যে হারে কারেন্ট যাইতেসে তাল পাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে দেশের কারেন্ট এর উপর যেমন চাপ কমতাসে হাতের ভালই ব্যায়াম হইতাসে, সারাদিন না থাকলে হয়ত পানি আনতে নিচে যাইতে হইতে পারে, হেভি ইন্সট্রুমেন্ট আর লাগবনা যারা ব্যায়াম করে রূপা ব্যবহার করা হলে সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিকের লড়াই করার ক্ষমতা ১০ থেকে ১,০০০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় বলে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন।
জীবাণু নাশক হিসেবে বহু শতাব্দী ধরেই রূপা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু রূপা কি করে জীবাণু প্রতিহত করে সে বিষয়ে তেমন কিছু এখনো জানা যায়নি।
এবারে নতুন গবেষণা থেকে মনে হচ্ছে, প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকে রূপা যোগ করার মাধ্যমে হয়ত ওষুধ প্রতিরোধক অণুজীব সৃষ্টির আশংকা প্রতিহত করা যাবে। মানবজাতির জন্য এটি একটি মস্ত বড় সুখবর।
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটের একদল গবেষক নতুন এ গবেষণাটি চালিয়েছেন। গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন জোস রুবেন মোরোনেস-রামিরেজ।
ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় এ দলটি দেখতে পেয়েছে, রূপা মিশ্রিত অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলে ব্যাকটেরিয়ার জৈব প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে এবং অ্যান্টিবায়োটিক সহজেই ব্যাকটেরিয়ার দেহের ভেতর ঢুকে পড়তে পারে। সাধারণভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ক্রিয়া ঠেকানো ও তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যাকটেরিয়া নানা পদ্ধতি ও কলা-কৌশল গ্রহণ করে।
এ কথা সত্য যে বিশ্বে নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হচ্ছে।
কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিককে অকেজো ও প্রতিহত করার কলা-কৌশলও গ্রহণ করছে ব্যাকটেরিয়া। সব মিলিয়ে ব্যাপারটি দাঁড়াচ্ছে, যে হারে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক বের হচ্ছে তার চেয়ে অনেক দ্রুত হারে অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে তুলেছে ব্যাকটেরিয়া। ফলে পুরনো অ্যান্টিবায়োটিককে আর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়টি শেষ পর্যন্ত মানবজাতির জন্য বিপদজনক হয়ে উঠছে। এ কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের চিফ মেডিক্যাল অফিসার প্রফেসর ডেম স্যালি ডেভিস।
ব্যাকটেরিয়াকে প্রধান দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিশেষ ধরণের রঙ প্রয়োগ করা হলে এক জাতের ব্যাকটেরিয়া রঙিন হয়ে ওঠে। এগুলোকে বলা হয় জার্ম পজিটিভ। আর যে সব ব্যাকটেরিয়াকে এভাবে রঙিন করা যায় না সেগুলোকে বলা হয় জার্ম নেগেটিভ। এ জাতীয় ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিতসা অপেক্ষাকৃত জটিল।
জোস রুবেন মোরোনেস-রামিরেজ সায়েন্স ট্রান্সস্লেশনাল মেডিসিন নামের সাময়িকীকে বলেছেন, জার্ম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর ক্ষমতা বাড়াতে যে রূপা সহায়তা করবে তা এ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। আর এভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে ওষুধের অস্ত্রভাণ্ডার আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সাধারণত ইনেজেকশন এবং বড়ি আকারে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন রোগী। এতে কিভাবে রূপা যোগ করা যায় ভবিষ্যতে তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে বলে এবার চিকিতসা বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।