মুর্খদের সাথে তর্ক করতে ভাল্লাগেনা,মুর্খ দের এভয়েড করতে ভাল্লাগে ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারা দেশে এখন লাশের গন্ধ আর আমি কথা বলি নিজের সাথে। ঘরে বসে থেকে ফেবুতে পলিটিক্স করি। ফাকিং অনলাইন একটিভিস্ট। ছবির পর ছবি শেয়ার করে উড়ায় দিতাছি। হেফাজতের কোরান পোড়ানোর ছবি,পল্টনে/মতিঝিলে মুসলিম ভাইয়েরা কষ্টে আছেন খাবার,পানি নিয়ে যেভাবে পারেন দৌড়ে যান।
সত্যই অদ্ভুত এক স্বদেশ। গায়ে আগুন লাগলেও খবর নাই কিন্তু নখ ভাংগলো কেন তা নিয়ে চিতকার চেচামেচি। সাভার হারিয়ে গিয়েছে পত্রিকাগুলো থেকে গত ৩দিন ধরেই। আর রামপাল তো নেইই।
মার্ক্স সাহেব বলেছিলেন রাষ্ট্র যন্ত্র প্রোলিটারিয়েটদের উপর শোষন ও অত্যাচার এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যাতে তাদের মাঝে একটা ড্রাইভ আসে রুখে দাড়াবার।
ড্রাইভের গলা কাটলো সবাই মিলে। বাহবা।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র আসলে অসাড়। বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে কারোর দাড়াবার ক্ষমতা নেই। জামাত -বামদের কথা বাদ দিলাম।
পরজীবি যতসব। বিএনপি দেয় মানুষকে ছাগল। আওয়ামী লীগ তাও টাকা অফার করছেন। কোন দুর্যোগে নেই প্রিভেন্টিভ মেজারস। সবাই একই কাতারে দাঁড়িয়ে পশ্চিমে সেজদারত আর না হয় ভারতের মুখোমুখি সেজদারত।
সাধারন মানুষের তুলনামুলক সহনশীল জীবনযাত্রায় নতুন করে আগুন লাগালো শাহবাগ আর হেফাজত। ইসলামের হেফাজত,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার,নাস্তিক,আস্তিক,ব্লগার কত নতুন বিভেদ তৈরি হল। ভেদাভেদের নতুন রূপ দেখি চোখ খুললেই,পেপার দেখলেই,টিভি দেখলেই। ফেসবুক আর ব্লগ তো এখন মহামারী রূপ ধারন করেছে।
সাভারের লাশের স্তুপের পাশেই ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছেন আরো বড় দুর্নীতিবাজ বিরোধী দল।
দেশ,জাতি সংক্রান্ত লোক দেখানো হতাশা তখন বুকের মাঝে জেগে উঠে। মনে হয় এই পোস্টের মতন আরো পোস্ট দেই। গরম গরম। পোস্ট মেরে ঘুম যাইতে মন চায়। তারপর আবার সকালে উঠে একই চক্র।
কতটা নাম্ব আমি-আমরা। কতটা ইউজলেস আমরা।
আমার নিরপেক্ষতা কে আর আকড়ে ধরলাম আরো জোড়ে। বংগবন্ধু,জ়িয়া,এরশাদ,শাহবাগের,হেফাজতের বাংলাদেশ আমার লাগবেনা আর। রাজনীতি বিষয়ক আকামের আড্ডাও অনেক হল।
কে কেমন সেটা জানা হল। আর জ্ঞান লাভ হল একটাই নিপিড়িত দের জন্য সরকার ২ পা আগালেও ৩ পা পিছাবে। আর আমরা ছাগলের বাচ্চারা পোস্ট দিয়ে তা থামাতে পারবো কি না জানিনা। তবে আমি আর সহজে লিখছিনা কোন কিছু দেশের রাজনীতি নিয়ে। কারণ এই দেশ কে বিভাজিত করাটা যে ভারত-পশ্চিমাদের কতটা দরকারী
তা পোস্ট দিয়ে বুঝানো যাবে না।
এই দেশের অস্থিতিশীলতা ভারত-পশ্চিমাদের কতটা দরকারী তাও বুঝানো যাবেনা। এই দেশের মানুষকে অর্ধশিক্ষিত বানায় রাখা টা যে কি জরুরী তাও শিখা যাবেনা।
সবকিছু নিজের ভিতর থেকে বুঝা লাগবে। নাস্তিকতা,আস্তিকতা,চেতনা,জাতীয়তাবাদ সবই নিজে থেকে আসতে হবে। এগুলোর নাম আইডিয়া।
এগুলো দেখে দেখে,শুনে শুনে শিখলে,পালন করলে আপনি নিজের আত্মাটাকে হারালেন। আর শাহবাগী,বাম,হেফাজত,জামাত,আওয়ামী লীগ,বিএনপির সেলসম্যানরাই তাদের কমিশন পেল। আমার আর ওদের রক্ত ব্যবসা,বুদ্ধি ব্যবসা,লাশ ব্যবসা,ধর্ম ব্যবসা,চেতনা ব্যবসা নিয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছাটা মরে গেছে। শ্রমিকের লাশ মাড়িয়ে,নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় তাদের নিয়ে এক মূহুর্ত নষ্টের ইচ্ছা পাচ্ছিনা। নষ্ট রাজনীতিবিদ ও নষ্ট বুদ্ধিজীবি(রিয়াল ও ভার্চুয়াল) রা বাংলাদেশ নামক জীবনযুদ্ধে নামা পতিতা কে নিয়ে খেলুক।
খেলতে দেই। যতদিন না এই খেলা বন্ধ করার মতন কিছু করতে না পারি ততদিন নিজেকে প্রস্তুত করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।