানুষকেই কাছে ডাকে। মানুষ মানুষকেই প্রার্থনা করে। মানুষের প্রতিরূপে ঈশ্বরও তার হুকুমকে প্রতিপালন করেন, নিজের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেন।
তাহলে তিনি কি নিজেকে মানুষরূপে নির্মাণ করেন? নিজেই নিজের সাথে প্রতারণার দীর্ঘ শেকলে বেঁধে ফেলেন? প্রশ্ন থাকতে নেই জিহ্বায়-লালসায়। তবুয়ো প্রশ্নগুলো নিজের ভিতর থেকে চরিত্র সৃষ্টি করে। কি সেই চরিত্র? এটি এমন এক চরিত্র যা পাঠককুলকে একটি আত্মসংঘাত অথবা অনিবার্য জীবনবোধের কাছে টেনে নিয়ে যায়। জীবন? একদিকে গরল অন্ধকার অন্যদিকে ধবল দিনমান। অন্ধকারগুলো দিনের মত স্বচ্ছ নয় বরং নিপীড়িত-বঞ্চিত জনপদের মত পিছন থেকে টেনে ধরে।
আর দিনগুলো অসভ্যতার ডানায় ভেসে বেড়ায় দিগন্ত থেকে দিগন্তে। তাহলে সত্য কোনটি অন্ধকার না আলো? আমরা কোন দিকে যাবো? পাঠকগন কাকে কাছে টেনে নিবেন আলো না অন্ধকার? আমাদেও জানা নেই কিছু। কেননা- আমরা এখনো পর্যন্ত এই দুইয়ের গভীরতম রহস্যের উপলব্ধি থেকে ক্রমশ: পিছনের দিকে ছুটছি। উল্টোপথ। উল্টোরথ।
ঈশ্বর কি আমাদের এই সিদ্ধান্তহীনতাকে প্রভাবিত করছেন নাকি আমরা তার সিদ্ধান্তকে থোড়াই কেয়ার করছি। একবার ভাবুন বিবেকবান পাঠক এই কথাগুলো কেন বলছি-
পৃথিবীটা বুড়োধাড়ীদের মত ন্যুয়ে পড়েছে হে ঈশ্বর। এবার তুমিয়ো বুড়ো হতে চলেছ। লাঠি ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে তোমাকেয়ো ঘুরতে হবে পাড়ায় পাড়ায়। অচল পৃথিবীর মত তোমাকে অচল বানালো কে? কোন অগ্নিপরিহাস তোমাকে এমন ঢিল ছুড়লো? কথাগুলো একজন মানুষ বিড়িবিড় করে বলতে বলতে চলে যায়, যেখানে যাবার আছে তার।
তার এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙিমা অনেকক্ষণ ধরে দেখছি। ভাবলাম ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কতো অভিযোগ থাকে মানুষের। মানুষের কাছ থেকে ঈশ্বর কতো মাইল দূরে থাকে? তিনি কি লাল রঙ ভালোবাসেন? নীল রঙ? কোন রঙ তার কাছে পছন্দের। তিনি মানুষকে কোন কোন রঙে সৃষ্টি করেছেন। দ্রারিদ্রতার রঙ কি কমলা বা হলুদ? নাকি মানবজাতি সৃষ্টিতে তিনি একজন ব্যর্থ স্রষ্টা।
আমরা তাকে কি বলতে পারি? এরকমই প্রশ্ন হরহামেশা করে বেড়ায় সে..... (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।