র্যাগ কর্ণারের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে রবিন। সাথে আসে মিলিও। রাত বাড়ে। নীরবে হাঁটতে হাঁটতে ওরা হলের দিকে যায়। মিলিকে হলের গেটে এগিয়ে দিয়ে ফিরে আসে রবিন।
তার আগে প্রতিদিনের মতো হাতের ইশারায় একটা কিস-এর ইমোটিকনও ছুঁড়ে দেয় মিলিকে। মিলি কিছু বলেনা, প্রতিদিনের মতো শুধু হাসে।
আজও একরকম জোর করেই মিলিকে ডেকে এনেছে রবিন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মিলির সাথে হাঁটাহাঁটি না হলে ওর চলে না। এ ক’দিন ধরে রবিন আস্তে আস্তে উপলব্ধি করতে শিখেছে, মিলিকে ছাড়া আসলে ওর কাছের মানুষ নেই কেউ ক্যাম্পাসে।
ধীরে ধীরে ওর হৃদয়ে মিলির জন্য জায়গা বাড়তে থাকে, ক্রমেই রবিন দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে মিলির প্রতি। ওর সারাদিন আবদারের পর মিলির একটু বের হওয়া, একটু সময়, একটু হাঁটাহাঁটি যেন ওকে ক্রমশঃ বৃত্তবন্দী করে তোলে।
শেষে আজ রবিন র্যাগ কর্ণারে বলেই বসে মিলিকে। ও ভালোবাসে, এবং ও চায়। এবং এটুকুই।
এর বেশী কিছু বলতে পারেও না রবিন।
এবং যে উত্তরটি পায় সে, তার জন্য হয়ত আরো একটু বেশী প্রস্তুতি থাকা দরকার ছিলো রবিনের। মিলি হ্যাঁ বলতে পারেনা। রবিন শুধু একবার হাত ধরে অনুরোধ করে, কিন্তু আর কোন জবাব দেয় না মিলি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।