ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ স্যার আলফ্রেড হিচকক থ্রিলার ধর্মী চলচ্চিত্রের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃত। তিনি কুশলতা সহকারে সেক্স, সাসপেন্স এবং কৌতুকরসবোধ সংমিশ্রণে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেন।
খুদ্র সব্জি ব্যবসায়ী উইলিয়ামস হিচকক ও ইম্মা জেন'এর ৩ সন্তানের ২য় সন্তান আলফ্রেড হিচককের জন্ম লন্ডনে ১৩ আগস্ট ১৮৯৯ সালে। ছোটবেলা থেকেই তিনি দুরন্ত ছিলেন। আর এতটাই দুরন্ত ছিলেন যে যখন তাঁর বয়স সবে ৫ পেরিয়েছে সে সময় তাঁর বাবা তাঁর দুরন্তপনায় অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ধরে থানায় নিয়ে যান, আর পুলিশ তাঁর অপরাধে তাঁকে থানায় বসিয়ে রেখে ১০ মিনিটের সাজা দেন।
১৯১৭ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য তিনি নাম তালিকভুক্ত করতে যান, কিন্তু শারীরিক গঠনে দুর্বলতার (উচ্চতা) জন্য তিনি অযোগ্য ঘষিত হন। কিন্তু অদম্য হিচকক cadet হিসেবে Regiment of the Royal Engineers'এ ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে শুধু theoretical briefings, weekend drills and exercises'এ তাঁর কার্যক্রম সীমিত ছিল।
স্যার আলফ্রেড হিচকক
তিনি ১৯১৯ সালে চলচ্চিত্রে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন লন্ডনের বিখ্যাত প্যারামাউন্ট পিকচারস'এ। তিনি সেখানে টাইটেল, স্ক্রিপ্টিং, সম্পাদনা ও শিল্প নির্দেশনার কাজ শিখেছেন, এবং ১৯২২ সালে সহকারী পরিচালক কাজ শুরু করেন।
তিনি প্রথম Number 13 নামে ১৯২২ সালে একটি ছবি নির্মাণ করেন যা অসমাপ্ত থেকে যায়। , তার প্রথম পরিচালক হিসেবে সম্পন্ন ছবিটি The Pleasure Garden ১৯২৫ সালে মুক্তি পায়। ১৯২৬ সালে নির্মিত The Lodger মুক্তি পাবার পর চলচ্চিত্রকার হিসেবে তিনি ব্রেকথ্রু পান। এ ছবিতে তিনি দেখিয়েছেন কেমন করে একজন নিরাপরাধ ব্যা্ক্তি অপরাধ জগতে যুক্ত হয়ে যায়।
হিচককের প্রযুক্তিগত চারুশিল্পের সম্বন্ধে জ্ঞান ও তার প্রতি ভালবাসা প্রথম উদাহরণ ছিল Blackmail (১৯২৯), তার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র।
এ গল্পে এক ব্যাক্তি এক মহিলাকে পটিয়ে যৌন হয়রানি করে এবং মহিলাটি প্রতিবাদে সেই ব্যাক্তিটিকে নিজ হাতে খুন করেন! হিচকক প্রথম স্পষ্ট সেক্স এবং সহিংসতার মধ্যে লিঙ্ক তৈরি করে চলচ্চিত্র নির্মাণে দক্ষতার ছাপ রাখেন।
Blackmail (1929)
তিনি চলচ্চিত্রে একাধারে লেখক, নির্মাতা, পরিচালক, শিল্পনির্দেশক সম্পাদনা অর্থাৎ চলচ্চিত্র নির্মাণে যে সব কার্য সমাধা করতে হয় সবস্থানে তার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
তিনি ৬ দশকে সবাক/নির্বাক প্রায় ৫০টির মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রেস্টিজিয়াস চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি দুবার Golden Globes, আটবার Laurel Awards and পাঁচবার lifetime achievement award এ ভূষিত হন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজক ভাবে তিনি কখনই শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে অস্কার জিতেননি!
তিনি এক সময় লন্ডন ছেড়ে হলিউডে চলে যান এবং ১৯৫৫ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব নেন। জীবনের শেষ সময়ে তিনি The Short Night নামে চলচ্চিত্রের জন্য কাহিনী লিখছিলেন যা অসমাপ্তই থেকে যায়। এই মহান চলচ্চিত্র নির্মাতা তার Bel Air বাড়িতে ২৯শে এপ্রিল ১৯৮০ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং তাঁর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া শেষে তাঁকে প্রশান্ত মহাসাগরে সমাহিত করা হয়।
Alfred Hitchcock filmography
No. 13 (1922) (unfinished)
Always Tell Your Wife (1923) (unfinished)
The Pleasure Garden (1925)
The Mountain Eagle (1926) (lost)
The Lodger: A Story of the London Fog (1927)
The Ring (1927)
Downhill (1927)
The Farmer's Wife (1928)
Easy Virtue (1928)
Champagne (1928)
The Manxman (1929)
Blackmail (1929)
Juno and the Paycock (1930)
Murder! (1930)
Elstree Calling (1930)
The Skin Game (1931)
Mary (1931)
Rich and Strange (1931)
Number Seventeen (1932)
Waltzes from Vienna (1933) The Man Who Knew Too Much (1934)
The 39 Steps (1935)
Secret Agent (1936)
Sabotage (1936)
Young and Innocent (1937)
The Lady Vanishes (1938)
Jamaica Inn (1939)
Rebecca (1940)
Foreign Correspondent (1940)
Mr. & Mrs. Smith (1941)
Suspicion (1941)
Saboteur (1942)
Shadow of a Doubt (1943)
Lifeboat (1943)
Aventure Malgache (1944)
Bon Voyage (1944)
Spellbound (1945)
Notorious (1946)
The Paradine Case (1947)
Rope (1948) Under Capricorn (1949)
Stage Fright (1950)
Strangers on a Train (1951)
I Confess (1953)
Dial M for Murder (1954)
Rear Window (1954)
To Catch a Thief (1955)
The Trouble with Harry (1955)
The Man Who Knew Too Much (1956)
The Wrong Man (1956)
Vertigo (1958)
North by Northwest (1959)
Psycho (1960)
The Birds (1963)
Marnie (1964)
Torn Curtain (1966)
Topaz (1969)
Frenzy (1972)
Family Plot (1976)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।