বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। দানের ব্যপারে বরাবরই আমরা উদার। আমরা বাংলাদেশীরা দান করতে কুন্ঠাবোধ করিনা। দানের হাত আমাদের অনেক বড়। এজন্যেই আমরা বাঁচাতে পেরেছি অনেক অসহায়কে।
যখনই কোন মিডিয়ার কারো অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে তখনই আমরা ঝাপিয়ে পড়েছি। এভাবেই বাঁচিয়েছি অনেক প্রাণ।
দানের ব্যপারে যে আমরা উদাসীন না সেটা আমাদের রাজনীতিবিদরা অনেক আগেই জেনে গেছেন। জানেন বিধায় আমাদের অনেক রাজনীতি বিদ পদ্মাসেতু অর্থায়নের জন্য বিভিন্ন ফরমূলা দিয়ে যাচ্ছেন।
কেউ বলছেন মোবাইল কলাদের কাছ থেকে দুই টাক হারে প্রতিদিন আদায় করতে, আবার কেউ বলছেন পঁচিশ প্রতি কলে।
আরেক জন বলছেন সেবার উপর চার্জ বসিয়ে অর্থায়ন করা হো'ক। কেউ বাজার না করিয়ে, কেউ শেয়ার বাজার থেকে, কেউ রেমিটেন্স থেকে অর্থায়ন করতে বলছেন। আবার অতি উৎসাহী কেউ আগবাড়িয়ে বলছেন দরকার হলে কিডনি বিক্রি করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করবেন। আহ্ হা হা .... .... .... কত্ত দেশ প্রেম!
কিন্তু এই তথাকথিত দেশ প্রেমিকরা কখনও কি আয়কর দিয়েছেন? তারা একবার সংসদ সদস্য হলে আয়করের উর্দ্ধে উঠে যান। তাদেরকে আর আয়কর দিতে হয়না।
তার শুল্কমুক্ত গাড়ী আমদানী করেন। কখনও কি ভেবেছেন শুল্ক দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। বিবেক থেকে কি কখনও তাড়িত হয়েছেন শুল্ক দেয়ার জন্য? কেউ কেউ আবার শুল্ক মুক্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবসাও করেছেন। প্রত্যেক দলই ক্ষমতায় এলে নিজেদের বেতন ভাদাদি, গাড়ি, বাড়ী ইত্যাদির সুবিধা বাড়িয়ে নিয়েছেন। তারা কি কখনও বলেছেন আমাদের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেয়া হো'ক পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য?
মন্ত্রী এমপিরা বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া রেখেছেন টেলিফোন বিল, গ্যাস বিল, ওয়াসার বিল।
তারা কি কখনও বলেছেন বকেয়া বিল পরিশোধ করি পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য?
তারা কি কখনও বলেছেন ঋণ খেলাপী রাঘব বোয়ালদের খেলাপী ঋণ আদায় করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করা হো'ক? বলবেন না কারন তাদের স্বার্থ জড়িত সেখানে। শেয়ার বাজার থেকে পীর দরবেশরা হাতিয়ে নিলেন হাজার হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ফান্ডের জন্য সেই টাকা উদ্ধারের কথা কেউ বলেছেন কি?
প্রতিনিয়তই খবরের কাগজে আসছে মন্ত্রী এমপি তথা তাদের পিএস এপিএসদের শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের কথা। অবৈধ সম্পদ জব্দ করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করা হো'ক, সে কথা কেউ কি বলেছেন? না বলবেন না কারন তাদের অবৈধ স্বার্থ সেখানে জড়িত।
সুরঞ্জিত বললেন "মোবাইল কলারদের কাছ থেকে দুই টাকা হারে প্রতিদিন তোলা হোক", মাননীয় স্পিকার বললেন ২৫ পয়সার কথা।
জনাব নাসিম বললেন "সরকারি সেবার উপর চার্জ বসানো হোক"।
সংসদ উপনেতা একটু বেশী উদার তাই তিনি একবেলা বাজার করবেন না বলে ঘোষনা দিলেন কিন্তু তিনি কয় বেলা বাজার করেন?
বসে বসে এই সব বাহারী লেকচার দেওয়া বন্ধ করেন। জনগনের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে দ্রব্য মূল্যের কষাঘাতে।
আবুলেরা দুর্নীতি করবে আর তার খেসারত দিতে হবে জনগনকে। বন্ধ করুন আপনাদের এই বক ধার্মিকতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।