থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
মনে আছে, ১৯৯৬ সালে কি হুড়পাড় করে, সংবিধানের দোহাই দিয়ে, বেগম খালেদা জিয়ার দল নির্বাচন করেছিল। সংবিধান আজও আছে, শুধু একটু চেঞ্জ করা হয়েছে। এমন বদল যে কেউই এক-আধটু করতেই পারে। শেখ হাসিনাও একটু করেছেন।
তার মানে এই নয় যে উনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান।
মনে রাখতে হবে, আম্লিগের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে নির্বাচন ব্যবস্থায় একটা সুন্দর পরিবর্তন আনবার জন্যই পঞ্চম সংসদ ভেঙ্গে যাবার পরেই ষষ্ঠ সংসদ গঠিত হয়। সেই সংসদ নিয়ম রক্ষার সংসদ, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সংবিধান সংশোধনী করেন, এবং সংসদ ভেঙ্গে দেন।
এইবারে যে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে আম্লিগ একাই নির্বাচন করছে না, সাথে আছে আম্লিগের ১৯৭২-৭৫ সালের দুই প্রধান শত্রুঃ আছে জাসদ, আছে ওয়ার্কাস পার্টি। এই নির্বাচনের কোন উদ্দেশ্যও নেই! যদিও একটা গোপন উদ্দেশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি।
কিন্তু সেটা গুপনই থাক না
এই নির্বাচনে জিতে আবারও একটা নির্বাচন দিতে হবে সরকারকে। সেই নির্বাচনে সবাই খেলতে নামবে। দশম সংসদ নির্বাচন হয়ে যাবার পরে শেখের বেটি তিন বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন। চুরঞ্জিতদের গলাবাজির একটা উপাদান তো বাড়বে!
ফলে ফলাফল হবে ড্র। এরপরে আর কেউই বলতে পারবে না যে খালেদা খানম তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।
এই দেশে
দেশনেত্রী সব পাবেন,
আর জননেত্রী সব পাবেন না
তা হবে না / তা হপে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।