অনেক খারাপের মধ্যে ভাল খবর পেলাম একটা। তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন নতুন কর্মস্ংস্থান-এর সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ সুযোগ বা্ংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে। এসব প্রবাসী কর্মীরা প্রতি বছর প্রচুর টাকা দেশে পাঠায়। এসব প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো টাকার পরিমান রাষ্ট্রীয় অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বা্ংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যা্ংকের এক কার্যকরী পরিচালক বলেছেন, এই টাকার পরিমাণ গত রাষ্টীয় অর্থবছরে ১০.২৬ শতা্ংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বা্ংলাদেশের প্রায় ৮০ লাখেরও বেশি প্রবাশী কর্মী দেশে টাকা পাঠায়। এর জন্য বৈদেশিক বিনিময়ের একাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে যা আমদের দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যের ওপর চাপ কমাচ্ছে ও জাতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রন করছে। এছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বা্ংলাদেশী টাকাও স্ফীত হচ্ছে।
সরকার গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক মনিটরি ফান্ডের কাছ থেকে দাবিকৃত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবার পর গত বছরে এই টাকার মান মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৫ শতা্ংশ হ্রাস পায়।
গত ৬ বছরে প্রায় ৩,৭৪,৮৩৭ বা্ংলাদেশী কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। বা্ংলাদেশের জনশক্তি অধিদপ্তর ও কর্মস্ংস্থান প্রশিক্ষন –এর তথ্য অনুযায়ী এসব কর্মীরা বেশিরভাগই বিভিন্ন কারখানা, কনস্ট্রাকশন এব্ং ফার্মে কাজ করছে। এছাড়াও আরো অনেকে আরো বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছে।
২০০৮/২০০৯ এ বৈশিক অর্থনৈতিক মন্দার কারনে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় অনেকে চাকরি হারায়। বা্ংলাদেশেও এর তীব্র প্রভাব পড়েছিল।
বা্ংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এটি দরিদ্র দেশ। তাই এটা অনেকটাই বৈদেশিক আয়ের উপর নির্ভরশীল। যার বেশির ভাগই আসে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে।
জয় হোক প্রবাসী বা্ংলাদেশী কর্মীদের!
Link to the main news : Bangladeshi workers send record amount home
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।