আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলফ্রেড হিচকক : দ্য মাস্টার অব সাসপেন্স



‘দ্য মাস্টার অব সাসপেন্স’ কোন পরিচালককে বলা হয় জানেন? রেবেকা, সাইকো, রোপ, ভার্টিগো, স্যাবোটেজ, স্ট্রেঞ্জারস অন এ ট্রেন, সাসপিশন, রিয়ার উইন্ডোÑ এমন থ্রিলারধর্মী বিখ্যাত চলচিত্রগুলোর নাম তো আজো মানুষের মুখে মুখে। নিশ্চয়ই আঁচ করতে পারছেন কার কথা বলা হচ্ছে। হ্যা, সর্বকালের জনপ্রিয় এই পরিচলকের নাম আলফ্রেড হিচকক। কিংবদন্তি এই পরিচালকের জন্ম ১৮৯৯ সালে লন্ডনের লেটনস্টোনে। মাত্র ২০ বছর বয়সেই তিনি চলচ্চিত্রকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

লন্ডনের খ্যাতনামা প্যারামাউন্ট স্টুডিওতে তিনি চিত্রনাট্য, সম্পাদনা ও শিল্প নির্দেশনার ওপর শিক্ষা নেন। এবং ১৯২২ সালে সহপরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেই বছরই হিচকক নাম্বার ১৩ বা মিসেস পিবডি নামে একটি ছবি পরিচালনা করেন। যদিও ছবিটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। পরিচালক হিসেবে তিনি সম্পূর্ণরূপে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯২৫ সালে দ্য প্লেজার গার্ডেন ছবির মাধ্যমে।

পরের বছরে দ্য লজ ছবির মাধ্যমে হিচকক মূলত তার স্বকীয় ধারার সূচনা করেন। ছবির প্লটটা এরকম : গল্পের মূল চরিত্র যে নির্দোষ একটি মিথ্যা খুনের মামলায় জড়িয়ে যায় এবং ক্রমশই ষড়যন্ত্রের জালে আটকে পড়ে। এই ছবিগুলো কিন্তু সবই নির্বাক। হিচককের প্রথম সবাক ছবি হলো ব্ল্যাকমেইল (১৯২৯)। তবে হিচকককে যে ছবিটি ব্যাপক আলোচনায় নিয়ে আসে এবং একই সাথে বাণিজ্যিক সফলতাও পান সেটি হলো দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ (১৯৩৪)।

১৯৩৯ পর্যন্ত তিনি একের পর এক পাঁচটি ছবি বানান। এরপর তিনি চলে যান হলিউডে। স্বদেশে নির্মিত তার শেষ ছবিটি ছিল জ্যামাইকা ইন (১৯৩৯)। হলিউডে নির্মিত প্রথম ছবি দিয়েই হিচকক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। আর সেটি হলো ড্যাফনে ডু মরিয়ের’র উপন্যাস অবলম্বনে রেবেকা (১৯৪০)।

এটি সে বছর বেস্ট পিকচার হিসেবে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। তার পরের হিচককের প্রায় প্রতিটি ছবিই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং তাকে সারাবিশ্বে থ্রিলার চলচ্চিত্রকার হিসেবে খ্যাতিমান করে তোলে। ১৯৫৬ সালে হিচকক আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ছয় দশকের ফিল্মি ক্যারিয়ারে তিনি পঞ্চাশটিরও অধিক ফিচার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। অনেক ছবি তিনি নিজেই প্রযোজনা করেছেন।

হিচককের ছবি সাসপেন্স ও ফ্যান্টাসিতে যেমন ভরা তেমনি রসবোধ এবং বিদ্রুপেও কম যায় না। আর তার ছবি টেকনিক ও সিনেমাটোগ্রাফির জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ভার্টিগো ছবিতে তিনি যে ক্যামেরা টেকনিক ব্যবহার করেছেন পরবর্তী সময়ে বহু চলচ্চিত্রকাররা সেটি অনুসরণ করেছেন, যেটিকে বলা হয় ‘হিচকক জুম’। হিচককের কাজের ধারা এমনই পৃথক ও স্বকীয় ছিল যে প্রচুর চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, অভিনেতা-অভেনেত্রীরা তার চলচ্চিত্র দেখে উজ্জীবিত হয়েছেন, শিখেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ হিচকক জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন।

অস্কার নমিনেশনে অনেকবার তিনি বেস্ট ডিরেক্টরের পুরস্কার পান। ছবিগুলো হলো সাইকো (১৯৬০), রেবেকা (১৯৪০), লাইফবোট (১৯৪৪), স্পেলবাউন্ড (১৯৪৫), রিয়ার উইন্ডো (১৯৫৪)। এবং বেস্ট পিকচারের পুরস্কার পায় তার ফরেন করেসপন্ডেন্ট ও স্পেলবাউন্ড। এছাড়াও ১৯৮০ সালে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ কতৃক তিনি নাইট উপাধি লাভ করেন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.