স্বার্থপরতাকে ঘৃণা করি তীব্রভাবে
দৃশ্যপট ১ – স্থান : চাঙ্খারপুল পেট্টোল পাম্পের সামনে
আমি টিউশনি করাই বংগবাজারে । টিউশনি শেষ করে আমি সাধারণত হল পর্যন্ত হেঁটেই আসি । তো ২ দিন আগে টিউশনি শেষ করে হলে ফিরছিলাম রাত প্রায় ৯ টার দিকে । পেট্টোল পাম্পের সামনে রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি । হঠাত দেখি সামনের রিকশায় এক ছেলে আরেক মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কিস করলো ! আমি তো পুরাই থ হয়ে গেলাম ।
এটা কোন ধরণের অসভ্যতা ? এটা কোন ধরণের শালীনতা তাই বুঝলাম না । সেখানে আরো অন্তত ৫০ জন এই দৃশ্য দেখেছে ! আর সবচেয়ে অদ্ভুত কথা হচ্ছে সেই ছেলে-মেয়ের চোখের দিকে আমি তাকিয়ে ছিলাম । তারাও আমাকে দেখলো কিন্তু তাদের কোন ভাবান্তর নেই ! বাহ , কি সুন্দর দূনিয়ারে ভাই ! চালিয়ে যান , আপনাদের দিয়া সবই সম্ভব !!
দৃশ্যপট ২ – স্থান : ঢাকা মেডিকেলের প্রধান গেটের সামনের রাস্তায়
সেদিন আমি শহীদুল্লাহ হল থেকে আমার হলের দিকে আসছি । ঢাকা মেডিকেলের যেই গেইট রাতে বন্ধ থাকে সেই গেটের সামনের রাস্তায় হঠাত দেখি এক রিকশায় এক যুবক যুবতীকে ওষ্ঠ – আলিঙ্গনে ধরে রেখেছে ! আমি পুরা বোকা হইয়া গেলাম ! সেই জায়গাটা যদিও তখন নির্জন ছিল তথাপি এই সিনেমার মতো উনাদের আচরণ জানি না কতটুকু আধুনিকতার লক্ষণ !
আমার কিছু কথা -
জানি , আমার কথায় অনেকেই হয়তো বিরক্ত হতে পারেন । অনেকেই হয়তো আমাকে বোকা বলবেন , অনেকে মনে মনে গালিও দিবেন কারণ আমদের আশেপাশে আমাদেরই যারা বন্ধু আছেন , বড় ভাই আছেন , আপুরা আছেন তারাই এই কাজগুলো করে ।
হয়তোবা মুখ ফুটে কখনো বলবো না আপনাদের অনেককেই কিন্তু এই শালীনতাটুকু এই দেশে আমরা কি আশা করতে পারি না । এরপরে আমরা বুলি ফুটাই ইভ-টিজিং এর বিরুদ্ধে , নির্যাতনের বিরুদ্ধে । হয়তোবা অনেকেই আবার বলবেন যে আমি কিছু করতে পারি নাই তাই আমার এতো আক্ষেপ ! জ্বি , সেটা আমি মানি কিন্তু আপনাদেরও অন্তত লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে এইসব কার্যকলাপ করা উচিত । কারো মনে দূঃখ দিয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দূঃখিত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।