বাংলাদেশে বৃটিশ কারিকুলাম অনুসরণকারী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সংখ্যা কম নয়। ইদানিং এ ধরনের স্কুলের জনপ্রিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমাদের অবিভাবকগণ এ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে খুব কমই অবগত আছেন। এমনকি অনেক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কর্তৃপক্ষও এ সম্পর্কে কমই ধারণা রাখেন। সুতরাং এ ব্যাপারে সবারই কম-বেশি জানা থাকা দরকার।
এ লক্ষ্যেই আমি বৃটিশ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু আর্টিক্যাল ইতোপূর্বে এই ব্লগে প্রকাশ করেছি। আজ বৃটেনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল সম্পর্কে কিছু লিখবো।
বৃটিশ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কারো কোন ধারণা বা প্রত্যক্ষ কোন অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করলে খুব খুশি হবো। বিশেষ করে ইউ. কে. প্রবাসীরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিলে সবাই বেশ উপকৃত হবো।
বৃটেনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল
প্রাথমিক স্কুল
একজন শিক্ষার্থীর সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ ৪/৫ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যদিও বৃটেনে বাধ্যতামূলক পূর্ণকালীন শিক্ষা শুরু হয় ৫ বছর থেকে, তবুও অধিকাংশ শিশুই চার বছর শেষ করে তাদের ৫ম জন্মদিনে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করে। তারা রিসেপশন নামে একটি ক্লাসে তাদের লেখাপড়ার সূচনা করে। একটি শ্রেণীতে একজন শিক্ষকই ছাত্রছাত্রীদের সকল বিষয়ে পাঠদান করেন। পঠিত বিষয়গুলো হলো কলা, বিশ্লেষণী দক্ষতা, নাটক, ইংরেজি ভাষা, ভূগোল, ইতিহাস, অংক, বিজ্ঞান। স্কটল্যান্ডে এগুলোর সাথে অতিরিক্ত স্কটল্যান্ড বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
এছাড়া শিক্ষকগণ তাদেরকে কিভাবে বাসায় যেতে হয়, স্বাধীন চিন্তাশক্তির বিকাশ, দলবদ্ধভাবে কাজ করা, সামাজিক সচেতনতা ঊন্নয়ন, কিভাবে সমাজে ভাল আচরণ করা যায় ভালভাবে বুঝিয়ে শিক্ষা দেন। ওখানে উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর অনেকগুলো টেস্ট বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকে, কিন্তু কোন ধরনের প্রথাগত পরীক্ষা নেয়া হয় না। এসব টেস্ট মূলত সরকারী পরিসংখ্যানের জন্য করা হয়। তবে স্কুলগুলো আলাদা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখে, যাতে শিক্ষার্থীরা টেস্টে ভাল করতে পারে।
মাধ্যমিক স্কুল
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব বিষয় আবশ্যিক, তা হচ্ছে- ইংরেজি, আধুনিক কোন বিদেশি ভাষা (ফ্রেন্স, স্পেনিশ বা জার্মান বেশি জনপ্রিয়), ভূগোল, ইতিহাস, সামাজিক শিক্ষা, ধর্ম, রান্না-বান্না সঙ্গিত এবং শারীরিক শিক্ষা।
গ্রামার ও পাবলিক স্কুলে গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষা অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে থাকে। বিষয়ভিত্তিক কিছু বিশেষ স্কুল রয়েছে। সেখানে ছাত্ররা তাদের সামর্থের উপর ভিত্তি করে নিজস্ব পছন্দনীয় বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।
শিক্ষার্থীগণ ১৪ বছর থেকে ১৬ বছরের মধ্যে বোর্ড পরীক্ষা GCSE (General Certificate of Secondary Education) দিয়ে থাকে। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্কুলের ৪র্থ বর্ষে স্কটল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা স্ট্যান্ডার্ড গ্রেড-এর পরীক্ষা দিয়ে থাকে।
এটি জিসিএসই পরীক্ষার সমমানের। যেসব শিক্ষার্থীরা জিসিএসই পরীক্ষা দিতে চায় তারা নূন্যতম ৫টি পরীক্ষা থেকে শুরু করে ১২টি পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারে। আর স্কটল্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড গ্রেডের শিক্ষার্থীরা ৮টি পরীক্ষা দিয়ে থাকে। তারপর শিক্ষার্থীদের স্কুল ত্যাগ করা কিংবা স্কুলে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার দেয়া হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।