আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবতা ভুলুন্ঠিত‍ পররাষ্ট্রনীতি চাই না!

বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও, পাঠ্য পুস্তকে লেখা থাকলেও তা আজ রাষ্ট্রীয় ভাবে পদদলিত। মানবতার একটি সর্বজনীন রূপ আছে। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য- একথা গুলো আমাদের দেশে মূল্য নেই। বাঙালী আতিথেয়তার একটি বাস্তব চিত্র বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত এর 'রসনা বিলাস' গল্পে দেখতে পাই। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বিখ্যাত আবিষ্কার আপেক্ষিকতত্ব e = Mc2 উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল এ্যাটম বোমা।

এ্যাটম বোমা যখন বিস্পোরিত হয় আর এর ধ্বংস যজ্ঞ দেখে আইনস্টাইন কেঁদে ফেলেছিলেন এবং বলেছিলেন তার সৃষ্টি এত মানুষ ধ্বংস করবে জানতেন না। (কথা গুলো কতটা সত্যি জানি না তবে আমি বইতে পড়েছি) তেমনি আমাদের 'রসনা বিলাস' গল্পের লেখিকা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বেঁচে থাকলে আমাদের দেশের পরাষ্ট্রনীতি দেখে খুব কষ্ট পেতেন এবং হয়তো আরেকটি গল্প লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেন। আমার ব্লগের ব্যানার স্লোগান লিখেছিলাম- মাবতা দিয়ে সবকিছু মিমাংসা করতে চাই। কিন্ত আমি আজ লজ্জিত আমার এই ভন্ডামীর জন্য। রাষ্ট্র দেখাল মানবতা দিয়ে সবকিছু মিমাংসা করা যায় না।

আমি আমার স্লোগানটি মুছে ফেলব। আমি আবারও লজ্জিত, আমি প্রতিবেশী দেশ রোহিঙা শরনার্থীদের কাছে লজ্জিত। পরাষ্ট্রনীতি আমি বুঝি না। পরাষ্ট্রনীতিতে হয়তো মানবতার সংজ্ঞা অন্য রকম হতে পারে। তবে সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।

মানুষ পৃথিবীতে যতদিন আছে ততদিন এসব নীতি থাকবে। এসকল নিয়মনীতি মানুষের জন্য। মানুষ নিয়মের জন্য নয়। যুদ্ধের মাঠেও তো একটা নিয়ম আছে। শত্রু আত্মসমর্পণ করলে তার সাথে নিয়ম অনুযায়ী আচরণ করতে হবে।

আত্মসমর্পণকারী কোন সৈনিককে গুলি বা আঘাত করে মারা যাবে না। কিন্ত আমরা জাতিগত দাঙ্গায় ক্ষত বিক্ষত, অনাহারী এই মানুষগুলোকে কেমন করে সাহায্য না করে পুশ বেক করছি। আমাদের পরাষ্টনীতির আরেকটি নজির বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করলাম। বাঙালী জাতি হিসাবে আমরা বিশ্বের দরবারে নতুন রূপে উপস্থাপিত হলাম। বাঙালী হিসাবে এ ব্যর্থতা, এ লজ্জা এবং এ পরাষ্ট্রনীতির কষ্ট বুকে বয়ে বেড়াতে হবে।

এই বিপন্ন মানুষ গুলোর জন্য কিছু করতে না পারা, বিপদ থেকে পালিয়ে আসা এই মানুষগুলোকে আরো বিপদে নিপতিত করা একজন মানুষ হিসাবে কষ্টের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।