আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে। পিপলস্ রিপাবলিক অব বাংলাদেশ এই নামে আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিচয় বহন করছি জন্মলগ্ন থেকে। অথচ সেই রিপাবলিকের আভ্যন্তরীণ জন নিরাপত্তা বাহিনী হচ্ছে ১৮৬১ সালের লুটেরা ভিক্টোরিয়ান অসামরিক হাতিয়ার ব্যবস্থা। যাহা ছিল আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে নতুন ঠ্যাংগাড়ে পুলিশ বাহিনী। প্রকারান্তে সমাজকে ইজারা দেওয়া হয় সম্রাজ্ঞীর পেটোয়া বাহিনী হিসাবে নেটিভদের ঘাঁড়ে ভর করে বিচরণ করতে।
এমনতরো উদ্দেশ্যে গঠিত বাহিনীর কাছ থেকে আমরা পেতে চাই নৈতিকতা বা জনসেবা নামক রিপাবলিকের অনুগত আচরণ ! এইজন্য বিভিন্ন সময় জনসাধারণকে আশসত্ম করার জন্য ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রচার করেন যে পুলিশ বাহিনী জনগণের বন্ধু বা সেবক ইত্যাদি গাল-গল্পো। উপরে উল্লিখিত কথাটা সত্য হলে ১৮৬১ সালের পুলিশ অধ্যাদেশ পরিবর্তণের কথা আলোচনা হতো না। যেহেতু এদের সামগ্রীক কর্মকান্ডের প্রভাব সমাজ জীবনের নিরাপত্তার প্রহরী হিসাবে প্রকাশ পায় নি। সকল সময় আমাদের সমাজে বিচরণ করছে রাষ্ট্রীয় পেটোয়া বাহিনী হিসাবে। বিষয়টা কি সত্য নয় ?
বিষয়টা সহজ সরল।
কারণ ১৮৬১-এর পুলিশ বাহিনী গঠনকারী বিটিশ সম্রাজ্ঞী এবং পিপলস্ রিপাবলিক অব বাংলাদেশ একই চিমত্মা-চেতনার আলোকে বিচরণ করে না। দখলদার সম্রাজ্ঞীর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুস্থানের হরিলুটের রাজত্বকে বজায় রাখা। যে কারণে নেটিভদের নজরদারীর আওতায় রাখতে হাতিয়ার দরকার। সেই হাতিয়ার হিসাবে কোম্পানীর প্রস্তাবিত ১৮৪০ সালের পুলিশ বাহিনী। যা পরবর্তী ভিক্টোরিয়ার লুটের প্রশাসন ও দাস দালালদের নিরাপত্তা বজায় রাখতো।
অন্যদিকে আমরা লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য। যেখানে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা অবশ্যই থাকবে সমাজ জীবনে। অর্থাৎ মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চিয়তা অবশ্যই থাকতে হবে।
‘সাদা’ সাম্রাজ্যবাদের কোম্পানী আমলে জবরদখলকৃত সাম্রাজ্য থেকে লুটতরাজ ও নজরদারী বজায় রাখার জন্য ১৮৪০ সালের প্রস্তাবনার পরিণতি অসামরিক পুলিশ অধ্যাদেশ। যাহা দীর্ঘ ২১ বছর প্রয়োগ, পর্যালোচনা ও বিশেস্নষণের পর ১৮৬১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ অধ্যাদেশ নামে জারি করে।
যে অধ্যাদেশ ভিক্টোরিয়ান বুনিয়াদের উপর গড়ে ওঠে। সেই একই পুলিশ বাহিনী বিরাজ করছে বর্তমান ২০১০ সালেও ! যাহার পরিবর্তণের কথা জোরেশোরে প্রচার পায় তাও বিগত জরুরী অবস্থার সময়। কিন্তু পিপলস্ রিপাবলিকের বাংলাদেশের আঙ্গিকে ১৮৬১ সালের পুলিশ অধ্যাদেশটির পরিবর্তণ করার সাহস হয়নি নেটিভ কথিত সংস্কারবাদী তত্বাবধায়ক সরকারের।
সুতরাং বিষয়টা নির্বাচিত বর্তমান গণতান্ত্রীক মহাজোট সরকারের উপর নির্ভর করছে , পরিবর্তণ হওয়া না হওয়ার। যার উপর নির্ভর করছে রিপাবলিকের ‘জন’-এর গণভিত্তির স্বাধীন এবং মানবিক সত্তার বিকাশ হওয়া।
**আমার এই লেখাটি খুলনা জার্নাল এ প্রকাশিত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।