মহাজাগতিক সংস্কৃতির পথে .. .. অবশেষে চার দশকেরও দীর্ঘ সময় ধরে খুঁজে বেড়ানো মহাবিশ্বের সুষ্টির সময়কালীন হিগস্-বোসন কণার অস্তিত্বের সন্ধান লাভের ঘোষণা দিল ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন)। জেনেভায় সার্ন মিলনায়তনে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে দুই দফা চালানো পরীক্ষার সমন্বিত ফলাফল গত ৪ জুলাই ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন নতুন আবিস্কৃত এই কণার কাঠামো ও আচরণ হিগস্-বোসন কণার সঙ্গে যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই কণাটিই মহা বিস্ফোরণের পরে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে মহা বিস্ফোরণের ঠিক পরেই সব কণিকা ছিল ভরহীন, শুধুমাত্র শক্তি হিসেবে তাদের অস্তিত্ব ছিল।
খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে কণিকাগুলো ভর লাভ করে। যার ধারাবাহিক পক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের পরিচিত আজকের এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি। কাজেই হিগস্-বোসন কণার বা সদৃশ কণার অস্তিত্বের সন্ধান লাভের মাধ্যমেই ধীরে ধীরে উন্মোচিত হবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্ণ রহস্য। তাই হিগস্-বোসন কণাকে আদুরে ভাষায় ঈশ্বর কণা বলেই অভিহিত করা হয়।
ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী পিটার ওয়ার হিগস্ এবং অন্যতম বাঙালী বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বোসের নাম মিলিয়ে কণাটির নাম দেওয়া হয়েছিল হিগস বোসন।
কারণ তাদের দু'জনের তাত্ত্বিক গবেষণাই নির্দেশনা দিয়েছিল এই জাতীয় কণার অস্তিত্ব থাকার বিষয়ে। হিগস্ নিজেও কখনো ভাবতে পারেননি যে তার জীবদ্দশাতেই কণাটির সন্ধান মিলবে। এই আবিস্কৃত কণাটি ১২৫.৩০ গিগাইলেক্ট্রন ভোল্টের এবং প্রোটনের চেয়ে ১৩৩ গুণ ভারি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।