মারে মামা মারে
পৃথিবী ছাড়াও যে মহাবিশ্বে জীবন ধারণের মতো আরো স্থান থাকা সম্ভব, এই যুক্তির পক্ষে প্রমাণ হিসেবেই যেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন ৩২টি গ্রহ যা আদতে পৃথিবীর মতোই। অবশ্য জানা গেছে, এই গ্রহগুলোর অবস্থান আমাদের সৌর জগতের বাইরে। খবর দি হাফিংটন পোস্ট এর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিজ্ঞানীরা ইউরোপিয়ান সাউদার্ন মানমন্দিরের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সৌর জগতের বাইরে নতুন গ্রহের অস্তিত্ব দেখতে পান। তবে তাদের মতে এগুলো পৃথিবীর আকৃতির কিংবা বসবাসের উপযোগী নয়।
তবে তারা ঘোষণা দেন, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্রহের সংখ্যা চার শতাধিক। এ গ্রহগুলোকে বলা হচ্ছে এক্সোপ্লানেট।
জানা গেছে, এ গ্রহগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিকে বিজ্ঞানীদের ভাষায় বলা হচ্ছে সুপার আর্থ। এদের মধ্যে ছয়টি গ্রহের আকৃতি পৃথিবীর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। শুধু তাই নয়, খুঁজে পাওয়া গ্রহগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সৌর জগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির সমান কিংবা তার চেয়েও বড়।
এদের মধ্যে দুটি গ্রহের আকৃতি মোটামুটি ছোটই- তাও প্রায় পাঁচটি পৃথিবীর সমান। অন্যদিকে আরেকটির আকৃতি নির্ণয় করা হয়েছে বৃহস্পতির চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ বড়। নতুন এই আবিষ্কার চমকে দিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদদের।
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ স্টিফানি উড্রের মতে, নতুন এই আবিষ্কার এ কথা সমর্থন করে যে, যে কোনো নক্ষত্রের চারপাশেই একটি সৌর জগত তৈরি হতে পারে, এবং সেখানে পৃথিবীর মতো গ্রহও থাকতে পারে। তিনি পর্তুগালের এক নিউজ কনফারেন্সে বলেন, ‘আমি অনেকখানি আত্মবিশ্বাসী যে পৃথিবীর মতো গ্রহ মহাবিশ্বের সবখানেই আছে।
’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করে না। যেখানেই একটি গ্রহ তৈরির জন্য জায়গা রয়েছে, প্রকৃতি সেখানেই গ্রহ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। ’
হাই একিউরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্লানেট সার্চার নামে পরিচিত একটি অনুসন্ধান যন্ত্রের সাহায্যে সৌর জগতের বাইরের নতুন এই গ্রহরাজির অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। এর আগে একই অনুসন্ধান দল ২০০৪ সালে প্রথম সুপার আর্থ আবিষ্কার করে। ২০০৭ সালে তারা আবিষ্কার করে গ্লিজ ৫৮১ডি নামে প্রথম সুপার আর্থ যা কিনা বসবাসের উপযোগী!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।